ঢাকা আজ বায়ুদূষণে পঞ্চম, শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর
Published: 6th, March 2025 GMT
বিশ্বের ১২৫ নগরীর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বায়ুদূষণে পঞ্চম স্থানে আছে ঢাকা। আজ সকাল ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৭৩। এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়।
বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। বায়ুর মান ১৮৬।
ঢাকার বায়ু আজ অস্বাস্থ্যকর। পুরো নগরীর মধ্যে শীর্ষ তিনটি স্থান হলো মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (১৯৭), ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (১৮৮) এবং মাদানী অ্যাভিনিউর বে’জ এজওয়াটার (১৬৫)।
আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।
আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে বায়ুর মান ১১৫, রাজশাহীতে ১২৪ ও খুলনায় ১২৮।
রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক এবং নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।
দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ
পঞ্চগড়ে পরীক্ষার দিন বাদে বাকি দিনগুলোতে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শিক্ষা এবং কোচিং বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।
সারা দেশে এসএসসি পরীক্ষা চলছে। এই সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্কুল ছুটি নিয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে সেইসব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয় নিজস্ব সিদ্ধান্তে। প্রায় দেড় থেকে দুই মাস ক্লাস বন্ধ থাকার কারণে এই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ে। লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট হয়। এসব দিক বিবেচনা করে যেসব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, সেসব স্কুল ও কলেজে পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে বাকি দিনগুলোতে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রাখার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই শুধু পরীক্ষার দিন বন্ধ রেখে বাকি দিনে নিয়মিত ক্লাস নেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে ক্লাস শুরুও করেছে। দেশের মধ্যে প্রথম পঞ্চগড় জেলায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ছয় দফা দাবিতে রাজশাহী পলিটেকনিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সিরাজগঞ্জে সহপাঠীদের মারধরে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
শুধু স্কুল ছুটি এবং ছুটির পর শিক্ষার্থীদের আগ্রহের ভিত্তিতে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে কোচিং পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় কোচিং নিয়ে সরকারি নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই নীতিমালা অনুসরণ করে কোচিং পরিচালনার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নীতিমালার বাইরে কোচিং বাণিজ্য করলে ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় শিক্ষা ও আইসিটি বিষয়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নাঈম/বকুল