ওজু ছাড়া ব্যাট-বল ধরেন না মুশফিক: স্ত্রীর পোস্ট
Published: 6th, March 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তার বিদায়ে আবেগি বার্তা দিয়েছেন স্ত্রী জান্নাতুল কেফায়েত মন্ডি। সোস্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ওজু ছাড়া ব্যাট-বল ধরেন না মুশফিক। সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, সমালোচনা যেন কারো কান্নার কারণ না হয়।
মন্ডি লিখেছেন- ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে তোমার বিদায় আনন্দের হোক এই প্রত্যাশা করি। অসাধারণ ওয়ানডে ক্যারিয়ার পার করেছ তুমি। নিজে থেকে সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে পরিশ্রম করতে দেখেছি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভাঙা পাঁজর নিয়ে খেলেছ, একসঙ্গে ২০টা পর্যন্ত ব্যথানাশক খেয়েছ।
তুমি কখনো নিজের জন্য নয়, দল ও দেশের জন্য খেলেছ। পাশে এমন একজন সৎ মানুষ পাওয়া আমার জন্য আর্শীবাদ, যে ওজু না করে ব্যাট-বল স্পর্শ করে না। তুমি অসাধারণ ফ্যামিলি ম্যান। বাচ্চাদের খুব প্রিয় মানুষ। শাহরোজ তোমার গুবাবলি পাবে এবং তোমাকে জীবনের আদর্শ করবে এমনই আমার চাওয়া।
জানি এটা তোমার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে আরও ভালো সময় অপেক্ষা করছে তোমার জন্য। এখন পর্যন্ত তুমি যা কিছু করেছ, তাতে পরিবার তোমার প্রতি পুরোপুরি সন্তুষ্ট, বাকি পৃথিবী তোমাকে নেতিবাচকভাবে নিলে নিক। সমালোচকদের আমি বলবো- সমালোচনা এমনভাবে করবেন না, যেন কাউকে নামাজের পাটিতে বসে কাঁদতে হয়। আমরাও মানুষ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ত্র ঠেকিয়ে তিন অটোরিকশাচালক ও শ্রমজীবীর ঘরে ডাকাতি
চট্টগ্রামের পটিয়ার ভাটিখাইন এলাকার করল গ্রামে গভীর রাতে অস্ত্র ঠেকিয়ে তিনটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার শিকার তিনটি পরিবারই নিম্ন আয়ের। ডাকাতেরা তাদের ঘর থেকে নগদ টাকা, সোনার গয়না, মুঠোফোন সেটসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ভাটিখাইন ইউনিয়নের করল এলাকার সিএনজিচালক আবু তাহের এবং দিনমজুর তৌহিদুল আলম ও তাঁর ছোট ভাই ওবাইদুল আলমের ঘরে ডাকাতি হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে গেলে গৃহকর্তা সিএনজিচালক আবু তাহের বলেন, তাঁরা পরিবারের সবাই রাত ১১টার দিকে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন। তাঁর স্নাতকপড়ুয়া ছেলে এহসান তাঁদের একটি কক্ষে বসে পড়ছিল। রাত প্রায় ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাঁর ছেলে হঠাৎ বাইরে ডাকাত ডাকাত চিৎকার করে ওঠে। এ সময় ছেলের কাছে গিয়ে দেখেন, সাত-আটজনের মতো অচেনা লোক ঘরে ঢুকে পড়েছে। তারা অস্ত্রের মুখে তাঁদের বেঁধে মারধর করতে থাকে। এরপর চাবি নিয়ে আলমারি খুলে নগদ ২৫ হাজার টাকা, মোবাইল সেটসহ ৬০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
আবু তাহেরের পাশের ঘরে দিনমজুর ওবাইদুল আলমের ঘরে এর কিছুক্ষণ পর ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওবাইদুল বলেন, রাতে ঘরের বাইরে পুকুরে তিনি হাত-মুখ ধুতে গিয়ে অচেনা লোকজন দেখে ডাকাত বলে চিৎকার দেন। এ সময় তারা তাঁকে অস্ত্র দিয়ে জোরে আঘাত করে। এরপর তাঁরা ঘরে ঢুকে তাঁর স্ত্রীর এক জোড়া কানের দুল, নগদ ৯ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
ওবাইদুলের ভাই তৌহিদুল আলমের বাড়িতেও ওই রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তাঁদের মা রাশেদা বেগম বলেন, ডাকাতেরা তাঁর হাতের এক জোড়া চুড়ি, স্বর্ণের ৫ আনা ভরি দুল এবং আলমারি থেকে নগদ ৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, খবর পেয়ে তিনি রাতেই তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, তাঁরা গরিব মানুষ, তাঁদের ঘরে কেন এ ঘটনা ঘটবে, তা বুঝতে পারছেন না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে পটিয়ার ভাটিখাইনে ডাকাতির ঘটনার এক দিন আগে গত মঙ্গলবার মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-৯ জন পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একাধিক দেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।