ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মসজিদে স্যান্ডেল হারানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৫ মার্চ) রাতে উপজেলার গোকুলনগর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে ওই দিগনগর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক ও ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমানের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। গত কয়েকদিন ধরে গ্রামের মসজিদে তারাবিহ নামাজে আব্দুল মালেকের লোকজনের স্যান্ডেল হারিয়ে যায়। বুধবার রাতে আবারো স্যান্ডেল হারালে উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দু'পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের কয়েকটি বাড়িঘরও ভাঙচুর হয় ।

শৈলকূপা থানা ওসি মাসুম খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

আতিউর-বারাকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

নিষেধাজ্ঞাভুক্ত অন্যরা হলেন—বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ ও অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র নাথ, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক, এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এবং পরিচালক মো. আবু তালহা।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ ওই ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এজাহারনামীয় ২৩ আসামির বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা রেকর্ডপত্র তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকে বন্ধক দেওয়া জমিতে কোনো ভবন, কারখানা বা স্থাপনা না থাকা সত্ত্বেও তাতে স্থাপনা দেখিয়ে মূল্যায়ন করে স্থাপনাবিহীন ৩ কোটি ৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকার জমিকে অতিমূল্যায়িত করে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করেন। এর মাধ্যমে আসামিরা জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ