গত ২ মার্চ অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়িকা কল্পনা রাঘবেন্দ্ররকে। পুলিশ দাবি করেন, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এই গায়িকা।

সংগীতশিল্পী কল্পনা এখন অনেকটা ভালো আছেন। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাননি। কিন্তু পুলিশের দাবি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। কারণ চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধ বেশি মাত্রায় খাওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে কল্পনা বলেন, “আমি ৮টি ট্যাবলেট (ঘুমের ট্যাবলেট) খাওয়ার পরও ঘুম আসছিল না। এরপর আরো ১০টি ট্যাবলেট খাই। যার ফলে অচেতন হয়ে পড়ি। এরপর কী ঘটেছিল আমি কিছুই জানি না।” 

আরো পড়ুন:

১৪ কেজি সোনাসহ অভিনেত্রী গ্রেপ্তার: মুখ খুললেন পুলিশ অফিসার বাবা

১৬ কোটি টাকার সোনাসহ অভিনেত্রী গ্রেপ্তার

৪৪ বছরের কল্পনার দাবি, যে ১৮টি ট্যাবলেট খেয়েছিলেন, তা তার চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে লিখেছেন। কিন্তু যে মাত্রায় সেবন করার কথা, তারচেয়ে বেশি পরিমাণে খাওয়ার কারণে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। 

কল্পনার কন্যাও ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলেছেন। মায়ের আত্মহত্যা চেষ্টার খবরটি ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, “দয়া করে কোনো তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করবেন না। আমাদের পরিবার পরিপূর্ণভাবে ভালো আছে। আমার বাবা-মা ব্যক্তিগত জীবনে সুখী। আমি ভালো আছি। আমার মা খুব ভালো আছেন। দুই-এক দিনের মধ্যে তিনি বাড়ি ফিরে আসবেন।”

কল্পনা টানা দুই দিন অ্যাপার্টমেন্টের দরজা না খোলার ব্যাপারটি লক্ষ্য করেন সিকিউরিটি গার্ড। এরপর খবরটি কল্পনার প্রতিবেশিদের জানান। দ্রুত তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে কল্পনাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়। ঘটনার সময়ে কল্পনার স্বামী চেন্নাইয়ে ছিলেন, খবর পেয়ে তিনিও হায়দরাবাদে ফিরেন।

বিখ্যাত প্লেব্যাক গায়ক টিএস রাঘবেন্দ্রর মেয়ে কল্পনা। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০১০ সালে স্টার সিঙ্গার মালায়ালামে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। এই বিজয়ের পর ইলাইয়ারাজা এবং এআর রহমানসহ অনেক বিখ্যাত সুরকারের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান কল্পনা।

দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ভাষার ১ হাজার ৫০০ টির বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কল্পনা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট য বল ট

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে পরিচয়-প্রেম, বিয়ের আশ্বাসে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

রাজশাহীর তানোরে বিয়ের কথা বলে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে খাইরুল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে সরনজাই ইউনিয়নের খাইরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৩ মার্চ রাতে ওই নারীকে খাইরুল বাড়ির পাশে ডেকে আনে। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কৌশলে পালিয়ে যায় সে। এ ঘটনায় পরের দিন তানোর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। ঘটনার পর থেকে খাইরুল গা ঢাকা দিয়েছেন। 

থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে ওই নারী ও তাঁর পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে খাইরুলের লোকজন। স্থানীয় প্রভাবশালীরাও মীমাংসার জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। 

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, স্বামী পরিত্যক্ত ওই নারীর অভিযোগ আমলে নিয়েছে পুলিশ। বুধবার সকালে নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। খাইরুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ত্র ঠেকিয়ে তিন অটোরিকশাচালক ও শ্রমজীবীর ঘরে ডাকাতি
  • নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ট্রাক ঢুকে গেল দুই দোকানে, এরপর যা হলো
  • ঋণখেলাপি মামলায় আহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান শহিদুল আহসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
  • তারা কেন দুটো করে ঘড়ি পরেন?
  • বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ৫৬ জেলেকে ধরে গিয়ে গেছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী
  • সরকারি গাড়ি ভাঙচুর, ৮০০ শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা
  • ডিজেএডির সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন চিস্তি 
  • যে কারণে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়া হয়
  • ফোনে পরিচয়-প্রেম, বিয়ের আশ্বাসে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ