দেশের প্রান্তিক কৃষকদের বহুমুখী আর্থিক সেবা দিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় অ্যাগ্রোকেমিক্যাল কোম্পানি পেট্রোকেম বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

এই যৌথ উদ্যোগের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকের আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বিভিন্ন রকম আর্থিক সেবা নিশ্চিত করা হবে, যা কৃষিতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের বিস্তৃত এসএমই ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এবং পেট্রোকেমের ইনপুট রিটেইলারদের সহযোগিতায় কৃষকেরা ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ নিতে পারবেন। ফলে, নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত হবে, যা কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ের উন্নয়নে অবদান রাখবে।

ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন এবং পেট্রোকেমের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থ সারথি রায় এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো, কৃষকদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করে সাফল্যে অর্জনে ভূমিকা রাখা। আমাদের ব্যাংকিং সেবা এবং পেট্রোকেমের কৃষি-দক্ষতার সমন্বয়ে আমরা কৃষকদের জন্য ফলপ্রসূ কিছু করতে চাই। আমরা বাংলাদেশের কৃষি খাতের এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য একটি শক্তিশালী ও টেকসই ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে চাই।”

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোকেমের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার সাহা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব এসএমই স্ট্র্যাটেজি, ইনোভেশন অ্যান্ড নিউ বিজনেস মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম এবং হেড অব এমএফআই অ্যান্ড এগ্রিকালচার ফাইন্যান্স তাপস কুমার রায়। তারা বাংলাদেশের প্রান্তিক কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এই উদ্যোগের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

আর্থিক খাতে ব্র্যাক ব্যাংকের দক্ষতা এবং কৃষি খাতে পেট্রোকেমের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সম্পদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখা এই যৌথ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক ব্যাংক বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক। ব্যাংকটি—১৮৭টি শাখা, ৭৪টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১১১৪টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট পরিচালনা করছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে লেনদেন করছে। প্রায় ১৮ লাখেরও বেশি গ্রাহককে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে এই ব্যাংক।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র ন ত ক ক ষকদ র আর থ ক স

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ১৯ কোটি টাকা

দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে বিদায়ী সপ্তাহের (২০ থেকে ২৪ এপ্রিল) লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। একই সঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৪.৭৩ পয়েন্ট বা ২.৪৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩০.৩৮ পয়েন্ট বা ১.৬২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৪৫ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩৯.০১ পয়েন্ট বা ৩.৪১ শতাংশ কমে ১ হাজার ১০৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১২.৬৫ পয়েন্ট বা ১.৩৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯১২ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৮৭ কোটি ৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১২২ কোটি ১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭টির, দর কমেছে ৩২৪টির ও দর অপরিবর্তিত ১৫ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৭টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫০.৩০ পয়েন্ট বা ১.৭২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৭৯ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৮১০ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.৬৮ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৬৮৫ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ২.২২ শতাংশ কমে ৯২৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ৪.৫৭ শতাংশ থাকায় ১ হাজার ৯৪৮ পয়েন্ট অপরিবর্তীত রয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৪ হাজার ৯৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৯৩২ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ০৭ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫টির, দর কমেছে ২৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ার দুই শিল্পপল্লিতে এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান
  • ব্র্যাক ব্যাংকের এএমডি-ডিএমডি পদে নতুন ৪ মুখ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ১৯ কোটি টাকা