অর্থ পাচার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান-মামুন
Published: 6th, March 2025 GMT
অর্থ পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন। এর আগে, গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।
অর্থ পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও তারেক রহমানকে খালাস দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকেও সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন হাইকোর্ট।
২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর তাদের সাজা স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে জরিমানাও স্থগিত করা হয়।
ঢাকা/মামুন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
তৌফিক-ই-ইলাহীর সাবেক পিএস কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মনোয়ার হোসেনকে (৫০) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত বুধবার (৫ মার্চ) তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মনোয়ার হোসেনকে আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক মন্মথ হালদার। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকার আদাবর থানাধীন বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি থেকে মনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদাবর থানা পুলিশ।
মনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিগত সংসদ নির্বাচনে ধামরাই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ২০০৯-২০১০ সালে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস) ছিলেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর আদাবর থানাধীন সুনিবিড় মেইন রোডের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন মনির হোসেন। দুপুরে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। গত ২১ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী মনির হোসেন বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক