চট্টগ্রামে ৫৪ ইটভাটাকে চার লাখ টাকা করে জরিমানা
Published: 6th, March 2025 GMT
আদালতের আদেশ অমান্য করে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪টি ইটভাটার মালিককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই টাকা হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে জনস্বার্থে করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ধ্বংস করে লাইসেন্স ছাড়া অনেক ইটভাটা চলমান। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রায়শই প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। তাছাড়া কতিপয় ইটভাটা মালিক হাইকোর্টের দেওয়া আগের আদেশও জালিয়াতি করেছে। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এসেছে। এজন্য আদালত জালিয়াতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় ৫৪টি ইটাভাটার প্রত্যেক মালিককে ৪ লাখ টাকা করে জরিমানাও করেছেন।
ইটভাটা মালিকরা হলেন— মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কবির, শামীমা আক্তার, গিয়াস উদ্দিন, এনামুল হক, নাসির উল আলম, মোহাম্মদ ইসলাম, বিপ্লব কান্তি, আব্দুল কাদেরসহ মোট ৫৪ জন।
মামলার তথ্যানুযায়ী, পরিবেশ সুরক্ষায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে মানবাধিকার এবং পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে ২০২২ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। আদালত ওই রিটের শুনানি শেষে রুল জারিসহ সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। ওই আদেশের পর ইটভাটা মালিকরা তখন হাইকোর্টে অন্য একটি রিট দায়ের করে এবং স্থিতি অবস্থার আদেশ নেন। পরে ওই রিটে এইচআরপিবি পক্ষভুক্ত হয় এবং এতে হাইকোর্টের আগের আদেশ বাতিল করা হয় (রুল ডিসচার্জ)। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিকরা আপিল দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ৪ জুন আপিল বিভাগে ২ সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট ইটভাটা মালিকদের আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। এরপরও ইটভাটা মালিকরা আগের রিটের তথ্য গোপন করে হাইকোর্টে নতুন রিট দায়ের করে। এরই ধারাবাহিকতায় এইচআরপিবির সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল জরিমানার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইটভ ট ইট ভ ট ম ল কর ইটভ ট
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ৫৪ ইটভাটাকে চার লাখ টাকা করে জরিমানা
আদালতের আদেশ অমান্য করে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪টি ইটভাটার মালিককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই টাকা হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে জনস্বার্থে করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ধ্বংস করে লাইসেন্স ছাড়া অনেক ইটভাটা চলমান। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রায়শই প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। তাছাড়া কতিপয় ইটভাটা মালিক হাইকোর্টের দেওয়া আগের আদেশও জালিয়াতি করেছে। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এসেছে। এজন্য আদালত জালিয়াতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় ৫৪টি ইটাভাটার প্রত্যেক মালিককে ৪ লাখ টাকা করে জরিমানাও করেছেন।
ইটভাটা মালিকরা হলেন— মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কবির, শামীমা আক্তার, গিয়াস উদ্দিন, এনামুল হক, নাসির উল আলম, মোহাম্মদ ইসলাম, বিপ্লব কান্তি, আব্দুল কাদেরসহ মোট ৫৪ জন।
মামলার তথ্যানুযায়ী, পরিবেশ সুরক্ষায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে মানবাধিকার এবং পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে ২০২২ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। আদালত ওই রিটের শুনানি শেষে রুল জারিসহ সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। ওই আদেশের পর ইটভাটা মালিকরা তখন হাইকোর্টে অন্য একটি রিট দায়ের করে এবং স্থিতি অবস্থার আদেশ নেন। পরে ওই রিটে এইচআরপিবি পক্ষভুক্ত হয় এবং এতে হাইকোর্টের আগের আদেশ বাতিল করা হয় (রুল ডিসচার্জ)। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিকরা আপিল দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ৪ জুন আপিল বিভাগে ২ সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট ইটভাটা মালিকদের আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। এরপরও ইটভাটা মালিকরা আগের রিটের তথ্য গোপন করে হাইকোর্টে নতুন রিট দায়ের করে। এরই ধারাবাহিকতায় এইচআরপিবির সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল জরিমানার আদেশ দেন হাইকোর্ট।