পৃথিবীর যে অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘমেয়াদি রোগবালাই কম হয় এবং যাঁদের গড় আয়ু অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের চেয়ে বেশি, সেসব অঞ্চলকে বলা হয় ব্লু জোন। জাপান, ইতালি, গ্রিস, কোস্টারিকা ও যুক্তরাষ্ট্র—এসব দেশের কিছু অংশ পড়ছে এই ব্লু জোনে। বুঝতেই পারছেন, সেখানে সুস্থ অবস্থাতেই বার্ধক্যে পৌঁছান অধিকাংশ মানুষ। আর ৯০ পেরোনো মানুষের সংখ্যাও সেখানে অনেক বেশি। তবে এই সুস্থতার জন্য তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান না; বরং তাঁদের গোটা জীবনধারাই স্বাস্থ্যকর।

শরীরচর্চা জীবনেরই অংশ

এসব এলাকার মানুষ কর্মমুখর জীবনযাপন করেন। হাঁটাচলা, বাগান করা কিংবা ঘরের কাজ করার মাধ্যমেই তাঁদের কায়িক শ্রম হতে থাকে দিনভর। এক গবেষণার ফলাফল বলছে, যিনি যত বেশি দূরত্ব হাঁটেন কিংবা যত বেশি সিঁড়ি ভেঙে ওঠেন, তাঁর আয়ু তত বেশি হয়। দিনভর বসে কাজ করার চেয়ে হাঁটাচলা এবং অন্যান্য কায়িক শ্রম যে শরীরের জন্য বেশি প্রয়োজন, তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এ থেকে।

কায়িক শ্রম করলে ক্যানসার কিংবা হৃদ্‌রোগের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সমালোচকদের সতর্ক করে বাবরের বাবা, ‘মুখ খুললে সহ্য করতে পারবেন না’

এই মুহূর্তে বাবর আজমের পাশে কে আছেন? কথা যেহেতু পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে হচ্ছে, খারাপ সময়ে খুব বেশি মানুষকে বাবর পাশে পাবেন না। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা যে অন্যের সমালোচনার জন্য ‘বিখ্যাত’! এই সময়ে তাঁর পাশে থাকার জন্য নয় তাঁদের।

খারাপ সময়ে বাবর পাশে পেয়েছেন শুধু তাঁর বাবাকেই। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়ার পর বাবরের বাবা আজম সিদ্দিকই আবার বাবরের হয়ে ব্যাট ধরলেন। বাবরের সমালোচনা করা সাবেক ক্রিকেটারদের সতর্ক করেও দিয়েছেন তিনি।

বাবর টি-টোয়েন্টি দল থেকে কেন বাদ পড়েছেন? এই বাবর গত বছরের আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলেও ছিলেন। ২৪ ম্যাচে রান করেছিলেন ৭৩৮, সেটিও ১৩৩.২১ স্ট্রাইক রেটে। পাকিস্তানের হয়ে গত বছর সর্বোচ্চ রান এই বাবরের ব্যাট থেকেই এসেছে। এরপরও তাঁকে টি-টোয়েন্টির নতুন শুরুর পথে বাধা মনে করছেন নির্বাচকেরা। সে কারণেই তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

আমি সব সম্মানিত ও কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে অনুরোধ করছি, কথা বলার সময় সতর্ক থাকুন। যদি কেউ জবাব দেয়, তাহলে হয়তো সহ্য করতে পারবেন না।বাবর আজমের বাবা

দল থেকে বাদ পড়েছেন, সঙ্গে নিয়মিত সাবেকদের কড়া কথার মুখে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ককে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাবর ব্যর্থ হয়েছেন, এটা ঠিক। তবে ব্যর্থতা তাঁর একার ছিল না। এই দলে থাকা বেশির ভাগ ক্রিকেটারই তো পারফর্ম করতে পারেননি। সে কারণেই তো দল হিসেবে জয়হীন থেকে সবার আগে বাদ পড়েছে দলটি। তবে সব সমালোচনা যে শুনতে হয় বাবরকেই, যা অনেক সময় ছাড়িয়ে যায় ভদ্রতার সীমাও।

সে কারণেই বাবরের বাবা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সব সম্মানিত ও কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে অনুরোধ করছি, কথা বলার সময় সতর্ক থাকুন। যদি কেউ জবাব দেয়, তাহলে হয়তো সহ্য করতে পারবেন না। আপনারা অতীত, আর এই দরজা কখনো খুলবে না।’

টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা দলে থাকার পরও বাদ পড়া নিয়ে কথা বলেছেন বাবরের বাবা, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি দলের বছরের সেরা দলে থাকা এবং ক্যাপ পাওয়া সত্ত্বেও দল থেকে বাবর বাদ পড়েছে। এটি ব্যাপার নয়। সে জাতীয় টি-টোয়েন্টি ও পিএসএলে ভালো পারফরম্যান্স করবে এবং শিগগিরই দলে ফিরে আসবে।’

আরও পড়ুনপারভেজের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর জয়, জিতেছে মোহামেডানও১ ঘণ্টা আগে

পাকিস্তানের সমর্থকদের বাবরের রেকর্ডের দিকে চোখ বোলানোর অনুরোধ করেছেন তিনি, ‘যারা ক্রিকেট ভালোবাসেন, আমি তাঁদের অনুরোধ করছি, সারা দিন অনেক কথা বলে যারা সমস্যা তৈরি করে, তাদের কথা শোনার আগে একবার পিসিবির ওয়েবসাইটে তার পারফরম্যান্স দেখে নিন। বাকিদের জন্য এটুকুই যথেষ্ট। পাকিস্তান চিরজীবী হোক।’

বাবরের বাবা বাবরের বিষয়ে অনেক কথা বলেন, এমন একটা কথা পাকিস্তান ক্রিকেটে শোনা যায়। এই অভিযোগেরও কড়া জবাব দিয়েছেন বাবরের বাবা, ‘কেউ কেউ বলে, বাবরের বাবা অনেক কথা বলে। আমি তার (বাবরের) প্রথম ও শেষ কোচ, মুখপাত্র, পরামর্শক এবং সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী।’

আরও পড়ুনআইপিএলে ড্রেসিংরুমে নিষিদ্ধ খেলোয়াড়দের বউ–বান্ধবী০৪ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ