Prothomalo:
2025-04-28@11:48:52 GMT

যেভাবে ইস্তিগফার করা যায়

Published: 6th, March 2025 GMT

আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিওঁ ওয়া আতুবু ইলাইহি; লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই আমার সব পাপের, আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বাঁচার ও নেক কাজ করার কোনোই শক্তি নেই। (মুসলিম ও তিরমিজি)।

আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।’

অর্থাৎ, আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছেই ফিরে আসছি। এই ইসতেগফারটি প্রতিদিন ৭০ থেকে একশবার পড়কে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.

) প্রতিদিন সত্তরবারের বেশি তওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।’ (বুখারি)

আস্তাগফিরুল্লাহ অর্থ

‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ অর্থ ‘আমি আল্লাহর ক্ষমাপ্রার্থনা করছি’। প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ (সা.) এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন।’ (মিশকাত)

আরও পড়ুনসুরা লোকমানের উপদেশগুলো বদলে দিতে পারে জীবনে চলার ধরন২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

‘রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।’

অর্থাৎ ‘হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তওবা কবুলকারী করুণাময়।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

দিনের যেকোনো ইবাদত-বন্দেগি, তথা ক্ষমাপ্রার্থনার সময় এভাবে তওবা- ইস্তিগফার করতে হবে। ‘আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’ অর্থাৎ ‘আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তওবাহ করে) ফিরে আসি।’ হাদিসে আছে, এভাবে তওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ–তাআলা তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন, যদি সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারীও হয়।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)

এ ইস্তিগফার সকাল ও সন্ধ্যায় করা কর্তব্য। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর ইস্তিগফার পড়তে যেন ভুল না হয়। কারণ হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি এ ইস্তিগফার সকালে পড়ে সন্ধ্যার আগে মারা যায়, কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে। (বুখারি) ‘রাব্বিগফির, ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।’

তওবা করলে আল্লাহ খুশি হনঅনুতপ্ত হয়ে তওবা করার সুফলকোরআনে ইস্তিগফারের কথাআরও পড়ুনসুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত আয়াতুল কুরসি নামে পরিচিত২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অন্য হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি প্রতিদিন ৭০ বারের বেশিবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং তওবা করি।

‘আসতাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি’, বিশেষ করে ক্ষমা, রিজিকের সন্ধান ও বরকত পেতে এই দোয়াটি বেশি বেশি করে পড়া যায়, ‘রাব্বিগফিরলি জুনুবি, ওয়াফতাহলি আবওয়াবা ফাদলিকা।’ এর অর্থ, ‘হে আমার রব! আমার গুনাহ্‌গুলো ক্ষমা করে দাও। আর আমার জন্য তোমার অনুগ্রহের দরজা খুলে দাও।’ (তিরমিজি)

 ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়ুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’

এর অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম ইন্নাল্লাহা গাফুরুর রাহিম।’

এর অর্থ: মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে তওবা করে ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ দিন।

আরও পড়ুন কবর জিয়ারতের দোয়া২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল ল হ তওব হ

এছাড়াও পড়ুন:

পহেলগাম হামলা: পাঁচ সন্দেহভাজনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

পেহেলগামে ২৬ জন পর্যটককে হত্যার কয়েক দিন পর গতকাল শুক্রবার রাতে জম্মু ও কাশ্মিরজুড়ে পাঁচ সন্দেহভাজনের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে হামলার ঘটনার পর এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি তারা।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শোপিয়ান, কুলগাম ও পুলওয়ামা জেলায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। গত কয়েক দিনে সন্দেহভাজনদের ওপর দমন অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।

শোপিয়ানের চোপোটিপোরা গ্রামে শাহিদ আহমেদ কুট্টের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে লস্কর কমান্ডার বলে দাবি করছে ভারত। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুট্টে গত তিন-চার বছর ধরে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ সমন্বয় করার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

কুলগামের মাতালম এলাকায় আরেক সন্দেহভাজন জাহিদ আহমেদের বাড়িও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলওয়ামার মুররান এলাকায় বিস্ফোরক দিয়ে আহসান উল হক নামে একজনের বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের দাবি, আহসান ২০১৮ সালে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং সম্প্রতি উপত্যকায় ফিরে আসেন।

এহসান আহমেদ শেখ নামে একজন সন্দেহভাজনের দোতলা বাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য বলে দাবি করা হচ্ছে, যিনি ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে সক্রিয় ছিলেন।

পঞ্চম সন্দেহভাজন হারিস আহমেদের বাড়িও বিস্ফোরক পেতে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলওয়ামার কাচিপোরা এলাকার ওই বাসিন্দা ২০২৩ সাল থেকে সক্রিয় বলে দাবি করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে, পেহেলগাম হামলার মূল সন্দেহভাজন আদিল হুসেন ঠোকর এবং আসিফ শেখের বাড়ি বিস্ফোরণে ধ্বংস করা হয়।

বৃহস্পতিবার অনন্তনাগ পুলিশ পেহেলগাম হামলায় জড়িত সন্দেহে ঠোকর এবং আরও দুইজনের স্কেচ প্রকাশ করেছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্য দুই সন্দেহভাজন—হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান এবং আলি ভাই ওরফে তালহা আপন ভাই। তারা পাকিস্তানি নাগরিক এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগামের বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর অতর্কিতে গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। এই হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকও ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলির শব্দ শুনে পর্যটকরা প্রাণে বাঁচার জন্য ছুটোছুটি শুরু করেন, কিন্তু খোলা প্রান্তরে কোথাও লুকানোর সুযোগ ছিল না।

হামলার পর, সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

পহেলগাম হামলার কঠোর জবাবে ভারত সরকার ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিত করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যারা এই বর্বর হামলার পেছনে রয়েছে, তাদের এবং তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপির তিন সংগঠন
  • শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ২ শিশুকে কুপিয়ে হত্যা, দুলাভাইয়ের ফাঁসি 
  • ৩ মাসে ১৪৫ কোটি টাকা মুনাফা পদ্মা অয়েলের
  • ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে হুথির হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
  • গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত, নিহত আরো অর্ধশতাধিক
  • লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই
  • পেহেলগাম হামলা: পাঁচ সন্দেহভাজনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ভারত
  • পহেলগাম হামলা: পাঁচ সন্দেহভাজনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ভারত
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারালেন ২১২ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক
  • বন্দরে অটোচালক মাসুদ হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে হুমকি