ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও  জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্পোরেট চুক্তি ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এই চুক্তির আওতায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক, কমকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণে বিশেষ ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো.

ইয়াহিয়ার উপস্থিতিতে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও হাসপাতালের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মুরাদ হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান শাহ, ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং অ্যান্ড রিকোভারি ডিভিশনের প্রধান মিজানুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশনের প্রধান এস এম  আজহারুল ইসলাম, মার্কেটিং ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের প্রধান মো. ফরিদুর রাহমান জালাল, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিভিশনের প্রধান নাজিম আনওয়ার  এবং হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার মো. শহীদুল আলম রিপন।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ হলে কিছু সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে, বাকিগুলো করবে রাজনৈতিক সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছয়টি কমিশনের সুপারিশ করা সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে সংলাপ শেষে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ (জুলাই চার্টার) স্বাক্ষর করবে। অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদের সুপারিশগুলোর কিছু অংশ বাস্তবায়ন করবে এবং বাকিগুলো বাস্তবায়ন করবে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘রাইট টু ফ্রিডম’–এর প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম বি মাইলাম আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এ সময় ‘রাইট টু ফ্রিডম’–এর নির্বাহী পরিচালক জন ড্যানিলোউইচ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই কথা জানানো হয়েছে।

সাবেক দুই কূটনীতিক উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন ড্যানিলোউইচ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে রাইট টু ফ্রিডমের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তাঁরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তার অংশ হিসেবে তাদের প্রচেষ্টার পরিকল্পনার কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস রাইট টু ফ্রিডমের কাজ এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে এগিয়ে নিতে সহায়তা প্রচেষ্টার জন্য তাঁদের প্রশংসা করেন।

মাইলাম ১৯৯০–এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূত ছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশে ব্যাপক সংস্কার এবং একটি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জন ড্যানিলোউইচ। তিনি বলেন, ভুয়া খবর ও ভুল তথ্যের বিপদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ইতিবাচক বয়ান এবং জোরালো প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কূটনীতিকদের বলেন, ছয়টি কমিশনের সুপারিশকৃত সংস্কারের ওপর সংলাপ শেষে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ স্বাক্ষর করবে। ‘জুলাই চার্টার আমাদের পথ প্রদর্শন করবে’, উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদের সুপারিশগুলোর কিছু অংশ বাস্তবায়ন করবে এবং বাকিগুলো বাস্তবায়ন করবে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের আগে কম সংস্কারে সম্মত হলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হবে। অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাবেক দুই কূটনীতিকের সাক্ষাতে বর্তমান বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, আগের আমলে চুরি যাওয়া কোটি কোটি ডলার উদ্ধার, সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার প্রধান উপদেষ্টার প্রচেষ্টাসহ নানা বিষয়েে আলোচনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ