ছাগল বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নারী নিহত
Published: 6th, March 2025 GMT
রাজবাড়ীতে ছাগল বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম জহুরা খাতুন (৪৩)। তিনি স্থানীয় গঙ্গাপ্রসাদপুর এলাকার মৃত রহম ব্যাপারীর মেয়ে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে বাড়ির সামনে রেললাইনে কাছে তিনটি ছাগল চরাতে দেন জহুরা। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে তিনি ছাগলগুলো আনতে যান। রেললাইনের সঙ্গে ছাগলের রশি পেঁচিয়ে যাওয়ায় সেটি ছাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া থেকে ‘ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ফরিদপুরের ভাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। দ্রুতগতিতে ট্রেনটি চলে আসায় তিনি দুটি ছাগলের রশি ছাড়াতে পারেননি। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যান জহুরা।
জহুরার ভাই পানজু ব্যাপারী বলেন, তাঁর বড় বোন (জহুরা) কানে কম শুনতে পেতেন। তিনি বাড়িতে গরু-ছাগল দেখাশোনা করতেন। ট্রেনের হুইসেল ঠিকমতো শুনতে না পাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁদের ধারণা।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানান, খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতেই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
কোমল পানীয় কেনা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ-বাড়িতে আগুন, নিহত ১
কোমল পানীয় কেনা নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বাড্ডা ও বাড়াইল গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
নিহত আজিজ মিয়া (৬০) বাড্ডা গ্রামের মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে। গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সলিমগঞ্জ বাজারে গত ৩ এপ্রিল ইসহাক মিয়ার দোকানে কোমল পানীয় ‘পেপসি’ কিনতে যান বাড্ডা গ্রামের এক যুবক। এ সময় দোকানির সাথে ওই যুবকের ঝগড়া ও মারামারি হয়। এতে বাড্ডা গ্রামের জজ মিয়ার ছেলেসহ তিনজন আহত হন। এই খবর পেয়ে বাড্ডা গ্রামের লোকজন বাড়াইল গ্রামের একটি বাড়িতে আগুন দেয় ও কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে। এই ঘটনার পর থেকে উভয়গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এমনকি দুই গ্রামে লোকজন আলাদা আলাদাভাবে মিটিং করে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। যদিও প্রশাসনের সহযোগিতায় আগামী ১ মে সমঝোতায় বসার কথা ছিল। কিন্তু বাড্ডা গ্রামের লোকজন আজ দুপুরে বাড়াইল গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনজন আহত হন। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে বাড্ডা গ্রামের আজিজ মিয়া নিহত হন।
আহতদের মধ্যে কাইয়ুম মিয়া (৫৫), আরিফুল ইসলাম (১২), জাফর আলী, রজবআলী, ওয়াস করনি, আলী মিয়া, তাহের মিয়া, মিজান মিয়া, জুনায়েদ আহমেদ, মাসুম মিয়া, মানিক মিয়া, কামাল মিয়া প্রমুখ।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রাজ্জাক ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয় গ্রামের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।