Risingbd:
2025-03-06@10:48:21 GMT

নওশাবার ঈদ কালেকশন

Published: 6th, March 2025 GMT

নওশাবার ঈদ কালেকশন

উৎসবে পোশাকে ‘গর্জিয়াস ভাইভ’ না থাকলেই যেন নয়! কিন্তু প্রকৃতিতে একটু একটু করে গরম বাড়ছে তাই পোশাকটি গর্জিয়াস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরামদায়কও হওয়া চাই। এই দুই বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ঈদ পোশাক তৈরিকে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের ফ্যাশন জগতের উদ্যোক্তারা। ফ্যাশন হাউস ঋতি’র স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার মুসাররাত নওশাবার ঈদ কালেকশন সম্পর্কে জানাবো আজকের এই আয়োজনে।

ঋতি’র ঈদ কালেকশনে বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে শাড়ি আর পাঞ্জাবী। মুসররাত নওশাবা বলেন, ‘‘বরাবরের মতোই এবারের ঈদ কালেকশনে আমি শাড়ি রাখছি। কারণ আমি শাড়ি ডিজাইন করতে খুব পছন্দ করি। এবারের ঈদ কালেকশনে থাকলে কাপল সেট, কিছু টপস আনার চেষ্টা করছি। ইয়াং জেনারেশনের মেয়েরা এটা পছন্দ করবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রকৃতিতে আস্তে আস্তে গরম চলে আসছে তাই গরমে যাতে পোশাকগুলো আরামদায়ক হয় সেই অনুাযায়ী পোশাকের ফেব্রিক বেছে নিয়েছি। ফেব্রিকে সব সময় চেষ্টা করি একটু ভিন্ন ধরণের রং আনার জন্য। যেহেতু উৎসব সেজন্য ফেব্রিকে অরগাঞ্জা, সেমি সিল্ক ফেব্রিক বেছে নিয়েছি।  সেমি সিল্কটা একটা গর্জিয়াস ম্যাটেরিয়াল। এটার সঙ্গে থাকছে সেমি মসলিন আর সাথে তো সুতি থাকছেই।’’

আরো পড়ুন:

পোশাকে থাকুক আরাম আর উৎসবের আমেজ

বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ 

সবমিলিয়ে ঋতি’র এবারের ঈদ কালেকশনে শাড়ি, টপস, পাঞ্জবীতে প্রাধান্য পেয়ে বাংলার প্রকৃতি, সুরমা, ভায়োলেট, পুস ইন টু রংকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। শাড়ির মধ্যে ডিজিটাল প্রিণ্ট শাড়িকে বেশি কালারফুল করা হয়েছে। এছাড়া একটি থিমেটিক ডিজাইন নিয়ে এসেছে ঋতি। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাখির চোখে বাংলাদেশ’। বাংলাদেশের যত ধরণের রং আছে, যেমন নদী, মাঠ, ঘাট এগুলোর আলাদা রং ও রংয়ের শেড রয়েছে। বাংলার এমন রং নওশাবা তুলে এনেছেন তার ডিজাইন করা শাড়ির জমিনে। পাঞ্জাবী তৈরি হয়েছে সুতি এবং ভিসকস ফেব্রিকে। 

নওশাবা বলেন, ‘‘এই থিমেটিক কাজটি করার ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করেছে বাংলাদেশের আর্টিস্ট পেইজ ‘ড্রপস’। আমি চেষ্টা করেছি এই শাড়ির মাধ্যমে বাংলাদেশের ন্যাচারাল রিসোর্স, মাঠ, ঘাট, নদী, নানা রকমের ফসলের রং তুলে আনার জন্য।’’

ঈদের দিন নিজেও শাড়ি পরবেন নওশাবা। তিনি বেছে নেবেন সেমি মসলিনের ডিজিটাল প্রিণ্ট শাড়ি। এই ফেব্রিককে আরামদায়ক মনে করেন নওশাবা। 

দরদাম: ঋতি’র সবচেয়ে দামী শাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে অরগাঞ্জার অর্নামেন্টের শাড়ি। এই শাড়িতে ব্লক, স্টোন ওয়ার্ক, ম্যাচিং টার্সেল এবং পাড়ে লেস লাগানো হয়েছে। দাম পড়বে সর্বোচ্চ ২৯৫০ টাকা। সুতি শাড়ির দাম শুরু ২০০০ টাকা থেকে। হাতে কাজ করা সুতি শাড়িগুলোর দাম পরবে ২৮০০ টাকা। পাঞ্জাবীর দাম রাখা হয়েছে ১৬৫০ টাকা। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ প শ ক র ঈদ ক ল কশন ড জ ইন নওশ ব

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান রাশমিকার, চটেছেন কংগ্রেস বিধায়ক

অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। ২০২৩ সালে ‘অ্যানিম্যাল’, ২০২৪ সালে ‘পুষ্পা ২’ সিনেমার পর গত ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাওয়া ‘ছাবা’ সিনেমাও সুপারহিট। সিনেমার সাফল্যে যখন উদযাপনের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছিলেন ঠিক সে সময়েই নতুনভাবে চর্চায় এলেন তিনি।

রাশমিকা মান্দানার জন্ম ভারতের কর্নাটকে। কন্নড় সিনেমা দিয়েই অভিনয় দুনিয়ায় হাতেখড়ি হয়েছে তাঁর। সেই কন্নড় ভাষাকেই কিনা ‘উপেক্ষা’ করছেন রাশমিকা!

সম্প্রতি ‘পুষ্পা’ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক রবিকুমার গৌড়া গণিগা।

বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য সরকারি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন রাশমিকা। তাতেই চটেছেন কংগ্রেস বিধায়ক। রবিকুমার গৌড়া গণিগার দাবি, ‘রাশমিকাকে এজন্য শিক্ষা দেওয়া উচিত।’

এই বিধায়ক বলেন, ‘‘রাশমিকা মান্দানা কর্ণাটকে কন্নড় সিনেমা ‘কিরিক পার্টি’ দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। গত বছর যখন আমরা তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম তখন তিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।’

তাঁর দাবি, রাশমিকা নাকি আমন্ত্রণ ফিরিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার বাড়ি হায়দরাবাদে, আমি জানি না কর্ণাটক কোথায়, আমার এত সময়ও নেই। আমি আসতে পারব না।’

রবিকুমার গৌড়া গণিগার দাবি, ‘আমাদের এক বিধায়ক বন্ধু রাশমিকাকে প্রায় ১০-১২ বার তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন, তবে তিনি রাজি হননি। এ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেই তিনি বড় হয়েছেন, আর কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিকেই তিনি উপেক্ষা করেছেন। তাই আমাদের কি উচিত নয়, তাঁকে শিক্ষা দেওয়া?’

কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি পাল্টা বলেন, ‘আপনারা কখনোই রাহুলের কংগ্রেসের থেকে গুন্ডাদের আলাদা করতে পারবেন না। রাহুল গান্ধীর দলের এই বিধায়ক একজন অভিনেত্রীকে শিক্ষা দিতে চান। আমি কংগ্রেসের বড় নেতাদের বলব সংবিধান পড়তে। যেখানে অভিনেত্রীসহ প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ভুলে যাবেন না। আপনাদের এই গুন্ডা এমপির আইন এবং নাগরিকদের অধিকারকে সম্মান করতে বাধ্য।’

সম্প্রতি ‘ছাবা’র প্রচারের সময় হায়দরাবাদের এক হলে রাশমিকা মান্দানা বলেন, ‘আমি তো আদতে হায়দরাবাদেরই মেয়ে। কারও সাহায্য ছাড়াই এই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলাম এবং আশা করি, আজ আমি আপনাদের পরিবারের একজন।’ রাশমিকার এ মন্তব্যে হায়দরাবাদবাসী খুশি হলেও চটেছিলেন কর্ণাটকের বাসিন্দারা।

এর কারণ, রাশমিকার জন্ম কর্ণাটকের কুর্গে। তিনি কন্নড় সিনেমা ‘কিরিক পার্টি’ (২০১৬) দিয়ে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন। যদিও জনপ্রিয়তা পান তেলেগু সিনেমার হাত ধরে। এ মুহূর্তে হায়দরাবাদ শহরেরই বাসিন্দা রাশমিকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যাপে যখন গ্র্যান্ড ইফতার সুবিধা
  • প্রোটিয়াদের কাঁদিয়ে ফাইনালে কিউইরা 
  • বেসরকারি শিক্ষকদের সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা
  • ‘পার্সিয়ান টেল’ থিমে সারার আকর্ষণীয় ঈদ আয়োজন
  • বিদায় বেলায় বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সুখবর জানিয়ে গেলেন উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
  • সরকারি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান রাশমিকার, চটেছেন কংগ্রেস বিধায়ক
  • সেমিতে আজ দুই দুর্ভাগা দলের লড়াই
  • বনানীতে ফুডপ্যান্ডার গ্র্যান্ড ইফতার বাজার শুরু
  • অস্কারজয়ী ‘আনোরা’ কোথায় দেখবেন, কী আছে এই সিনেমায়