যে দ্বীপের পরিবার কল্যাণকেন্দ্র পুলিশ ফাঁড়ি, নেই কোনো চিকিৎসক
Published: 6th, March 2025 GMT
মেঘনার মোহনায় জেগে ওঠা চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন উড়িরচরে প্রসূতি ও মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০২ সালে গড়ে তোলা হয়েছিল একটি পরিবার কল্যাণকেন্দ্র। লোকবলের অভাবে শুরু থেকেই মুখ থুবড়ে পড়ে কেন্দ্রটি। পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের দৃশ্যমান কার্যক্রম না থাকায় ২০০৩ সালে অস্থায়ীভাবে এটিতে উড়িরচর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অবস্থান নেন। সেই থেকে উড়িরচর পরিবার কল্যাণকেন্দ্রই উড়িরচর পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে পরিচিতি পায়।
কেন্দ্রটিতে সহকারী সার্জন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারসহ পাঁচটি পদে লোকবল থাকার কথা থাকলেও নেই পাঁচজনের একজনও। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠপর্যায়ের তিনজন কর্মী এখন মাঝেমধ্যে সেখানে সভা করেন। এটুকুই বর্তমানে পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের কার্যক্রম।
উড়িরচরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চিকিৎসার অভাবে শিশু ও প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ট্রলারে সন্তান প্রসব এবং প্রসূতির মৃত্যুর নজিরও আছে অনেক। তবে এসব মৃত্যু স্থান হয় না সরকারি পরিসংখ্যানে।
৪০ হাজার বাসিন্দার কোনো চিকিৎসক নেইস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে উড়িরচরে একজন মেডিকেল অফিসার পদায়ন করলেও তিনি যোগদান না করে অন্যত্র সংযুক্তি নিয়ে চলে যান। ফলে স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে উড়িরচরের বিশাল জনগোষ্ঠীকে। ১৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উড়িরচর চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন। সেখানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করলেও নেই একজন চিকিৎসকও। ফলে ‘ডাক্তার দেখাতে’ এসব মানুষকে দিতে হচ্ছে সাগর পাড়ি।
পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে একজন সহকারী সার্জন দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও এই পদে কখনো কারও সেবা পাননি বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। দ্বীপটিতে সরকারি কোনো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান যেমন নেই, তেমনি নেই কোনো বেসরকারি ক্লিনিকও। ফলে সাধারণ অসুখ থেকে শুরু করে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ নেই বিশাল এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর।
সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মানস বিশ্বাস প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, উড়িরচরে নিগার সুলতানা নামের একজন মেডিকেল অফিসারকে পদায়ন করা হলেও তিনি সেখানে যোগ দেননি। পদায়নের পরপরই তিনি ঢাকার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সংযুক্তি নিয়ে চলে যান। তবে অচিরেই কর্মস্থল ছেড়ে অন্যত্র সংযুক্তি নেওয়া মেডিকেল অফিসারদের কর্মস্থলে ফেরার আদেশ জারি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন মো.
২০১৯ সালের জুলাই মাসে উড়িরচরে একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার যোগদান করেন। তিনি পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে কর্তব্যরত ছিলেন। ২০২৩ সালের মার্চের পরে তাঁকেও আর উড়িরচরের কর্মস্থলে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এরপর সেই পদসহ শূন্য পদগুলোতে আর কাউকে পদায়ন সম্ভব হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন সন্দ্বীপ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সব কটি পদে লোকবল থাকলে উড়িরচরে প্রসূতিসেবা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্যসেবার সংকট কিছুটা কাটিয়ে ওঠা যেত।’
উড়িরচর ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণকেন্দ্র এখন পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি তোলাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল অফ স র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্মাতার সঙ্গে ‘গোপনে বিয়ে-সংসার’ নিয়ে মুখ খুললেন নায়িকা
চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও নায়িকা তমা মির্জার প্রেমের গুঞ্জন পুরোনো। মাঝে শোনা যায়, তাদের সম্পর্কে ছেদ পড়েছে। তবে এসবই এখন অতীত। নতুন করে খবর চাউর হয়েছে, রাফী-তমা চুপিসারে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন।
সোমবার (৩ মার্চ) ছিল রাফীর জন্মদিন। দিনটি একসঙ্গে উদযাপন করেছেন পরিচালক-নায়িকা। সঙ্গে ছিলেন রাফীর মা। অনেকটা পারিবারিক আবহ বিরাজ করছিল। সেসব ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এসব ছবি ছড়িয়ে পড়ার পরই তাদের বিয়ের গুঞ্জন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। নেটিজেনরাও নিজেদের মতো করে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। গোপনে বিয়ে-সংসার নিয়েও গুঞ্জন উড়ছে; যা দৃষ্টি এড়ায়নি অভিনেত্রী তমা মির্জারও। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে চুপ থাকলেও নীরবতা ভেঙেছেন এই নায়িকা।
আরো পড়ুন:
ভেঙে গেল তামান্না-বিজয়ের প্রেম!
আমি একা গিয়ে গর্ভপাত করিয়েছি: কুবরা
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন তমা মির্জা। তাতে তিনি বলেন, “আমি সংবাদমাধ্যমকে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অপ্রয়োজনীয় গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করছি। আমি একজন শিল্পী আর একজন শিল্পী হিসেবে আমার প্রাথমিক মনোযোগ কাজের দিকে এবং বর্তমানে আসন্ন প্রকল্পগুলোর প্রতি মনোযোগ আমার। তবে যারা দায়িত্বশীল এবং সততার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করেন তাদের সম্মান এবং পেশদারিত্বের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
নির্মাতা রায়হান রাফির পরিচালনায় ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ ওয়েব ফিল্মে প্রথমবার অভিনয় করেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। তারপর ‘৭ নম্বর ফ্লোর’-এ দেখা যায় তাকে। সবশেষ ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় দেখা গেছে এ অভিনেত্রীকে। এতে তার সঙ্গে ছিলেন ছোটপর্দার অভিনেতা আফরান নিশো।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত