এনআইডি সেবা স্থানান্তরে ‘প্রতিবাদ অবস্থান’ প্রত্যাহার
Published: 6th, March 2025 GMT
এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে অন্য কোনো দপ্তরে স্থানান্তরের বিরুদ্ধে সিইসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে আগামী বুধবারের মধ্যে এ নিয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এনআইডি উইংসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিইসি কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরবর্তীতে ইসির কর্মকর্তা কর্মচারীদের আশ্বস্ত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরউদ্দিন।
সিইসি বলেন, ‘‘সরকার থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না, যাতে সামনের জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তবে কমিশন আশ্বাস অনুযায়ী কাজ না করলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।’’
সিইসি আরো বলেন, ‘‘অতি শিগগির ইসি থেকে সরকারের কাছে লিখিত চিঠি পাঠানো হবে।’’
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ১২ তারিখের মধ্যে দাবি মানা না হলে ১৩ তারিখ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্বাচন অফিস সচিবালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি। পরবর্তীতে অগ্রগতি না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা একটি মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে তাঁকে ঢাকার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ঢাকায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, সিআইডির তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে পাঁচলাইশ থানার পেছনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসকের বাসা থেকে সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চিকিৎসক তাঁর স্ত্রীর বড় ভাই। বর্তমানে মামলাটি সিআইডি তদন্ত করায় তারা আসামিকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।
গত বছরের ৯ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কাফরুল থানায় এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি মামলা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৯ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমও।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি দেন আসামিরা। জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এনআইডির তথ্য দেশ-বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ডিজিকন। তথ্য বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।