কুয়েট প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি
Published: 6th, March 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র দুই প্রকৌশলীকে হুমকি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি।
বুধবার (৫ মার্চ) খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতি প্রদান করার বিষয়টি জানানো হয়।
খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিল্টন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মহানগরীর অর্ন্তগত খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করেছে বিএনপি।
মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড.
এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে বেগম রেহানা ঈসাকে আহবায়ক করে ১ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত সোমবার (৩ মার্চ) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত ও মো. গোলাম কিবরিয়াকে থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ হোসেন মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও হুমকি দেন। একই দিন বিকালে নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াতকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি নেতা মোল্লা সোহাগ হোসেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন পপসম্রাট আজম খান
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চলতি বছর আট বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। এ তালিকায় রয়েছেন ‘পপসম্রাট’ আজম খান। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
বাংলা পপ গান গেয়ে এ দেশের সাধারণ মানুষের মন জয় করেন আজম খান। শুধু তাই নয়, এ ঘরানার গান গেয়ে ‘পপ সম্রাট’ উপাধি লাভ করেন। সবাই তাকে গুরু বলেও সম্বোধন করতেন। আজম খান ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আজম খান ক্লাস নাইনে পড়াকালীন অনুধাবন করতে পেরেছিলেন পাকিস্তানি শাসকরা বিভিন্নভাবে দেশের মানুষকে অনেক নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এমন অনুভব শক্তি আজম খানকে বিপ্লবী চিন্তার মানুষে পরিণত করে। সেই সময় তিনি জানতে পারেন ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর কথা। গণসংগীতের চর্চা করতেন এই শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা। বন্ধুদের সঙ্গে এই শিল্পীগোষ্ঠী সংগীত পরিবেশন করতে থাকেন আজম খান।
আরো পড়ুন:
ইসলামি রীতিতে দাফন চান কবীর সুমন
‘শয়তানের খপ্পর থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে’
ধীরে ধীরে মানুষের প্রশংসা পাওয়ার পর এই শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শুরু করেন। তাদের সাধারণ মানুষের জীবনের অভাব ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হতো গানে গানে। প্রতিবাদী গান গাওয়ার জন্য পুলিশের লাঠির বাড়িও খেয়েছেন আজম খান। গণ–আন্দোলনের সময়গুলোতেও গান করে গেছেন বরেণ্য এই শিল্পী।
আজম খানের গাওয়া অনেক জনপ্রিয় গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এত সুন্দর দুনিয়ায়’, ‘অভিমানী’, ‘অনামিকা’, ‘পাপড়ি’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আমি যারে চাইরে’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ও চাঁদ সুন্দর’, ‘বাধা দিয়ো না’, ‘ও রে সালেকা ও রে মালেকা’ ও ‘জীবনে কিছু পাব না রে’।
২০১১ সালের ৫ জুন অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে অনন্তের পথে পাড়ি জমান পপ সম্রাট।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে প্রদান করে আসছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে এই পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র প্রদান হয়।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত