ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তারাবির নামাজ চলাকালীন মসজিদে থেকে জুতা হারানো নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দেশিয় অস্ত্রের আঘাতে ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ৩নং দিগনগর ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। 

জানা যায়, গোকুলনগর গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আব্দুল মালেক ও আমজাদ হোসেনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে গ্রামের মসজিদে তারাবির নামাজ চলাকালীন আব্দুল মালেকের সমর্থকদের জুতা হারাতে থাকে। বুধবার রাতেও একই ঘটনা ঘটলে নামাজ শেষে মালেক সমর্থক ও আমজাদ সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় নজরুল ইসলাম, সুজন বিশ্বাস, উত্তম বিশ্বাস, রিপন বিশ্বাসসহ ১০ ব্যক্তি আহত হন।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান বলেন, গোকুলনগর গ্রামে তারাবির নামাজ খুব সম্ভবত কুকুর জুতা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রামের একপক্ষ আরেকপক্ষকে দোষারোপ কতে থাকে, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ স ঘর ষ আহত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ১৫ 

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার শোলাকুড়ায় সালিশি বৈঠকে পক্ষপাতিত্বের জেরে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং শোলাকুড়া বাজারের ১৮-২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। 

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফার সংঘর্ষ চলাকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংড়া ইউনিয়নের পীরবাড়িতে একই ইউনিয়নের মুলিয়া এবং সাকরাইল গ্রামের লোকজনদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে মুলিয়া গ্রামে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেন। বৈঠক চলাকালে শুকুর মাহমুদের পক্ষপাতিত্বমূলক কথার জের ধরে পুনরায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদ গুরুতর আহত হন। এ খবর তার নিজ গ্রাম সহদেবপুর পৌঁছালে তারাও এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এরপর ত্রিমুখী সংঘর্ষে সালিশি বৈঠকে আসা স্থানীয় বিএনপির অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়াও কয়েক জন ব্যক্তি সামান্য আহত হন। এ সময় শোলাকুড়া বাজারে হামলা চালিয়ে ১৮-২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং দোকানগুলোতে লুটপাট চালানো হয়।

এদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের তিন দিকে তিন গ্রামের বাসিন্দারা অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এসময় ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনে।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দাখিল করেনি।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাস্তা পারাপারের সময় বাসচাপায় প্রাণ গেল ছোট্ট ইয়াসিনের, বাস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
  • ইবি প্রক্টরকে জামায়াত ট্যাগ উপ-উপাচার্যের, উপাচার্য কার্যালয়ে হট্টগোল
  • মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ১৫