রোজার মাসে যতটা সম্ভব প্রসাধনী ব্যবহারের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারেন। এতে করে পুরো একটা মাস আাপনার ত্বক অক্সিজেন গ্রহণের সুযোগ বেশি পাবে। জাপানি অনেক নারী ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য সপ্তাহের একটি দিন মুখে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করেন না। ওই একদিনে মেকআপ, কসমেটিক, স্কিন কেয়ার; এসব কিছুই ব্যবহার করে না তারা। কিন্তু আমাদের দেশে যারা শহরে বসবাস করেন বাইরে বের হলেই তাদের মুখে ধুলোবালির প্রলেপ পড়ে যেতে পারে। আমাদের করণীয় কী?
লাইফস্টাইল বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাজিয়া তন্বীর পরামর্শ জেনে নেওয়া যাক—
১.
আরো পড়ুন:
রোজায় কীভাবে দাঁতের যত্ন নেবেন
রমজানে কখন, কত সময় ব্যায়াম করবেন
২. পানি ও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয় পান করতে হবে।
৩. ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে ফেসিয়াল ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
৪. চিনি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
৫. রোজা রাখলে শরীরের দূষিত পদার্থ দূর হয়ে যায়। সুতরাং এই সময়ে ত্বকের যত্নে আলাদা কোনো এক্সপেরিমেন্ট না করাই ভালো।
বেসিক স্কিন কেয়ারের জন্য যা যা করতে পারেন
১. ক্লিনজিং
২. টোনিং করতে চাইলে করতে পারেন
৩. এক্সফোলিয়েশন
৪. ময়েশ্চারাইজেশন
ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ইফতারে বেঁচে যাওয়া পাকা যেকোন ফল যেমন, কলা, শশা বা পাকা পেঁপে এসবের যেকোন একটা ফল থেকে এক টুকরো নিয়ে চটকে প্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। মাগরিবের নামাজ শেষ করে যখন বিশ্রাম করবেন প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে নিতে পারেন। আর দুই টুকরো শশা চোখের পাতায় দিয়ে পাঁচ থেকে দশ মিনিট অপেক্ষা করে মুখটি ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে ত্বক পরিষ্কার থাকবে। ত্বকের ক্লান্তির ছাপ থাকবে না আবার ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহও বেড়ে যাবে।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানায় গ্যাস সরবরাহে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে সরকার: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের কারখানাগুলোতে স্বচ্ছন্দে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার দোহায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, ‘অনেকে বলেছেন, গ্যাসের অভাবে তারা কারখানা স্থাপন করতে পারছেন না। তাই, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করতে চাই যাতে পর্যাপ্ত গ্যাস (বিদেশ থেকে) আনা যায়।’
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দোহা সফরের সময় কাতার এনার্জির সঙ্গে একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে মিগগির স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালটি স্থাপন করা হবে। খবর-বাসস
প্রধান উপদেষ্টার দোহা সফর সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এই সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি বলব এটি সবচেয়ে সফল এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় সফরগুলোর মধ্যে একটি।
শফিকুল আলম আশা প্রকাশ করেছেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবেন। দেশের অর্থনীতির উত্থান-পতনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় ৩শ’ ২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ ছিল, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা কমিয়ে ৬০ কোটি মার্কিন ডলারে নিয়ে এসেছে।
প্রেস সচিব বলেছেন, অবশিষ্ট ঋণ কয়েক মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। তিনি আরও বলেছেন, ‘এটি বিশ্বের বাইরে ইতিবাচক সংকেতের অনুভূতি যে আমরা ব্যবসার জন্য প্রস্তুত।’ চার দিনের সফর শেষে প্রফেসর ইউনূস আজ শুক্রবার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগদানের জন্য দোহা থেকে ইতালির রোমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।