১ মিনিট…

মানসিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান মানুষেরা কোনো কিছুতে চট করে প্রতিক্রিয়া দেখান না। তাঁরা নেতিবাচক এনার্জিটা তৈরি বা বিস্ফোরিত হওয়ার আগেই তা প্রতিহত করতে পারেন। তবে বেশির ভাগ মানুষই খুব সহজে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। চেষ্টা করুন ১ মিনিট পর প্রতিক্রিয়া দেখাতে। এই ১ মিনিটে আপনার ভেতরে চট করে জন্ম নেওয়া রাগ–ক্ষোভ অনেকটাই প্রশমিত হয়ে যাবে। শতকরা ৮০ ভাগের বেশি সম্ভাবনা, আপনি আর প্রতিক্রিয়াই দেখাবেন না।

৫ সেকেন্ড…

যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে ৫ সেকেন্ড সময় নিন। এর মধ্যে সচেতনভাবে শ্বাস নিন। আর ধীরে ধীরে ছাড়ুন। প্রশ্নকর্তার চোখে চোখ রাখুন। এবার উত্তর দিন। এতে নিজেকে সংবরণ করে নিরপেক্ষভাবে উত্তর দেওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।

আরও পড়ুনমানসিক সহায়তা বনাম বন্ধুসুলভ পরামর্শ১০ জুলাই ২০২৪কেউ অযথাই আপনার সমালোচনা করছে, এর কী মানে

কেউ আপনার সম্পর্কে খারাপ কথা বলছে, সমালোচনা করছে বা শত্রুতাবশত মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। এর মানে সে আদতে নিজেকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ফলে আদতে তার নিজের চরিত্রই বেরিয়ে পড়ছে। এটা তার ‘নেতিবাচক এনার্জি’। আপনি এমন কোনো ‘ইমোশনাল ব্যাগেজ’ বহন করবেন না, যেটা আপনার নয়।

‘ট্রিগার্ড’ বা উত্তেজিত হওয়াও মন্দ নয়

আপনি কি জানেন, নেতিবাচকতা, শত্রুতা—এসব আপনাকে সফল হতে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে? যখন কেউ সমালোচনা করে, ভালো করে ভেবে দেখুন, সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার কিছু আছে কি না। থাকলে নিজেকে শুধরে নিন। আরও সতর্ক হোন। এতে আদতে সে আপনার উপকারই করল। যে আপনাকে টিটকারি করে বলেছে, ‘তোমাকে দিয়ে তো এই কাজ হবে না’, এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। তার জন্য নয়, নিজেকে দেখিয়ে দিন যে কাজটা আপনি পারেন। কিছু মানুষ চ্যালেঞ্জিং পরিবেশের প্রভাবে নেতিবাচক এনার্জিটাকে আরও কয়েক গুণ করে নিজের জন্য ইতিবাচকতায় বদলে ফেলে। যেকোনো পরিস্থিতিতে চিন্তা করে, এখান থেকে আমি কী নিতে পারি, যার ফলে উপকৃত হব।

আরও পড়ুনচোট ও মানসিক অবসাদ কাটিয়ে ফেরা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এক অনুপ্রেরণার নাম১৩ নভেম্বর ২০২৩নীরবতার শক্তি

কথা কম বলুন। অযথা তর্ক করতে যাবেন না। নিজের অবস্থান ব্যাখা করতে যাবেন না। এতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য আরও বেশি করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে; বরং নীরব থাকুন। আপনি যখন যুক্তিসহ প্রয়োজনীয় কথাটুকু বলবেন, তখন সবাই সেটাকে গুরুত্ব দেবে।

নিজেকে জানার অসীম ক্ষমতা

আপনি যখন নিজেকে ভালোভাবে জানবেন, চিনবেন, নিজের সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধন গড়বেন, তখন অন্য কারও কথায় আপনি সহজে আহত হবেন না। কেননা, আপনি নিজেকে ভালোভাবে জানেন। আপনার আবেগ, অনুভূতিকেও সহজে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

সূত্র: মিডিয়াম

আরও পড়ুনকখন বুঝবেন আপনার প্রেমের অনুভূতি মানসিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে৩০ অক্টোবর ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন পপসম্রাট আজম খান

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চলতি বছর আট বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। এ তালিকায় রয়েছেন ‘পপসম্রাট’ আজম খান। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।  

বাংলা পপ গান গেয়ে এ দেশের সাধারণ মানুষের মন জয় করেন আজম খান। শুধু তাই নয়, এ ঘরানার গান গেয়ে ‘পপ সম্রাট’ উপাধি লাভ করেন। সবাই তাকে গুরু বলেও সম্বোধন করতেন। আজম খান ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আজম খান ক্লাস নাইনে পড়াকালীন অনুধাবন করতে পেরেছিলেন পাকিস্তানি শাসকরা বিভিন্নভাবে দেশের মানুষকে অনেক নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এমন অনুভব শক্তি আজম খানকে বিপ্লবী চিন্তার মানুষে পরিণত করে। সেই সময় তিনি জানতে পারেন ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর কথা। গণসংগীতের চর্চা করতেন এই শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা। বন্ধুদের সঙ্গে এই শিল্পীগোষ্ঠী সংগীত পরিবেশন করতে থাকেন আজম খান।

আরো পড়ুন:

ইসলামি রীতিতে দাফন চান কবীর সুমন

‘শয়তানের খপ্পর থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে’

ধীরে ধীরে মানুষের প্রশংসা পাওয়ার পর এই শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শুরু করেন। তাদের সাধারণ মানুষের জীবনের অভাব ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হতো গানে গানে। প্রতিবাদী গান গাওয়ার জন্য পুলিশের লাঠির বাড়িও খেয়েছেন আজম খান। গণ–আন্দোলনের সময়গুলোতেও গান করে গেছেন বরেণ্য এই শিল্পী।

আজম খানের গাওয়া অনেক জনপ্রিয় গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এত সুন্দর দুনিয়ায়’, ‘অভিমানী’, ‘অনামিকা’, ‘পাপড়ি’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আমি যারে চাইরে’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ও চাঁদ সুন্দর’, ‘বাধা দিয়ো না’, ‘ও রে সালেকা ও রে মালেকা’ ও ‘জীবনে কিছু পাব না রে’।

২০১১ সালের ৫ জুন অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে অনন্তের পথে পাড়ি জমান পপ সম্রাট।

স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে প্রদান করে আসছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে এই পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র প্রদান হয়।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ