নিরীক্ষায় সচল পাওয়া গেল ৫৫ শতাংশ পোশাক কারখানা
Published: 6th, March 2025 GMT
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্যপ্রতিষ্ঠান ৩ হাজার ৩৯১টি। এর মধ্যে সচল কারখানা পাওয়া গেছে ১ হাজার ৮৬৬টি। তার মানে বর্তমানে সংগঠনটির ৫৫ শতাংশ সদস্য কারখানা সচল রয়েছে। বাকি ৪৫ শতাংশ কারখানা উৎপাদনে নেই।
এদিকে সদস্যপ্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর নির্বাচন ও আপিল বোর্ড ঘোষণা করেছেন বিজিএমইএর বর্তমান প্রশাসক। অন্যদিকে সংগঠনটির নির্বাচনকেন্দ্রিক দুই জোট ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদের নেতারা ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি ৩৫ সদস্যের প্যানেল চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করেছেন।
বিজিএমইএর সদস্যসংখ্যা, সচল কারখানার সংখ্যা কিংবা পর্ষদ নির্বাচনের ভোটার তালিকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রশ্ন ছিল। এ কারণে গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা করার দাবিও জানিয়ে আসছিল সংগঠনটির নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট ফোরাম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান প্রশাসক বিজিএমইএ সদস্যপ্রতিষ্ঠানের প্রকৃত অবস্থা জানতে নিরীক্ষা ও যাচাই কার্যক্রম শুরু করেন।
জানা যায়, বিজিএমইএর সদস্য ৩ হাজার ৩৬০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিরীক্ষার কাজটি করে হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং। পরবর্তী সময়ে সদস্যপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে হয় ৩ হাজার ৩৯১। প্রাথমিক প্রতিবেদনে উঠে আসে, ঢাকায় ১ হাজার ৪৮২ এবং চট্টগ্রামে ৩২৪টি সচল কারখানা রয়েছে। এই কারখানাগুলো হালনাগাদ নথিপত্র দিয়ে সদস্যপদ নবায়ন করেছে। পরে আরও ৬০ কারখানা সদস্যপদ নবায়ন সম্পন্ন করে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে সচল কারখানার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮৬৬।
— নির্বাচনকেন্দ্রিক দুই জোট ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ ৩৫ সদস্যের প্যানেল তৈরির কাজ শুরু করেছে। — বিজিএমইএর নির্বাচনে সাধারণত সচল কারখানার উদ্যোক্তারাই ভোটার হয়ে থাকেন।গত বছর বিজিএমইএর ২০২৪-২৬ মেয়াদের পর্ষদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ২ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৬৪ এবং চট্টগ্রামে ৪৩২ ভোটার। আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন অভিযোগে সভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বাধীন পর্ষদ বাতিল করে প্রশাসক বসায় অন্তর্বর্তী সরকার। সাধারণত সচল কারখানার উদ্যোক্তারাই ভোটার হন। সেই হিসাবে আগামী নির্বাচনে ভোটারসংখ্যা ৬৩২ বা তার বেশি কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
২০২৪ সালের বিজিএমইএর নির্বাচনের আগে ২ হাজার ৫৬৩ জনের প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন বোর্ড। তখন ফোরামের প্যানেল লিডার ফয়সাল সামাদ কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন ভুল বা হালনাগাদ আয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়ার অভিযোগ এনে ৪২৯ জন ভোটারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে আবেদন করেন। সেই আপিল আংশিক মঞ্জুর করেন আপিল বোর্ড। পরে হাইকোর্টে রিট করেন ফয়সাল সামাদ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভোটার তালিকায় থাকা ২ হাজার ৪৯৬ উদ্যোক্তার মধ্যে ১ হাজার ৬০৬ জন তাঁদের সদস্যপদ হালানাগাদ করেছেন। গতবারের ৮৯০ জন ভোটার এবার তাঁদের সদস্যপদ হালনাগাদ করেননি।
সদস্যপদ হালনাগাদ না করা কারখানাগুলো অস্তিত্বহীন কি না, জানতে চাইলে বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, নতুন করে বেশ কিছু কারখানা হয়তো তাদের সদস্যপদ হালনাগাদ করবে। তবে সাবকন্ট্রাক্টিং করা কয়েক শ কারখানা বিভিন্ন দপ্তরের লাইসেন্স ও নথিপত্র না থাকায় সদস্যপদ হালনাগাদ আটকে যাবে। এর বাইরে ৪৫০-৫০০ সদস্য রয়েছে, যাদের একসময় কারখানা থাকলেও এখন অস্তিত্বহীন।
বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক দুই জোট সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম। গত ১৫ বছরে একবার ছাড়া সব মেয়াদেই সম্মিলিত পরিষদ সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়েছে। প্রভাবশালী এই জোট গত বছরের মার্চের নির্বাচনে সব কটি পদে বিজয়ী হয়। সভাপতি হন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান। যদিও গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। তখন নির্বাচনে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি তোলেন ফোরাম নেতারা। পরে ২০ অক্টোবর প্রশাসক হিসেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে বসায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মে মাসে ভোটগত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবালকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের নির্বাচন বোর্ড ঘোষণা করেন বিজিএমইএর প্রশাসক। বোর্ডের অন্য দুই সদস্য হলেন সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা অংশীদার সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দীন ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ। আর নির্বাচন বোর্ডের সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন ইপিবির পরিচালক মাহমুদুল হাসান।
একই সঙ্গে এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের আপিল বোর্ড করা হয়েছে। আপিল বোর্ডের অপর দুই সদস্য হলেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের এমডি রূপালী চৌধুরী এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব এ এন এম কুদরত-ই-খুদা।
ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ গত বছরই তাদের দলনেতা চূড়ান্ত করে। ফোরামের দলনেতা হয়েছেন রাইজিং ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদ হাসান খান। আর সম্মিলিত পরিষদের দলনেতা হন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো.
জানতে চাইলে মাহমুদ হাসান খান প্রথম আলোকে বলেন, ভোটারদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ হচ্ছে। প্যানেলে কারা প্রার্থী হবেন, সেটি নিয়ে কাজ চলছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশা করছি, এবারের নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। পাশাপাশি গুণগত অনেক ইতিবাচক পরিবর্তনও আসবে।’
উভয় জোটের একাধিক নেতা জানান, বিজিএমইএর প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হবে ১৬ জুন। এর ১৫ দিন আগে নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে। ফলে মে মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ভোট বিজিএমইএর কার্যালয়ের বাইরে অন্য কোথাও হবে। এমনকি নির্বাচনে সংগঠনের কর্মকর্তাদের যুক্ত না করার আলোচনা চলছে। প্রার্থী পরিচিতি সভার সংখ্যাও কমিয়ে আনতে উভয় জোটের নেতারা মোটামুটি একমত হয়েছেন।
নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করবেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্যানেল লিডার প্যানেল গোছানোর কাজ শুরু করেছেন। আমি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করিনি। শিগগিরই শুরু করব।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ব চনক ন দ র ক ন ব জ এমইএর ব জ এমইএর স সদস যপদ হ ল স গঠনট র সদস য র কর ছ ন র সদস
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে ‘স্বাধীনতা বিরোধীর’ নামে হল, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ পরিবারের নামে থাকা বিভিন্ন আবাসিক হল ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে নোটিস জারি করা হয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে শাহ আজিজুর রহমান রাখার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনয়নের ইবি সংসদ শাহ আজিজুর রহমানের নামে হলের নামকরণ করায় এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। অতিদ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মাওলানা ভাসানীর নামে হলের নামকরণের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক নোটিসে নাম পরিবর্তনের এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
বুদ্ধিজীবীর সেকাল-একাল
‘আমরা এই দৃশ্য সহ্য করতে পারছিলাম না!’
নোটিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো পত্র অনুযায়ি পরিবর্তন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-৩৬, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আনাছ হল’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নাম পরিবর্তন করে ‘শাহ আজিজুর রহমান হল’ রাখা হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা সিদ্দিকা হল’ এবং ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন নাম পরিবর্তন করে ‘ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবন’ নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ নোটিস জারি করার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ইশতিয়াক ফেরদৌস ইমন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “ঠিক কি কারণে তার নাম আসলো আমার জানা নেই। আরো অনেক মানুষের নাম আসতে পারতো, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তীকাল নিয়ে যথেষ্ট ট্রান্সপারেন্ট।”
আরেক শিক্ষার্থী আশহাদুল ইসলাম বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়াতে স্থাপনের পিছনে শাহ আজিজুর রহমানের ভূমিকা ছিলো ব্যাপক।”
শিক্ষার্থী রনি আহমেদ বলেন, “হলের নাম শাহ আজিজুর রহমানের মতো বিতর্কিত মানুষের নামে কেন পরিবর্তন করতে হবে, বুঝলাম না। কাঙাল হরিনাথ আছেন, বাঘা যতিন আছেন, তাদের নামেও তো নামকরণ করা যেত। এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ইসলামিক স্কলার প্রয়াত আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের নামটিও বিবেচনায় রাখা যেত। কুষ্টিয়া ও বাঙালির ঐতিহ্য বিবেচনায় এই নামগুলোর গুরুত্ব রাখে, তা বলার অবকাশ রাখে না।’
এদিকে, এ নামকরণের প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের ইবি সংসদ বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শাহ আজিজুর রহমান একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন। তার মতো একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর নামে আবাসিক হলের নামকরণ জাতির জন্য এক কলঙ্কজন সিদ্ধান্ত।
একইসঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থীও। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাতে লুট হয়ে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের বৈষম্যহীন দেশ গড়ার শপথই ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী শাহ আজিজুর রহমানের নামে আবাসিক হলের নামকরণের মধ্য দিয়ে ইবি প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী ও এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের অগ্র নায়ক মাওলানা ভাসানী। আমরা ইবি প্রশাসনের কাছে রাজাকারের নাম পরিবর্তন ও মাওলানা ভাসানীর নামে আবাসিক হলের নামকরণের আহ্বান জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্নে শাহ আজিজুর রহমান ছিলেন। মানুষ নিন্দা জানাতে পারে। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় উনার অবদান আছে। কে নিন্দা জানাল, না জানাল সেটা সিন্ডিকেটের বিষয় না। তিনি দেশের তথা বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।”
২০০০ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি) নির্মাণ করা হয়। পরে ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কুষ্টিয়া জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শাহ আজিজুর রহমানের নামে শাহ আজিজুর রহমান মিলনায়তন নামকরণ করা হয়।
পরে ২০১২ সালে মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির এ নাম পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। এতে ২০১২ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট এ স্থাপনার নাম পরিবর্তনের আদেশ দিলে একই বছর ১৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩২তম সিন্ডিকেটে নাম পরিবর্তন করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন রাখা হয়।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী