বুটেক্সে ভর্তি পরীক্ষা, বন্ধ থাকবে ক্যাম্পাসের ইন্টারনেট
Published: 6th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (৭ মার্চ)। পরীক্ষার সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, আবাসিক এলাকা এবং হলগুলোর ইন্টারনেট ওয়াই-ফাই সেবা ৩২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।
গত বুধবার (৫ মার্চ) বুটেক্সের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা চলাকালে নিরাপত্তা রক্ষার্থে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ওয়াই-ফাই সংযোগ বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই ইন্টারনেট সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনবিদায় বেলায় বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সুখবর জানিয়ে গেলেন উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ১৮ ঘণ্টা আগেএবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১১টি বিভাগে মোট ৬৪০ জন শিক্ষার্থী সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ৮০টি করে আসন রয়েছে। টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, ডাইজ অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলোতে ৪০টি করে আসন নির্ধারিত হয়েছে।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা০৩ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর থেকে ১১ মাঝিমাল্লাসহ দুটি মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগর থেকে দুটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১১ জন মাঝিমাল্লাকে করে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। অপহরণের শিকার মাঝিমাল্লাদের নাম জানা যায়নি। তবে ট্রলার দুটির মালিক অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে মৌলভীর শীল নামের এলাকায় বাংলাদেশ জলসীমা থেকে মাঝিমাল্লাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সেখানে মাছ ধরায় নিয়োজিত জেলেরা জানিয়েছেন।
টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, আজ সকালে সেন্ট মার্টিনের অদূরে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা স্পিডবোটে এসে মাছ শিকারে যাওয়া ট্রলারগুলো ধরে নিয়ে যায়। এর মধ্যে একটি ট্রলারের মালিক আবুল কালাম নিজে। অপরটির মালিক মোহাম্মদ শাওনের আরেক ব্যক্তি। এ ছাড়া আরও দুটি মাছ ধরার ট্রলার ধরে নেওয়া খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেগুলোর মালিক ও ট্রলারের নাম জানা যায়নি। ওই দুটি ট্রলারে ১০-১২ জন জেলে থাকতে পারেন।
আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছুদিন পরপর আরাকান আর্মি এ ধরনের ঘটনা ঘটনাচ্ছে। ট্রলারমালিক, মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সমস্যা সমাধানে সরকারের সহযোগিতা চাই আমরা।’
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ‘সাগর থেকে আবারও মাছ ধরার ট্রলার চারটি ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া আমার এলাকার বেশ কয়েকটি ট্রলারকে ধাওয়া করেছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। ট্রলারগুলো ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
জানতে চাইলে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের লে. কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাটের দুটি ট্রলারের ১১ জন জেলেসহ দুটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এর বাইরে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারের নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে।
এর আগে গত ৫ মার্চ সেন্ট মার্টিন উপকূলে মাছ ধরার সময় ৬টি ট্রলারসহ প্রায় ৫৬ জেলেকে ধরে নিয়ে যান মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা। পরদিন তাঁদের ছেড়ে দিলেও ট্রলারের মাছ, তেল, জাল ও খাদ্যসামগ্রী সে দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা লুট করে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ফিরে আসা জেলেরা।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের নাফ নদী থেকে চারটি মাছ ধরার নৌকাসহ ১৯ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করা হয়। এই অপহরণের সঙ্গে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা জড়িত বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সদস্য আরাকান আর্মি গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে হামলা চালিয়ে রাখাইন রাজ্যের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৩ টির নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে সে দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপসহ সীমান্তের অধিকাংশ এলাকায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিল। রাখাইনে বাংলাদেশ সীমান্তে বর্তমানে অনেকটাই কোণঠাসা মিয়ানমারের সেনা ও নৌবাহিনী। এর পর থেকে নাফ নদীতে তাঁদের জলসীমায় নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।