জনপ্রিয় কালার কসমেটিকস ব্র্যান্ড ম্যাক্স বিউ বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন ১০টি নজরকাড়া লিপস্টিক শেড। শুরুতেই ৫টি নান্দনিক শেড নিয়ে দেশের বাজারে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার পাওয়ার পর, ভোক্তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন ১০টি শেড নিয়ে এলো ব্র্যান্ডটি।

নতুন পুরোনো মিলিয়ে মোট ১৫টি বৈচিত্র্যপূর্ণ শেড দিয়ে সাজানো ম্যাক্স বিউ লিপস্টিক রেঞ্জ সৌন্দর্য পিপাসুদের মাঝে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করবে এমনটাই মনে করছেন সবাই।

ম্যাক্স বিউ সিল্ক ফিনিশ লিপস্টিক মানেই লং লাস্টিং স্মুথ টেক্সচার ও ময়েশ্চারাইজিং প্রপার্টিজে দিনভর নজরকাড়া ঠোঁটের গ্ল্যামার। এর স্মথ টেক্সচার প্রথম অ্যাপ্লিকেশনেই মসৃণভাবে ঠোঁটে বসে যায় আর সারাদিন থাকে কমফরটেবল।

ময়েশ্চারাইজিং প্রোপার্টি আর্দ্রতা বজায় রেখে ঠোঁটকে শুকিয়ে যেতে দেয় না যার ফলে দিনভর লিপস্টিক যেমন থাকে নিখুঁত তার পাশাপাশি ঠোঁটও থাকে কোমল। আর এর বিল্ডেবল ফর্মুলা অ্যাপ্লিকেশন অনুযায়ী লিপস্টিকের রঙে এনে দেয় ভিন্ন মাত্রা যাতে করে ইচ্ছেমতো হালকা বা গাঢ় রঙের মেকআপ করা যায় খুব সহজেই।

রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের কালার কসমেটিকসের ক্যাটেগরি হেড, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর হাসান ফারুক বলেন, “রূপসজ্জায় পূর্ণতার স্লোগান নিয়ে অল্প দিনেই দেশজুড়ে ভোক্তাদের কাছে অভাবনীয় গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে ম্যাক্স বিউ। তাই ভোক্তাদের চাহিদার কথা চিন্তা করে এবার আমরা নিয়ে এসেছি তাদের পছন্দের এই ব্র্যান্ডটির নতুন আরো ১০টি আকর্ষণীয় শেড। আমাদের বিশ্বমানের ফ্যাক্টরিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ম্যাক্স বিউ সিল্ক ফিনিশ লিপস্টিক খুব দ্রুত দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ক্রেতাদের মন জয় করে নিবে আমি দৃঢ় বিশ্বাসী।”

হালকা কিংবা গাঢ়, প্রেফারেন্স যেমনই হোক না কেন, সব ধরনের মেকআপ লাভারদের জন্যই কিছু না কিছু রয়েছে এই ১৫টি শেডের দুর্দান্ত কালেকশনে যা পাওয়া যাচ্ছে হারল্যান স্টোর আউটলেট, হারল্যান ডটকম ওয়েবসাইট, ও স্বনামধন্য সব সুপারস্টোরগুলোতে। মভ, ম্যাজেন্টা ও চকলেট ব্রাউনের মত জনপ্রিয় সব শেড এর পাশাপাশি রয়েছে ব্রিক রেড, ল্যাভেন্ডার ও বেরির মত ইউনিক শেড। তাই জমকালো পার্টি, অফিসের ফর্মাল লুক, অথবা ক্যাজুয়াল কোন আড্ডার আসর, অকেশন যাই হোক না কেন ম্যাক্স বিউ সিল্ক ফিনিশ লিপস্টিকের ১৫টি দৃষ্টিনন্দন শেড থেকে সহজেই বেছে নেওয়া যাবে মানানসই শেডটি।

নতুন এই কালেকশনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভর প্রসাধনী পণ্যের পরিবর্তে অথেনটিক ও আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি পণ্য দেশের মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো ম্যাক্স বিউ।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক মন্ত্রী গাজী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে দুটি মামলার অনুমো

সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার স্ত্রী তারাবো পৌরসভার সাবেক মেয়র হাসিনা গাজীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ২৮৮ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ পৃথক দুটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৫ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। 

তিনি জানান, গোলাম দস্তগীর গাজীর নামে মোট ৪৪৮ কোটি ৪২ লাখ ১৭ হাজার ৩২ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এই সময়ে তার সর্বমোট গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৪২৪ কোটি ৯০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৫০ টাকা। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ২৩ কোটি ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮২ টাকা।

এছাড়া তার নিজ ও প্রতিষ্ঠানের নামে ৬টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২৫৭ কোটি ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে আয়ের উৎস আড়াল করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

ফলে অনুসন্ধন টিমের সুপারিশের আলোকে কমিশন গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় একটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে।

এছাড়া গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী হাসিনা গাজী তার নিজ নামে ১৫ কোটি ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৯৩১ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার সর্বমোট গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৬ কোটি ২৭ হাজার ৩৭৬ টাকা। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়ের উৎস-বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৯ কোটি ৬৯ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৫ টাকা। 

এছাড়া হাসিনা গাজীর নিজ নামে ৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫১৩ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে আয়ের উৎস আড়াল করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

ফলে অনুসন্ধান টিমের সুপারিশের আলোকে কমিশন হাসিনা গাজীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় একটি মামলাসহ পৃথক ২টি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে।

উল্লেখ্য. ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ওই দিনই ভারতে গিয়ে অবস্থান করলেও আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, সাবেক এমপি ও দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।

আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পরে তাকে স্কুলছাত্র রোমান মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা-পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি আছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক মন্ত্রী গাজী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে দুটি মামলার অনুমোন
  • সাবেক মন্ত্রী গাজী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে দুটি মামলার অনুমো