প্লে-ব্যাক কিংবা মিউজিক ভিডিওতে সমানতালে পাওয়া যায় চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠের শিল্পী ইমরান মাহমুদুলকে। এবার তিনি এই রমজানে নতুন ইসলামী গান নিয়ে হাজির হয়েছেন। রুহ আফজা নিবেদিত গানটির শিরোনাম ‘দ্বীনের পথে রোজার সাথে’।

গীতিকার ও সাংবাদিক ফয়সাল রাব্বিকীনের কথায় গানটির সুর করেছেন আমিরুল মোমেনীন মানিক। এ গানটি ভিডিওসহ প্রকাশ হয়েছে হামদর্দ টিভি, মানিক মিউজিকসহ বেশ কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেলে। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন আলম মোরশেদ।

এর আগেও ইসলামিক গান করেছিলেন ইমরান। নতুন গান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একেবারেই আলাদা ধরনের একটি কাজ। গানটির কথা-সুর বেশ মনে ধরেছে। আমার বিশ্বাস গানটি প্রকাশ পেলে ভালো লাগবে সবার।

গানটির সুরকার আমিরুল মোমেনীন মানিক বলেন, রমজানের এই পবিত্র মাসে একটি সুন্দর ইসলামি গান করার চেষ্টা করেছি আমরা। গানটির মধ্যে দিয়ে ইসলাম ও রমজানের বার্তা আরও ভালোভাবে সবার মাঝে ছড়িয়ে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।

ফয়সাল রাব্বিকীন বলেন, সব মিলিয়ে চমৎকার আয়োজনে হয়েছে গানটি। সবার ভালো লাগবে বলেই আমরা আশাবাদী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঢামেকে যৌথবাহিনীর অভিযান, ৩৩ ‘দালালকে’ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও হয়রানির ঘটনায় অর্ধশতাধিক ‘দালালকে’ আটক করেছে যৌথবাহিনী। এর মধ্যে নারী-পুরুষ মিলে ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের গোপন তথ্য ও নজরদারিতে এই যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান।

এ সময় হাসপাতাল চত্বর, বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নারী সদস্যসহ এই দালাল চক্রকে আটক করে। যারা বিভিন্ন কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছিল।

গোয়েন্দা সূত্রে জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখার পর আজ যৌথ অভিযান চালানো হয়। এতে অর্ধশতাধিক দালালকে আটক করা হয়েছে। সবার নাম পরিচয় ও সার্বিক তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর নারী-পুরুষ মিলে মোট ৩৩ জনকে সর্বোচ্চ ৩ মাসসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে ১৯ জন নারী ও ১৪ জন পুরুষ।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, হাসপাতালে কিছু দালাল কাজটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। দালালির কাজে হাতেনাতে ধরা পড়ার পরও পুনরায় তারা ছাড়া পেয়ে এই হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে থাকে। হাসপাতালে আশপাশে কিছু সংখ্যক লোক বসবাস করে। এই কিছুসংখ্যক মানুষ হাসপাতালে এসে রোগীদের নিয়ে বাণিজ্য করে থাকে। এর আগেও তাদের অভিযানে ধরা হয়েছিল। সেসব অভিযানে তাদের শাস্তি দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারা বেরিয়ে পুনরায় হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে তাদের দালালি কাজ অব্যাহত রাখে, এতে বোঝা গেল তারা এই দালালি কাজটা পেশা হিসেবে নিয়েছে। এদের নির্মূলে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

পরিচালক আরো বলেন, আজকে এই দালাল নির্মূলে এনএসআই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে এই অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমর্থন আছে। অভিযানে আটক কয়েকজনকে যাচাই-বাছাই করে ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢামেক পরিচালক বলেন, আমাদের এখানে দৈনিক মজুরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েকজন ও স্থায়ী দু-একজন এসব কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। আমরা আজকে দৈনিক মজুরিতে যারা দালালি কাজে জড়িত প্রমাণ পাব, তাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হবে। এ ছাড়া যারা পারমানেন্ট স্টাফ আছে দু-একজন। তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরেও এমন অভিযানে ২১ জনকে আটক করেছিল যৌথবাহিনী। তাদেরও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

ঢাকা/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ