অভিনয়ে খুব বেশি দেখা যায় না সোহানা সাবাকে। সর্বশেষ ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে যুক্ত থাকার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন। এবার এই গ্রুপ বন্ধের জন্য সাহায্য চাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
শিল্পীদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’। এটি তৈরি হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে। সেখানে যুক্ত ছিলেন শোবিজের একদল শিল্পী, যারা অবস্থান নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে। সেই দলেরই একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিপাকে পড়েন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের শিল্পীরা। অনেকেই আবার গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন— সমালোচনার মুখে গ্রুপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে! তবে তা হয়নি।
এ বিষয়ে সোহানা সাবা জানান, এই গ্রুপ থেকে অটো ইনভাইটেশন যাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে সবার সাহায্য চান তিনি।
আরো পড়ুন:
মোশাররফ-তানিয়ার ‘খুচরা পাপী’
এর চেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত আর হতে পারে না: ফারিয়া
সোহানা সাবার কথায়, “আমার ফেসবুক থেকে অনেকের কাছে ইনভাইটেশন যাচ্ছে যে, আলো আসবেই গ্রুপের জন্য। এটা কীভাবে যাচ্ছে, আমি জানি না। আমাকে সাহায্য করুন, প্রথমে জানান আমি কীভাবে গ্রুপটা বন্ধ করতে পারি। ইনভাইটেশন যে যাচ্ছে, এটা আমি দিচ্ছি না, কিন্তু এটা যাচ্ছে।”
‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস, নায়ক রিয়াজ, অভিনেতা সাজু খাদেম ও অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টিসহ শোবিজের অনেক তারকা যুক্ত ছিলেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক আসব ই
এছাড়াও পড়ুন:
কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরে নির্বাচন, বেশি চাইলে জুনের মধ্যে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের আগে কম সংস্কার চায় তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি একটু বেশি সংস্কার চায় তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রাক্তন দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মিলাম ও ড্যানিলোভিচের সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কূটনীতিকদের বলেন, ছয়টি কমিশনের সুপারিশ করা সংস্কারের বিষয়ে সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। জুলাই সনদ আমাদের পথ দেখাবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদে প্রদত্ত সুপারিশের কিছু অংশ বাস্তবায়ন করবে এবং বাকিগুলো রাজনৈতিক সরকারগুলো বাস্তবায়ন করবে।
দুই প্রাক্তন কূটনীতিক প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাধীনতা অধিকারের কাজ এবং দেশকে গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এর কাজ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন। এ সময় ড. ইউনূস অলাভজনক গোষ্ঠীর কাজ এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমর্থন করার জন্য দুই কূটনীতিকের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত মিলাম ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশে ব্যাপক সংস্কার বাস্তবায়ন এবং সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোভিচ বলেন, ভুয়া সংবাদ এবং বিভ্রান্তির হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ইতিবাচক বক্তব্য এবং গুরুতর প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তারা বর্তমান বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট এবং বহুল নির্যাতিত মিয়ানমার শরণার্থীদের জন্য সাহায্য হ্রাসের প্রভাব, পূর্ববর্তী শাসনামলে চুরি হওয়া কোটি কোটি ডলার পুনরুদ্ধার, সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রচেষ্টা এবং আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়েও আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের সভাপতি এবং নির্বাহী পরিচালক।