বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মনোয়ার হোসেনকে (৫০) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত বুধবার (৫ মার্চ) তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

মনোয়ার হোসেনকে আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক মন্মথ হালদার। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকার আদাবর থানাধীন বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি থেকে মনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদাবর থানা পুলিশ।

মনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিগত সংসদ নির্বাচনে ধামরাই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ২০০৯-২০১০ সালে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস) ছিলেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর আদাবর থানাধীন সুনিবিড় মেইন রোডের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন মনির হোসেন। দুপুরে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। গত ২১ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী মনির হোসেন বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন য় র হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

আশ্রয় নেওয়া ইউক্রেনীয়দের দেশে ফেরত পাঠাবে ট্রাম্প প্রশাসন

রাশিয়ার সাথে সংঘাতের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসা প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার ইউক্রেনীয়ের অস্থায়ী আইনি মর্যাদা বাতিল করার পরিকল্পনা করছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ট্রাম্পের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং বিষয়টির সাথে পরিচিত তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এসব ব্যক্তিকে সম্ভবত তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এপ্রিলের মধ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনে ইউক্রেনীয়দের যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে স্বাগত জানানো হয়েছিল তার পুরো বিপরীত চিত্র দেখাতে যাচ্ছে এবার ট্রাম্প প্রশাসন।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে  ট্রাম্পের প্রকাশ্যে বিবাদের আগে ইউক্রেনীয়দের জন্য সুরক্ষা প্রত্যাহারের পরিকল্পিত প্রক্রিয়া চলছিল। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ, যাতে ১৮ লাখেরও বেশি অভিবাসীর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি বাতিল করা হয়। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বরাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বিভাগের কোনো ঘোষণা নেই। হোয়াইট হাউস এবং ইউক্রেনীয় দূতাবাস রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।

২০ জানুয়ারি জারি করা ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘সব স্পষ্ট প্যারোল কর্মসূচি বন্ধ করার’ আহ্বান জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের কর্মকর্তা এবং বিষয়টির সাথে পরিচিত এক সূত্র জানিয়েছে, প্রশাসন চলতি মাসের মধ্যেই প্রায় পাঁচ লাখ ৩০ হাজার কিউবান, হাইতিয়ান, নিকারাগুয়ান এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিকের প্যারোল প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করছে। 

রয়টার্সের দেখা একটি অভ্যন্তরীণ আইসিই ইমেল অনুসারে, প্যারোল স্ট্যাটাস কেড়ে নেওয়া অভিবাসীদের দ্রুত নির্বাসন প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসীদের প্রবেশের পর দুই বছরের জন্য দ্রুত নির্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা যেতে পারে, যাকে দ্রুত অপসারণ বলা হয়। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ