Samakal:
2025-04-28@19:39:29 GMT

সিদ্ধান্ত জানাবেন রিয়াদ

Published: 6th, March 2025 GMT

সিদ্ধান্ত জানাবেন রিয়াদ

হঠাৎই ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এবার কি তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পালা?

মাহমুদউল্লাহর চেয়ে চার বছরের ছোট স্টিভেন স্মিথ। সেই হিসাবে চাইলে আরও এক-দুই বছর ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে পারতেন অজি তারকা। তা না করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বলে দিলেন তিনি। অসি ব্যাটারের বিদায়ের পর দেশের ক্রিকেটে আলোচনা– স্মিথের মতো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়ার সাহস দেখাতে না পারার বিষয়টি। 

এ সিনিয়র ক্রিকেটার নিজের অবসর সম্পর্কে বিসিবিকে কিছু জানাননি। তাই বাধ্য হয়ে মাহমুদউল্লাহর পরিকল্পনা জানতে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সোমবারের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ মাথায় রেখে জাতীয় দল গড়া হবে। সেই বিবেচনায় মাহমুদউল্লাহকে না রাখার পক্ষে তারা। তাই এ ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানা জরুরি মনে করে বিসিবি। 

আজ এ ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম। তামিম ইকবাল ছন্দে থাকার পরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন। সাকিব আল হাসানেরও বাধ্যতামূলক বিদায় হয়ে গেছে। বিসিবি কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করবেন মাহমুদউল্লাহ। তার বাস্তবায়ন দেখতে না পেয়ে দ্বিধায় পড়ে গেছেন বিসিবি কর্মকর্তারা। তবে ভালো খবর, মাহমুদউল্লাহ নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে চেয়েছেন। 

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান ফাহিম পরিচালনা পর্ষদের সোমবারের সভায় এ তথ্য দিয়েছেন। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা না করার পেছনে এটা একটি কারণ বলে মনে করেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। 

পারফরম্যান্স বিবেচনায় মাহমুদউল্লাহকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রেখেছেন জাতীয় দল নির্বাচকরা। তিনি অবসর নিলে অটো বাতিল হবে চুক্তি। নীরবে বিদায় নিতে চাইলে ২০২৫ সালের পুরো বেতন পাবেন তিনি। এ বিষয়টিও সিনিয়র ক্রিকেটারকে অবসর ভাবনায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন পরিচালকরা। 

মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ও টি২০ ছেড়েছেন আগেই। গত বছর ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলে টি২০ ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন তিনি। সেই থেকে কেবল ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছেন মিডল অর্ডার এ ব্যাটার। বিসিবি চায় না ৩৯ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও থাকেন। মাহমুদউল্লাহ চাইলে জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠেয় পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নেবে বিসিবি। 

মুশফিকের বিষয়টি ছিল একটু আলাদা। টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলেন তিনি। উইকেটরক্ষক এ ব্যাটারের টেস্ট খেলা নিয়ে আপত্তি নেই বোর্ডের। তিনি চাইলে টেস্ট ক্যারিয়ার ২০২৬ সাল পর্যন্ত টেনে নিতে পারেন। তবে ওয়ানডের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ছিলেন না মুশফিক। 

এর মধ্যেই মুশফিক গতকাল রাতে তাঁর ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেলও চেয়েছিল এমন কিছু। বিসিবি পরিচালক আকরাম খান মিডিয়াকে বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড়ই বুঝতে পারে তার ভবিষ্যৎ কী। আমরা চাই সিদ্ধান্তটা ও নিক। বেশি সমস্যা হলে টিম ম্যানেজমেন্ট এবং খেলোয়াড় বসে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো।’ 

তবে পরিচালকদের মধ্যে ভিন্নমতই বেশি। একজন পরিচালক বলেন, ‘সবকিছুর একটা সময় আছে। আমার মনে হয়, মাহমুদউল্লাহ দেশকে অনেক দিয়েছে। তবে ভবিষ্যৎ জাতীয় দল বিবেচনা করা হলে তারা থাকবে না।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ত য় দল

এছাড়াও পড়ুন:

‘এবং বই’ বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

বইবিষয়ক পত্রিকা ‘এবং বই’-এর আয়োজনে বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেমিনার কক্ষে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও রাষ্ট্রচিন্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নায়লা ইয়াসমিন ও সাংবাদিক, গবেষক ড. কাজল রশীদ শাহীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং বই সম্পাদক ও প্রকাশক ফয়সাল আহমেদ।

এই প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত ছিল বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও গবেষক আবদুর রউফ চৌধুরীর ‘রবীন্দ্রনাথ: চির-নূতনেরে দিল ডাক’, ও ‘নজরুল : সৃজনের অন্দরমহল’ নামের দুটো বই।

রিভিউয়ে অংশ নেওয়া সেরা দশজন বিজয়ীর হাতে প্রায় ৬০ হাজার টাকার পুরস্কার তুলে দেন অথিতিবৃন্দ। এর মধ্যে ছিল প্রথম পুরস্কার দুটি ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার দুটি ৫ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার দুটি ৩ হাজার টাকা করে। এ ছাড়াও নির্বাচিত সেরা ৪ জনকে ২ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। নগদ অর্থমূল্যের সঙ্গে প্রথ্যেককে এক হাজার টাকা করে সমমূল্যের বই ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়।

অয়োজনের বিজয়ীরা হলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ: চির-নূতনেরে দিল ডাক’ গ্রন্থে সুমন মজুমদার (প্রথম), পলাশ মজুমদার (দ্বিতীয়), কবীর আলমগীর (তৃতীয়), ইলিয়াস বাবর (বিশেষ) ও সিদ্দিকী হারুন (বিশেষ)। ‘নজরুল : সৃজনের অন্দরমহল’ গ্রন্থে নার্গিস সুলতানা (প্রথম), জাকিয়া সুলতানা (দ্বিতীয়), শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী (তৃতীয়), রাকিবুল রকি (বিশেষ) ও জোবায়ের মিলন (বিশেষ)।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, এবং বই বইয়ের সমালোচনা প্রকাশ করছে এটা ভালো উদ্যোগ। যারা সমালোচনা লিখেন তাদের মনে রাখতে হবে এই ভাষায় বিদ্যাসাগর লিখেছেন, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র লিখেছেন, বেগম রোকেয়া, এস ওয়াজেদ আলী লিখেছেন। তাদেরই উত্তরাধীকারী আমরা। এই অবস্থা থেকে আমরা নিচে নেমে গেছি। আমাদেরকে ওপড়ে ওঠতে হবে। যারা সমালোচনা লিখবেন তারা তাদের নিজের মত অনুযায়ীই লিখবেন, কিন্তু অন্যদের মত বিবেচনায় রাখবেন।

লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, এখন যদি একটি সার্ভে হয় যে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের বই পড়েছি কিনা? প্রতি একশো জনে একজন পাওয়া যাবে। যদি বলি টলস্টয় পড়েছি কিনা? হয়তো এক হাজার জনে একজন পাওয়া যাবে। তরুণদের কথা বাদই দিলাম, আমি বয়স্কদের সঙ্গে আলাপ করে দেখেছি এই সময়ে প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, ইট-বালু-সিমেন্ট-কাঠ। এখানে বই, সিনেমা, গান, ছবির প্রদর্শনী কী হচ্ছে এসব নিয়ে কনসার্ন নেই।

কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নায়লা ইয়াসমিন বলেন, যখন আমরা ক্রমশ বই থেকে দূরে সড়ে যাচ্ছি, ছোট্ট ছোট্ট লেখা পড়ছি, রিলস্ দেখে সময় কাটাচ্ছি। যেখানে চিন্তার জগৎটাই ছোট হয়ে আসছে। এমন একটা সময়ে এই আয়োজন করে এবং বই অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এবং বইকে ধন্যবাদ জানাই।

সাংবাদিক, গবেষক ড. কাজল রশীদ শাহীন বলেন, প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত দুটো বই-ই গবেষণামূলক। যার একটি কাজী নজরুল ও অপরটি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে। আমরা সাধারণত দেখি একজন লেখক যে কোনো একটি বিষয়কে নিয়েই গবেষণা করেন, কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম লেখক আবদুর রউফ চৌধুরী। যিনি নজরুল এবং রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে দুটো বড়ো ধরণের গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন। প্রচলিত ধারার প্রতিষ্ঠানিক গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসে লেখক একটি নিজস্ব ও সতন্ত্র ধারায় বই দুটি লিখেছেন। এবং বই বুক রিভিউর জন্য এই বই দুটিকে নির্বাচন করে একটি মাইলফলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এবং বই সম্পাদক ও প্রকাশক ফয়সাল আহমেদ বলেন, প্রথমবারের মতো এবং বই এই আয়োজন করেছে, ভুল- ত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটি একটি কঠিন কাজ ছিল। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও উপস্থিত সুধীজন সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান লেখক আবদুর রউফ চৌধুরীর পুত্র ড. মুকিদ চৌধুরীকে এই আয়োজনে এবং বই এর পাশে থাকার জন্য।

পুরস্কার জয়ী নার্গিস সুলতানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমি এবং আমার মেয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। মেয়ের উৎসাহেই মুলত আমার বুক রিভিউ লেখা। সুন্দর আয়োজনের জন্য এবং বইকে ধন্যবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কথাশিল্পী মনি হায়দার, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক সত্যজিৎ রায় মজুমদার, প্রকাশক হাসান তারেক, ঔপন্যাসিক মাসউদ আহমাদ, শামস সাইদ, ভ্রমণ লেখক গাজী মনসুর আজিজ ও কবি মাজহার সরকার, এবং বুক রিভিউ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া পুরস্কারপ্রাপ্তরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তরুণকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী
  • ৯ জেলায় বজ্রপাতে ১৫ জনের মৃত্যু
  • ৭ জেলায় বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু
  • ৬ জেলায় বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু
  • ভারতে পুলিশ বাহিনীর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যের ওপর হামলা
  • আর্নে স্লট: কিংবদন্তির জায়গা নিলেন এবং নিজেই কিংবদন্তি হয়ে গেলেন
  • পেহেলগামের ঘটনায় একের পর এক বাড়ি ধ্বংস, সরকারকে সতর্ক করল কাশ্মীরের দলগুলো
  • গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ
  • ‘এবং বই’ বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
  • সেজনি: অবসর ভেঙে ফিরে বার্সার হয়ে ইতিহাস লিখছেন যিনি