আদালতের আদেশ অমান্য করে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪টি ইটভাটার মালিককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই টাকা হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে জনস্বার্থে করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ধ্বংস করে লাইসেন্স ছাড়া অনেক ইটভাটা চলমান। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রায়শই প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। তাছাড়া কতিপয় ইটভাটা মালিক হাইকোর্টের দেওয়া আগের আদেশও জালিয়াতি করেছে। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এসেছে। এজন্য আদালত জালিয়াতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় ৫৪টি ইটাভাটার প্রত্যেক মালিককে ৪ লাখ টাকা করে জরিমানাও করেছেন।

ইটভাটা মালিকরা হলেন— মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কবির, শামীমা আক্তার, গিয়াস উদ্দিন, এনামুল হক, নাসির উল আলম, মোহাম্মদ ইসলাম, বিপ্লব কান্তি, আব্দুল কাদেরসহ মোট ৫৪ জন।

মামলার তথ্যানুযায়ী, পরিবেশ সুরক্ষায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে মানবাধিকার এবং পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে ২০২২ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। আদালত ওই রিটের শুনানি শেষে রুল জারিসহ সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। ওই আদেশের পর ইটভাটা মালিকরা তখন হাইকোর্টে অন্য একটি রিট দায়ের করে এবং স্থিতি অবস্থার আদেশ নেন। পরে ওই রিটে এইচআরপিবি পক্ষভুক্ত হয় এবং এতে হাইকোর্টের আগের আদেশ বাতিল করা হয় (রুল ডিসচার্জ)। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিকরা আপিল দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ৪ জুন আপিল বিভাগে ২ সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট ইটভাটা মালিকদের আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। এরপরও ইটভাটা মালিকরা আগের রিটের তথ্য গোপন করে হাইকোর্টে নতুন রিট দায়ের করে। এরই ধারাবাহিকতায় এইচআরপিবির সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল জরিমানার আদেশ দেন হাইকোর্ট।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইটভ ট ইট ভ ট ম ল কর ইটভ ট

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে পূর্বাচল উপশহর থেকে যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার 

রূপগঞ্জে পূর্বাচল উপ শহরের প্লট থেকে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) নামের এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় মরদেহের পাশ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পূর্বাচলের এক নম্বর সেক্টরের একটি খালি প্লটের ভেতর থেকে যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত দেলোয়ার হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানার শোলাকিয়া এলাকার আবু সাঈদের ছেলে ।

রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক(ওসি) লিয়াকত আলী জানান, সকালে ওই এলাকায় স্থানীয়রা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে, রাতের যেকোনো সময় দুর্বৃত্তরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ওই যুবককে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে গেছে। 

ওসি আরো জানান, মরদেহের পাশ থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের প্যান্টের পকেট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়ে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।এই ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ