চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার (৫ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাতটা মূলত গোলরক্ষকদের। বার্সেলোনার বয়েচেক শেজনি বেনফিয়ার বিপক্ষে করেছেন ৭টি সেভ। অন্যদিকে শেষ ষোলোর আরেক ম্যাচে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের বিপক্ষে লিভারপুলের গোলরক্ষকও আলিসন বেকারও হয়ে উঠলেন ‘চীনের প্রাচীর’। প্যারিসের ক্লাবটির বিপক্ষে অসাধারণ দক্ষতা দেখানোর পর আলিসন জানালেন এটি তার জীবনের সেরা পারফরম্যান্স। আর লিভারপুল ম্যানেজার আর্নে স্লট আলিসনকে ‘বিশ্ব সেরা’ বলেছেন!

মাঠ পার্ক দে প্রিন্সে ম্যাচের শুরু থেকেই পিএসজি ও লিভারপুল কেউ কাওকে ছেড়ে কথা বলেনি। তবে পরিস্কার সুযোগ তৈরীতে একচেটিয়া দাপট দেখিয়েছে স্বাগতিক ক্লাব পিএসজি। তবে এরপরও সোনার হরিণ গোলের দেখা পাচ্ছিল না। পাবে কিভাবে? ম্যাচে অল রেডদের গোল রক্ষক আলিসন ঠেকালেন পিএসজির ৯টি দুর্দান্ত শট। এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের বীরত্বেই পিএসজির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে লিভারপুল।

এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হবে। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে লিভারপুল বস স্লট মোহাম্মদ সালাহকে তুলে মাঠে নামান তরুণ ফুটবলার হার্ভি এলিয়টকে। এই একটি পরিবর্তনই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। মাঠে নামার পর মাত্র ৪৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে স্বাগতিক পিএসজির জালে বল জড়িয়ে দিলেন এলিয়ট।

আরো পড়ুন:

লিভারপুলের মানসিকতার প্রশংসায় স্লট  

হেরে তরুণ ফুটবলার কেনার কথা জানালেন গার্দিওলা

সাম্প্রতিক সময়ে পিএসজি দারুণ ফর্মে আছে। তারা আক্রমণাত্মক শক্তি নিয়ে বেশ আশাবাদীও ছিল। কিন্তু লিভারপুলের গোলকিপারকে পরাজিত করার কোনো উপায় খুজে পায়নি ফ্রান্সের জায়ান্টরা। দলের আক্রমণে ছিলেন উসমান দেম্বেলি, ব্র্যাডলি বারকোলা ও খিচা কাভারাস্কেইয়া। তবে তারা আলিসনের বিপক্ষে ছিলেন অসহায়।

চ্যাম্পিয়নস লিগর এক ম্যাচে ক্লিন শিট রেখা গোলরক্ষকদের মাঝে আলিসনের ৯টি সেভ এই মৌসুমে সবচেয়ে বেশি। ম্যাচ শেষে আলিসন বলেন, “সম্ভবত আমার জীবনের সেরা পারফরম্যান্স… কোচ আমাদের বলেছিলেন যে পিএসজির বিপক্ষে খেলা বেশ কঠিন হবে। আমরা প্রস্তুত ছিলাম। প্রতিপক্ষ নিয়ে বিশ্লেষণ করে জানলাম কী আসছে, তাদের দলে কী পরিমাণ গুণগত মান রয়েছে। প্রস্তুতিস্বরূপ আমরাও কঠোর পরিশ্রম করেছি।”

অল রেড কোচ স্লট তার গোলরক্ষককে প্রশংসায় ভাসিয়ে বলেছেন, “আমার মনে হয় না আমি এমন কোনো গোলরক্ষকের সঙ্গে কাজ করেছি, যে এই পর্যায়ে খেলে। স্বাভাবিকভাবেই সে (আলিসন) বিশ্বের সেরা। আমি অনেক ভালো ফিল্ড ফুটবলারের সঙ্গে কাজ করেছি, কিন্তু আমি কখনও বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক পায়নি। আমার কাছে সেই সেরা। আজ সেটা আবারও প্রমাণ করেছে।”

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসজ চ য ম প য়নস ল গ প এসজ র

এছাড়াও পড়ুন:

সূর্যকুমার ও পান্ডিয়ার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের পরও মুম্বাইয়ের হা

তখন ম্যাচ শুরু হতে প্রায় ঘণ্টা খানেক বাকি। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের একানা স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর কায়রন পোলার্ড একটা স্বারক জার্সি উপহার দিলেন ব্যাটসম্যান সূর্য কুমার যাদবকে। খানিক বাদে মাঠে গড়ানো লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ‘স্কাই’ খ্যাত এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের মুম্বাইয়ের জার্সিতে শততম। অষ্টম ক্রিকেটার হিসাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে শততম ম্যাচ খেললেন সূর্যকুমার। তবে তার এই বিশেষ ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখতে পারল না মুম্বাই।

টস জিতে প্রথমে লক্ষ্ণৌকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। মিচেল মার্শ, এডিন মার্করাম ও ডেভিড মিলারের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করে লক্ষ্ণৌ। জবাব দিতে নেমে ২.২ ওভার শেষে সফরকারী দলটির সংগ্রহ ছিল ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করে তারা । তিনে নামা নামন ধীর ও মুম্বাইয়ের জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলতে নামা সূর্যকুমারের ব্যাটিংয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় অতিথি দলটি। তবে সেটা যথেষ্ট ছিল না জয়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানেই থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস। ১২ রানের জয় পায় লক্ষ্ণৌ।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌর ওপেনার মার্শ একাই রান তুলতে থাকেন। ৯ চার ও ২ ছক্কায়, ৩১ বলে ৬০ রান করে, সপ্তম ওভারের শেষ বলে মার্শ সাজঘরে ফিরেন। তখন আরেক ওপেনার মার্করামের রান মাত্র ১৪! টপ অর্ডারে এই দুই ব্যাটার ছাড়া আর কেউ রান পাননি। নিকোলাস পুরান করেন ১২। এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন ঋষভ পন্থ। করেন মাত্র ২ রান।

আরো পড়ুন:

স্টার্ক-ডু প্লেসিস-ম্যাকগার্কে হায়দরাবাদকে হারালো দিল্লি

প্রায় ১৮ বছর পর ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের ‘অন্যরকম’ হার

তবে আয়ুশ বাদোনিকে নিয়ে সেই চাপ সামলে নেন মার্করাম। গড়েন ৫১ রানের জুটি। ৪টি চারে বোদানি ১৯ বলে করেন ৩০ রান। এরপর স্বদেশী মিলারকে সাথে নিয়ে নিজের সহজাত ব্যাটিং করে যান মার্করাম। এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৫৩ রান করেন। অন্যদিকে কিলার খ্যাত মিলারের অবদান ছিল ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ বলে ২৭ রান। বল হাতে মুম্বইয়ের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন কাপ্তান হার্দিক। একটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, অশ্বনী কুমার, ভিগনেশ পুথুর।

ম্যাচ শুরু আগে অনুশীলনে চোট পাওয়ায় এই ম্যাচে ছিলেন না রোহিত শর্মা। তার বদলি হিসেবে ওপেনিংয়ে খেলা উইল জ্যাকস করেন মাত্র ৫ রান। রায়ান রিকেলটনের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। ধীর বেশ দাপুটের সঙ্গেই খেলছিলেন। তবে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায়, ২৪ রানে ৪৬ রানে থামতে হয় তাকে। সূর্যকুমার নিজের চেনা ছন্দে খেলে ৪৩ বলে ৬৭ রান করেন। স্কাই তার ইনিংস সাজান ৯ চার ও ১ ছক্কায়। তিনি ফেরার পরেই রানের গতিটা কমে যায়।

তিলক বর্মা চেষ্টা করলেও রাতটা তাঁর জন্য ছিল না। ২৩ বলে ২৫ রান করার পর মুম্বাই ম্যানেজম্যান্ট তাকে রিটার্য়াড হার্ট করায়। শেষে হার্দিক ১৬ বলে ২৮ রান করলেও পারেননি দলকে জেতাতে। শেষ তিন ওভারে রানের পাহাড় চেপে দিয়ে বাজিমাত করে লক্ষ্ণৌ। আকাশ দীপ, শার্দূল ঠাকুর ও আবেশ খানরা নেন ১টি করে উইকেট।

আসরে এখন পর্যন্ত সমান ৪টি করে ম্যাচ খেলেছে এই দুই দল। যেখানে লক্ষ্ণৌর জয় ২টিতে। অন্যদিকে মাত্র ১টি ম্যাচ জিতে রীতিমত ধুঁকছে মুম্বাই।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অগ্রণী ব্যাংককে জেতালেন তাইবুর
  • ইউনাইটেড সমর্থকদের ‘ক্লাসলেস’ বললেন গার্দিওলা
  • অ্যালেন স্বপন ফিরলেন, রোমাঞ্চ ফিরল কি
  • প্রস্তুতি ম্যাচে প্রত্যাশিত ফল
  • ই-বাইক
  • হাইব্রিড সোলারে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ
  • শান্তদের জিম্বাবুয়ে সিরজের ক্যাম্পে ছাড়তে চায় না ক্লাবগুলো
  • আবাহনীর রেকর্ড গড়া জয়ের নায়ক মোসাদ্দেক
  • সূর্যকুমার ও পান্ডিয়ার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের পরও মুম্বাইয়ের হা
  • ৩ কোটি টাকায় ১ রান, ফেরারির দামে অটোরিকশার পারফরম্যান্স