বার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা করার দাবি রাবির আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের
Published: 6th, March 2025 GMT
বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষার আবেদন ফি ৪ হাজার ২০ টাকা থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের একদল শিক্ষার্থী। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত না নিলে সারা দেশের আইনের শিক্ষার্থীরা চলমান সার্কুলার প্রত্যাখ্যান করে একযোগে কর্মসূচি পালন করবে জানিয়ে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সম্প্রতি ঘোষিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বার কাউন্সিল পরীক্ষার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২০ টাকা, যা দেশের তরুণ আইন শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অসহনীয়। এই উচ্চ ফি অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পক্ষে বহন করা অসম্ভব, বিশেষ করে যাঁরা গ্রামাঞ্চল বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ভবিষ্যৎ আইনজীবী।’
কামরুল হাসান আরও বলেন, ‘দেশের অন্য পাবলিক পরীক্ষা যেমন বিসিএস, ব্যাংক নিয়োগ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক পর্যায়ে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পরও আবেদন ফি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ বার কাউন্সিল পরীক্ষার আবেদন ফি ৪ হাজার ২০ টাকা নির্ধারণ করে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে, যা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
দাবি আদায় না হলে চলমান সার্কুলার প্রত্যাখ্যানের হুঁশিয়ারি দিয়ে কামরুল হাসান বলেন, ‘এ দাবি কোনো রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলন, যেখানে দেশের আইন অনুষদের শিক্ষার্থী এবং সচেতন নাগরিকদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আমরা বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হলে সারা দেশের আইন শিক্ষার্থীরা একযোগে চলমান সার্কুলার প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে হামলা ও লুটপাট, আহত ১২
সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গ্যাস সিলিণ্ডার ব্যবসায়ী কাউসার, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আলিফ লায়লা ও তার পরিবারের সদস্যসহ অন্তত ১২ জনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নামধারী কাজী ইসলাম বাহিনীর বিরুদ্ধে।
দোকানে হামলা চালিয়ে লুট করা হয়েছে নগত ৩ লাখ টাকা ও গ্যাস সিলিণ্ডারের বোতলসহ প্রায় ১৩ লাখ টাকার মালামাল। রবিবার (২ মার্চ) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় ৩ দফা এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনজীবী আলিফ লায়লা বাদী হয়ে কাজী ইসলামকে প্রধান করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহতরা হলো, দোকান মালিক কাউসার (৩৩), তার বড় ভাই আনিসুর রহমান(৫২), সেজু ভাই ফেরদৌস(৪৫), মো. হিজবুল্লাহ(৩৯), বোন আলিফ লায়লা(৩৬), ভাতিজা আশিক(৩০), নিবির(২৩) ও দোকান কর্মচারী সিফাত (২০)। আহত অন্যরা হলেন ভূক্তভোগী পরিবারের নারী। গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত কাজী ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গবদ্ধ একটি দল রোববার সকালে সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় বাদীর ছোট ভাই মো. কাউসারের গ্যাস সিলিণ্ডার দোকানে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় কাউসার ও তার ভাতিজা আশিককে মারধর করে।
বিকেলের মধ্যে দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে বিকেলে আবার দোকানে গিয়ে চাঁদা না পেয়ে কাউসারকে মারধর শুরু করে। এ খবর পেয়ে কাউসারের বড় ভাই আনিসুর রহমান, সেজু ভাই ফেরদৌস, মো. হিজবুল্লাহ, বোন আলিফ লায়লা ও ভাতিজা নিবির ছুটে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা চালিয়ে বেধরক মারধর করে।
ইফতারের পর আবার কাজী ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র দা, ছুরি, চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে কাউসারের দোকানে হামলা চালিয়ে নগত ৩ লাখ টাকা ও গ্যাস সিলিণ্ডারের বোতলসহ প্রায় ১৩ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে। পরে হামলা চালায় ভূক্তভোগীদের বাড়িতে। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ২ জন গুরুতরসহ ১২ জনকে আহত করে। এসময় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। তখন এলাকার লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়।
জানতে চাইলে কাজী ইসলাম বলেন, মসজিদের জায়াগা জবরদস্তি করে তারা দোকান নির্মাণ করেছে। আমি মসজিদ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা। মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে আমরা সে দোকানটি ভেঙ্গে দেই। চাঁদা চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।