প্রবীণবিষয়ক দপ্তরে ৮০ হাজারের বেশি কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ট্রাম্পের
Published: 6th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণবিষয়ক দপ্তর ৮০ হাজারের বেশি কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে। রয়টার্সের হাতে আসা দপ্তরটির একটি অভ্যন্তরীণ নোট (মেমো) থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন সামরিক বাহিনীর প্রবীণ সদস্য ও ডেমোক্র্যাটরা।
প্রবীণবিষয়ক দপ্তরের চিফ অব স্টাফ ক্রিস্টোফার সায়রেক গত মঙ্গলবার দপ্তরটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক ওই মেমো পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো দপ্তরের কর্মীর সংখ্যা ২০১৯ সালের সময়কার মতো চার লাখের নিচে নামিয়ে আনা। এর অর্থ হলো, প্রায় ৮২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে।
দপ্তরের কর্মীদের কর্মী ছাঁটাইয়ে ধনকুবের ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির সঙ্গে একযোগে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এর লক্ষ্য দুটি—অপচয় দূর করা ও কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণবিষয়কমন্ত্রী ডগ কলিন্স এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এখন যাঁরা চাকরি হারাচ্ছেন, তাঁদের জন্য আমরা দুঃখিত। বিশেষত প্রবীণদের একজন নেতা ও আপনাদের মন্ত্রী হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার জন্য ভীষণ কঠিন কাজ। কিন্তু ফেডারেল সরকার মানুষকে কাজ দেওয়ার জন্য নয়; বরং মানুষের সেবায় নিয়োজিত।’
আরও পড়ুনআরও প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করলেন ট্রাম্প ও মাস্ক১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে প্রবীণ ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অহেতুক ভুগবেন, এমনটাই মন্তব্য করেন এভারেট কেলি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মীদের ফেডারেশনের প্রধান। এই সংগঠনের আওতায় ৩ লাখ ১১ হাজার প্রবীণ কর্মী রয়েছেন।
মার্কিন সিনেটের প্রবীণবিষয়ক কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান জেরি মোরান ইঙ্গিত দিয়েছেন, ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন নিয়ে তিনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। এ জন্য তিনি প্রবীণবিষয়ক দপ্তরকে মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ‘প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো’ নিয়ে আইন প্রণয়ন করা যায়।
ই-মেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে জেরি মোরান বলেন, প্রবীণবিষয়ক দপ্তরে সংস্কার আনা প্রয়োজন। কিন্তু বিভাগটির আকার কমিয়ে আনা ও দক্ষতা বৃদ্ধির বর্তমান প্রচেষ্টা আরও দায়িত্বশীলভাবে করা উচিত।
আরও পড়ুনসামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র০১ মার্চ ২০২৫সিনেটের প্রবীণবিষয়ক কমিটির জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাট রিচার্ড ব্লুমেন্থাল এক বিবৃতিতে সমালোচনা করে বলেন, ‘কর্মী ছাঁটাইয়ের এই উদ্যোগ প্রবীণবিষয়ক দপ্তরের বেসরকারীকরণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়া। এটা খুবই লজ্জাজনক বিশ্বাসঘাতকতা।’
প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প ২০১৮ সালে একটি আইনে সই করেছিলেন। ওই আইনে প্রবীণবিষয়ক দপ্তরের মাধ্যমে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবায় প্রবীণদের প্রবেশাধিকার বাড়ানো হয়েছিল।
আরও পড়ুনসামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র০১ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ জ র কর ম র প রব ণ ট ই কর কর ম ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।