কিশোরগঞ্জ বার নির্বাচনে সভাপতিসহ পাঁচ পদে আওয়ামীপন্থীদের জয়
Published: 6th, March 2025 GMT
কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি পদসহ ৫টি পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী ঘরানার প্রার্থী। আর সাধারণ সম্পাদকসহ ৯টি পদে জয়ী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থীরা। আওয়ামী ঘরানার কোনো প্যানেল ছিল না। সবাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রার্থী হয়েছিলেন। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম মাহবুবুর রহমান। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শহিদুল আলম শহীদ ৪২১ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয়বার সভাপতি হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৮০ ভোট। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রতন ২৯১ ভোট পেয়ে টানা পঞ্চমবার সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুল ইসলাম হুমায়ুন পেয়েছেন ১৩৪ ভোট।
সহ-সভাপতি হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রার্থী মো.
কমিটিতে ৫টি সদস্য পদ রয়েছে। সবাই সমঝোতার ভিত্তিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী ঘরানার সদস্য হলেন কফিল উদ্দিন, সারোয়ার জাহান সানি ও সোহাগ মিয়া। জাতীয়তাবাদী প্যানেলের সদস্যরা হলেন, আবু তাহের হারুন ও আহসানুজ্জামান নাসির। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৬০৬ জন। ভোট দিয়েছেন ৫৩৭ জন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আইনজ ব হয় ছ ন ঘর ন র আওয় ম সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামীপন্থী ৬১ আইনজীবী কারাগারে, ১৯ জনের জামিন
হামলা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় আওয়ামীপন্থী ৬৪ আইনজীবীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে ৩ জন জামিন নামঞ্জুরের আদেশ শুনে পালিয়ে যান। পরে ৬১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান মানিক, গাজী শাহ আলম, মাহবুবুর রহমান, আসাদুর রহমান খান রচি, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম।
আরো পড়ুন:
নাটোরে ৩ পরিবহনকে জরিমানা
ডাবল মার্ডারে গ্রেপ্তার, তাহসিন হত্যাকাণ্ডে রিমান্ডে ছোট সাজ্জাদ
জামিন পাওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আবু সাঈদ সাগর, শারমিন সুলতানা হ্যাপি, সালেহা আক্তার শিল্পী, জেসমিন আক্তার, তাসলিমা ইয়াসমিন নদী, শিখা ইসলাম, মিতা, শায়লা পারভীন পিয়া ও সালমা হাই টুনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার এজাহারনামীয় ১১৫ আইনজীবী হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পান। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ সোমবার (৭ এপ্রিল) শেষ হবে। এজন্য হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়া ৮৩ জন আইনজীবী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত দুপুরে জামিন শুনানির সময় নির্ধারণ করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।
এছাড়া ৬৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে ৩ জন আদেশ শুনে আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জহুরুল ফয়েজ এসব তথ্য জানান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে আসামিরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে বেআইনিভাবে অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ বলে স্লোগান দেন।
ঢাকা/মামুন/এসবি