চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফীর সঙ্গে অভিনেত্রী তমা মির্জার প্রেম- এ গুঞ্জন অনেক দিন ধরে। মাঝে তাদের সম্পর্ক নেই বলেও চর্চায় আসে। তবে সম্প্রতি চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফীর জন্মদিনের পরিবার নিয়ে কেক কাটার ছবি প্রকাশ করার পর থেকেই নতুন করে আলোচনায় তারা। কথা উঠে রাফী-তমা নাকি চুপিসারে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। তবে  বিষয়টি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তমা। এবার জানালেন এক থেকে দেড় বছর ধরে কোনো সম্পর্কে নেই তমা।

 এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তমা। ভবিষ্যতে রাফীর সঙ্গে সম্পর্কটা কোথায় গড়াবে, প্রেম কিংবা বিয়ের মতো কিছু ঘটবে কি? জানতে চাইলে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন নায়িকা।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ কী আমি জানি না। কারণ, আমার ভাগ্যে কী আছে, আমি জানি না। আমি আজকে একটা কথা বলব, কালকে সেই জিনিসটা হবে না, এটা নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করবে বা প্রশ্ন তুলবে, এমন প্রশ্নের সম্মুখীন আমি হতেই চাই না। আমি আমার বর্তমান প্রসঙ্গে জানি, এই বর্তমানে আমি কোনো সম্পর্কে জড়িত নই। গত এক-দেড় বছরে আমি কোনো সম্পর্কে নেই, নিশ্চিত। সামনে কী হবে, সেটা সামনে বলতে পারব। অগ্রিম কিছু বলতে পারব না।

এর আগে রাফীর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক উল্লেখ করে তমা বলেছিলেন, ‘রাফীর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা পারিবারিক। কেননা, একসঙ্গে আমরা বেশকিছু কাজ করেছি, তাই রাফীর পরিবারের সঙ্গে এক ধরনের যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। শুধু আমারই নয়; সিয়াম, পূজাসহ আরও অনেকের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য।’

মুক্তির অপেক্ষায় আছে তমা অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘আমলনামা’। এটি নির্মাণ করেছেন রাফী। অন্যদিকে ঈদে আসছে অভিনেত্রীর সিনেমা ‘দাগি’। এতে তার বিপরীতে আফরান নিশো। পরিচালক শিহাব শাহীন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়: বাংলাদেশ জাসদ

সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। আজ শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরে দলটি।

আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠকের শুরুতে নিজেদের প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ পাঠ করেন বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন।

মুশতাক হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্যই চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান উল্লেখ করার ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে নব্বইয়ের গণ–অভ্যুত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ। এই গণ–অভ্যুত্থানকেও সংবিধানে মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও ৭ মার্চের ভাষণ অপসারণ তাঁরা সমর্থন করেন না। দেশের নাম বাংলাতে পরিবর্তনকে তাঁরা অনাবশ্যক বলে মনে করেন।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ