অনেকেই বছরজুড়ে ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করে অভ্যস্ত। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগী, হৃদ্‌রোগী ও স্থূলতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা তাঁদের নিয়মিত ব্যায়াম ছাড়তে চান না। তবে পবিত্র রমজানে ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সতর্কতা ও কৌশল অনুসরণ করা প্রয়োজন।

রোজায় ব্যায়ামের সঠিক সময় সন্ধ্যার পর। দিনে ব্যায়াম করলে পানিশূন্যতার আশঙ্কা থাকে। তবে মৃদু ব্যায়াম বা লো ইনটেনসিটির কার্ডিও বা স্ট্রেচিং করা যেতে পারে সকালের দিকে। এ সময় ভারী ব্যায়াম না করাই ভালো। কারণ, শরীরে পানির অভাব থাকে। ইফতারের দেড়–দুই ঘণ্টা পর শরীর কিছুটা এনার্জি পায়। তাই এ সময় ভারী ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। স্ট্রেংথ ট্রেনিং, কার্ডিও ও হাই-ইনটেনসিটি ব্যায়াম এ সময় করা ভালো। সাহ্‌রির আগে (ফজরের আগে বা তাহাজ্জুদের সময়) কিছুটা লো-ইনটেনসিটি ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করা যেতে পারে।

রোজায় ব্যায়ামের ধরন

ওয়াকিং (৩০-৪৫ মিনিট)।

যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং।

সাইক্লিং (লো-ইনটেনসিটি)।

বডি ওয়েট এক্সারসাইজ (পুশ আপ, স্কোয়াট, লাংস, প্ল্যাঙ্ক)।

ভারী ব্যায়াম (শক্তি বৃদ্ধির জন্য): ওজন তোলা (স্ট্রেংথ ট্রেনিং), রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড এক্সারসাইজ।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

পর্যাপ্ত পানি পান করুন ইফতার ও সাহ্‌রির মাঝে, যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ভালো ফ্যাট গ্রহণ করুন।

রোজায় অতিরিক্ত ও ভারী ব্যায়াম না করে হালকা এবং মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম করুন।

শরীর দুর্বল বা ক্লান্ত লাগলে ব্যায়াম কমিয়ে দিন বা এড়িয়ে যান।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন, যাতে শরীর ক্লান্ত না হয়।

হালকা ও মাঝারি ব্যায়াম রোজায় শরীরকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখে। ব্যায়াম ইফতারের পর করা ভালো, যাতে শরীর প্রয়োজনীয় এনার্জি পায় ও পানিশূন্যতা না হয়।

এম ইয়াছিন আলী, ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য য় ম কর

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় পক্ষের অ্যাপে মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং

বিকাশের মতো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চ মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির অভিযোগ এসেছে। ‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং: এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ তথ্য ফেসবুকে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ জিবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি।

১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি ৭ দিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, যা ৮০ শতাংশ ওভারচার্জ।

২২৭ টাকা মূল্যের একটি সাত দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি।

৭  দিনের ১০ জিবি এবং ৩-দিনের ৫ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলোও ৫৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জে বিক্রি হয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ লেখেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তার তোয়াক্কা না করে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহকস্বার্থ ও রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থবিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ