স্বামী দলনেতা, স্ত্রী উপ দলনেতা, ইতালিতে কোন গেমসে যাচ্ছে বাংলাদেশ
Published: 6th, March 2025 GMT
একই গেমসে স্বামী দলনেতা, স্ত্রী উপ দলনেতা। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অতীতে কখনো এমন হয়নি। সেদিক থেকে এটি রেকর্ডও বটে।
ইতালির তুরিনে ৮ মার্চ শুরু হতে যাওয়া শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ১২তম স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড উইন্টার গেমসের বাংলাদেশ দলে স্বামী-স্ত্রীকে দেখা যাবে প্রায় একই ভূমিকায়। দুজনের নামটাও বলে দেওয়া যাক। আবুল হাশেম ও কামরুন নাহার ডানা।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে দুজনই পরিচিত মুখ। ব্যাডমিন্টনে পুরুষ বিভাগে প্রথম ট্রিপল ক্রাউন পেয়েছেন আবুল হাশেম, সেটি ১৯৯০ সালে ক্যারিয়ারের শেষ দিকে। ডানা ট্রিপল ক্রাউন পেয়েছেন তিনবার। তিনবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন ডানা। আবুল হাশেমও তিনবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। দুজনে জাতীয় প্রতিযোগিতায় মিশ্র দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
১৯৭৯ সালে খেলোয়াড় হিসেবে আমরা চীনে গিয়েছিলাম ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে। এরপর কয়েকবার যাওয়া হয়েছে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে। ১৯৯৪ সালে সর্বশেষ একই আসরে যাই একসঙ্গে। হাশেম ছিল খেলোয়াড়, আমি আম্পায়ার। ৩১ বছর পর আবার এক সফরে আমরা।কামরুন নাহার ডানাহাশেদ-ডানা সংসার পেতেছেন ১৯৮৫ সালে। দুজনই জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত। আবুল হাশেম বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের ক্রীড়া পরিচালক। ডানা এই সংস্থার একজন পরিচালক। সেই সুবাদেই তাঁদের এই সফরে যাওয়া।
ক্রীড়া দম্পত্তি আবুল হাশেম ও কামরুন নাহার ডানা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাড়তি ভ্রমণে বিরক্ত মিলার ফাইনালে কিউইদের সমর্থক
বুধবার (৫ মার্চ, ২০২৫) দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিউইদের দেওয়া ৩৬৩ রানের পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে নেমে ৫০ রানে ম্যাচ হারে প্রোটিয়ারা। ম্যাচে বিধ্বংসী এক শতক হাঁকিয়েও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন ডেভিড মিলার। কিলার খ্যাত বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ম্যাচ হারের পেছনে সরাসরি দায়ী করলেন অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণকে। বিরক্ত মিলার এটাও জানিয়ে দিলেন; যাদের বিপক্ষে হেরে শেষ চার থেকে ছিটকে পড়া, সেই কিউইদের ফাইনালে সমর্থন দিবেন।
নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলছে দুবাইয়ে। আইসিসি থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়া দলটি ফাইনালে ওঠায় দুবাইয়েই হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। আসরের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারত-নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল। সমীকরণের মারপ্যাঁচে এই ম্যাচের আগে নির্ধারিত হয়নি সেমিফাইনালে কার বিপক্ষে কোন দল খেলবে। তাই গত ১ মার্চ দুবাইয়ের প্লেন ধরতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে।
অস্ট্রেলিয়াকে অনুসরণ করে পরদিন দক্ষিণ আফ্রিকাও একই গন্তব্যে পৌঁছায়। কারণ, ভারতের প্রতিপক্ষ হলে তাদেরও দুবাইয়েই খেলতে হবে। শেষ পর্যন্ত অজিদের প্রতিপক্ষে হিসেবে পায় রোজিত শর্মার দল। তাই কোন কাজে ক্রিকেটিয় কর্মসূচিতে অংশগ্রণ না করেই প্রোটিয়াদের আবারও দুবাই থেকে ফিরতে হয়েছে পাকিস্তানে।
এই ঘটনাটা স্বাভাবিকভাবেই নিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও ভদ্রতা দেখিয়ে সেমি ফাইনালের আগে কিছুই বলেনি তারা। তবে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হারার পর এই ব্যাপের আর চুপ থাকতে পারেননি মিলার। এই ম্যাচে ৬৭ বলে অপরাজিত ১০০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলা মিলার বলেন, “যদিও স্রেফ এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইট, তার পরও তো সেটা আমাদেরকে করতে হয়েছে। একটি ম্যাচ শেষে ভোরে আমাদেরকে রওনা দিতে হয়েছে। বিকেল ৪টায় আমরা দুবাইয়ে গিয়েছি। পরদিন সকাল সাড়ে সাতটায় আবার ফিরে আসতে হয়েছে। এসব কখনোই ভালো লাগার মতো কিছু নয়। এমন নয় যে ৫ ঘণ্টার ফ্লাইট ছিল। রিকভারির যথেষ্ট সময় ছিল। তবে অবশ্যই পরিস্থিতি আদর্শ নয়।”
আরো পড়ুন:
ভারতের বিপক্ষেও জিততে চাই: স্যান্টনার
১৬ বছর পর ফাইনালে নিউ জিল্যান্ড
যেহেতু দল হিসেবে প্রোটিয়ারা অসম্ভব পেশাদার, তাই সেমিফাইনালে ৫০ রানে হারের পছনে ভ্রমণকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করালেন না মিলার, “টপ অর্ডার থেকে ভালো কিছু অবদান ছিল। গোটা দুই ফিফটি ছিল টপ অর্ডারে। বেশ শক্ত ভিত পেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মাঝের ওভারগুলোয় আমরা দুটি উইকেট বেশি হারিয় ফেলি। দিনশেষে, এটা দলীয় প্রচেষ্টা। উইকেট ভালো হলেও, ৩৬০ রান তাড়া করা সহজ নয় কখনোই। রাতে শিশিরও পড়েনি।”
এ্গকা কোন ভনিতার আশ্রয় না নিয়ে মিলার স্পষ্ট করেই বলেছেন, ফাইনালে তিনি কিউইদের সমর্থন দেবেন। মিলারের ভাষায়, ‘আমি সৎ উত্তরই দেব, আমি নিউজিল্যান্ডকেই সমর্থন দেব। তবে দুটি দলই অবিশ্বাস্যরকমের ভালো।”
ঢাকা/নাভিদ