মাঠে খেলছেন বিরাট, গ্যালারিতে ঘুমাচ্ছেন আনুশকা!
Published: 6th, March 2025 GMT
গায়ে সাদা রঙের টপ। ক্রিকেট মাঠের গ্যালারিতে হেলান দিয়ে বসে ঘুমাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে এমন দৃশ্য দেখা যায়। যা এখন রীতিমতো ভাইরাল।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দারুণ পারফরম্যান্স করছে ভারতীয় টিম। বিরাট কোহলির চমৎকার হাফ সেঞ্চুরির বদৌলতে অস্ট্রেলিয়াকে সেমি ফাইনাল ম্যাচে হারিয়েছে ভারত। এই ম্যাচের দিন মাঠে হাজির ছিলেন বিরাটের স্ত্রী আনুশকা শর্মা।
ভিআইপি স্ট্যান্ডে বিরাটকে সমর্থন করতে এবং টিম ইন্ডিয়ার জন্য চিয়ার করতে দেখা গিয়েছে আনুশকাকে। তবে ম্যাচ চলাকালীন কয়েক মুহূর্তের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলে তিনি। আর সেই ভিডিও এখন অন্তর্জালে ভাইরাল।
আরো পড়ুন:
সঞ্জয়ের বাড়িতে শর্ট ড্রেস পরে যাওয়ার অনুমতি নেই: আমিশা
ভেঙে গেল তামান্না-বিজয়ের প্রেম!
নেটিজেনদের একজন ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেন, “আনুশকা ঘুমিয়ে পড়েছেন। আচ্ছা, ম্যাচ কি এতটাই বোরিং ছিল?” আরেকজন লেখেন, “বেচারি খুব ক্লান্ত। দুটো ছোট বাচ্চা সামলেও ম্যাচ দেখতে এসেছে।”
তবে নেটিজেনদের একাংশ ভিন্ন যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন। একজন লেখেন, “আরে বাবা প্রার্থনা করছে। এরকমটা আগেও দেখা গিয়েছে।” আরেকজন লেখেন, “বিরাটের জন্য প্রার্থনা করছে। এভাবে গালে হাত রেখে কে ঘুমোয়!” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়।
দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করেন বিরাট-আনুশকা। কিন্তু মিয়া-বিবি কেউ-ই মুখ খুলছিলেন না। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন এই যুগল।
২০২০ সালের আগস্টে আনুশকার প্রথম সন্তানের মা হতে যাওয়ার খবর জানা যায়। এরপর বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট করেন এই অভিনেত্রী। ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি কন্যা সন্তানের মা হন আনুশকা। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন এই অভিনেত্রী। এরপর থেকে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন আনুশকা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়া হয়
যেকোনো ধরনের বিপদ-আপদ সামনে এলে বলা হয় ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’। বিশ্বাসীরা কেবল মুখে বলা নয়; বরং মনে মনে এ কথা স্বীকার করে নেওয়া যে আল্লাহর কর্তৃত্বাধীন। আর নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব—এর অর্থ হচ্ছে, চিরকাল এ দুনিয়ায় থাকা যাবে না। একদিন আল্লাহরই কাছে যেতে হবেই।
‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ অর্থ সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতটি কোরআন শরিফের প্রসিদ্ধ আয়াত। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। অর্থ (তারাই ধৈর্যশীল) যারা তাদের ওপর কোনো বিপদ এলে বলে আমরা তো আল্লাহরই আর নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব। কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে পড়েন। অনেকে মনে করেন, মানুষের মৃত্যুসংবাদ পেলে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়তে হয়। বরং ইন্না লিল্লাহ পড়ার অনেক কারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে। এই পবিত্র বাক্য আল্লাহকে স্মরণ রাখার বড় উপায়।
আরও পড়ুন যেকোনো সময় এই দোয়া করা যায়১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে (কাউকে) ভয় ও ক্ষুধা দিয়ে, আর (কাউকে) ধনে–প্রাণে বা ফল–ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে পরীক্ষা করব। আর যারা ধৈর্য ধরে, তাদের তুমি সুখবর দাও। (তারাই ধৈর্যশীল) যারা তাদের ওপর কোনো বিপদ এলে বলে, [ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন] ‘আমরা তো আল্লাহর আর নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব।’ এসব লোকের প্রতি তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে আশীর্বাদ ও দয়া বর্ষিত হয়, আর এরাই সৎ পথপ্রাপ্ত। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭) এ তিনটি আয়াতে বিষয়টি সুস্পষ্ট। কারা ইন্না লিল্লাহ পড়বেন, কোনো পরিস্থিতিতে পড়বেন এবং পড়লে কী উপকার।
বিশ্বাসীরা বিপদে পড়লে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পাঠ করেন। কেউ বিপদে পড়লে যেন এ দোয়াটি পাঠ করে। একাধারে যেমন সওয়াব পাওয়া যায়, তেমনি অর্থের প্রতি লক্ষ রেখে পাঠ করা হয়, তবে বিপদের মধ্যেও শান্তি লাভ করবে বিপদ থেকে উত্তরণও সহজ হয়ে যায়।
কোনো বিপদে বান্দার মুখে উচ্চারিত হয় এই দুটি বাক্য—এর অর্থ আল্লাহর ফয়সালা সর্বান্তঃকরণে মেনে নিচ্ছি। আর আখিরাতে বিশ্বাস করি, তাই এ বিপদে সবরের বিনিময় তাঁর কাছে প্রত্যাশা করছি। দুটি বাক্যে ইমানের মৌলিক সাক্ষ্য দেওয়া হয়। তাই এর ফজিলতও অনেক।
আরও পড়ুনতওবা করলে আল্লাহ খুশি হন ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩বিপদের সময় বলতে হবে উম্মে সালামা (রা.)–এর বরাতে হাদিস থেকে জানা যায়। তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)–কে বলতে শুনেছি, কোনো মুসলিমের ওপর বিপদ এলে যদি সে বলে, আল্লাহ যা হুকুম করেছেন—ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন (অর্থাৎ আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তারই কাছে ফিরে যাব) বলে এবং এই দোয়া পড়ে, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফলি খাইরাম মিনহা ইল্লা আখলাফাল্ল হুলাহ খয়রাম মিনহা (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে আমার মুসিবতে সওয়াব দান করো এবং এর বিনিময়ে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করো, তবে মহান আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করে থাকেন।) উম্মে সালামা (রা.) আরও বলেন, আবু সালামা যখন ইন্তেকাল করেন, আমি মনে মনে ভাবলাম, আবু সালামা থেকে উত্তম মুসলিম আর পাব না। এরপর আমি দোয়া পড়লাম। এরপর মহান আল্লাহ আবু সালামার স্থলে রাসুল (সা.)–এর মতো স্বামী দান করেছেন। উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আমার কাছে রাসুল (সা.) বিয়ের পয়গাম দেওয়ার জন্য হাতিব ইবনে আবু বালতা (রা.)–কে পাঠালেন। আমি বললাম, আমার একটা মেয়ে আছে আর আমার জিদ বেশি। তখন রাসুল (সা.) বললেন, তার মেয়ে সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করব, যাতে তিনি তাকে তার মেয়ের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন। আর (তার সম্পর্কে) দোয়া করব যেন আল্লাহ তার জিদ দূর করে দেন। (মুসলিম: ৯১৮)
আরও পড়ুনপরিবারের জন্য অভিভাবক দোয়া করবেন০৭ মার্চ ২০২৪