বসুন্ধরার ঘটনা নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম
Published: 6th, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে চিৎকার-চেঁচামেচির একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি পোস্ট করে কেউ কেউ দাবি করেছেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন সারজিস।
এ নিয়ে রাত ২টার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সারজিস আলম। তার সেই স্ট্যাটাসটি রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
ফেসবুক পোস্টে সারজিস লিখেছেন, ইফতারের পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সহযোদ্ধাদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা দিতে এবং তাদের কথা শুনতে যাই। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা হয়, তাদের কথা শোনা হয়, চায়ের আড্ডা হয়।
তিনি লিখেছেন, NSU, IUB, AIUB, UIU এই ৪ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক সহযোদ্ধাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে NSU’র সামনে দিয়ে হেঁটে আসছিলাম। আমার সঙ্গে ১৫-২০ জন প্রাইভেটের সহযোদ্ধারা ছিল। পরে NSU’র গেটের সামনে দেখি ১০-১২ জন ঢাবি সিন্ডিকেট নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ শাকিল ছিল। আমি এগিয়ে যাই তাদের কথা শুনতে। কিন্তু, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সঙ্গে থাকা প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করতে থাকে। ওদের ১০-১২ জনের মধ্যে ১-২জনকে স্টুডেন্ট মনে হলেও বাকিদের দেখে ভাড়া করা টোকাই দুষ্কৃতকারী মনে হচ্ছিল। বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই এদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি দুই পক্ষকে চলে যেতে বলি এবং চলে আসি।
সারজিস আলম আরো লিখেছেন, পরবর্তীতে ছাত্রদলের শাকিল তার নেতৃত্বে তার সাথে থাকা টোকাই দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে পূর্বে আমার সাথে থাকা ওই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছেলেদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং সরাসরি মাথায় ও পিঠে আঘাত করে একাধিক জনকে রক্তাক্ত করে ৷ ছাত্রদলের শাকিলসহ বাকি সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরো লিখেছেন, ১৬ বছর ধরে টোকাইলীগের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পর আজ যদি ছাত্রদলের কেউ একইভাবে টোকাইলীগের সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করে তাহলে তারও পরিণতি টোকাইলীগের মতো হতে খুব বেশি দিন লাগবে না।
হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে সারজিস লিখেছেন, শিক্ষা নেন, সময় থাকতে নিকট অতীত থেকে শিক্ষা নেন।
ঢাকা/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
ভুয়া আধার কার্ড তৈরির অভিযোগে বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৩
বাংলাদেশি এক নাগরিককে আশ্রয় দেওয়া এবং ভুয়া প্যান কার্ড ও আধার কার্ড বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওই বাংলাদেশি নাগরিকসহ আরো দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার পুলিশ।
পুলিশের অভিযোগ, ওই দুই ভারতীয় বাংলাদেশের নাগরিককে আশ্রয় দেওয়া ও নথি করে দেওয়ার কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে হিলির ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশের নাগরিক শ্যাম কুমার সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।বাংলাদেশের নওগাঁ এলাকার বাসিন্দা শ্যাম কুমার সাহা ৪ বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। এরপর ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অর্থের বিনিময়ে জোগাড় করেন প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
আরো পড়ুন:
লন্ডনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা
১৪ কেজি সোনাসহ অভিনেত্রী গ্রেপ্তার: মুখ খুললেন পুলিশ অফিসার বাবা
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে বাংলাদেশি ওই নাগরিক জানিয়েছেন অবৈধ ভারতীয় নথি সংগ্রহে তাকে সহায়তা করেন অলোক পাল নামে এক অস্থায়ী ব্যাংক কর্মী। এছাড়া ভারতে আসার পর তাকে অর্থের বিনিময়ে প্রথম আশ্রয় দেন দেবরা এলাকার অমৃত দাস। এই দুজনকেই বাংলাদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে নথি সংগ্রহে সহযোগিতা ও আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, গ্রেপ্তার তিনজনকে আগামীকাল বালুরঘাট মহাকুমা আদালতে তোলা হবে।
ঢাকা/ফিরোজ