নতুন বাজেটে করহারে তেমন পরিবর্তন হবে না
Published: 6th, March 2025 GMT
প্রতি বছরই রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়ছে। চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে আগামী বাজেটে করের হারে তেমন পরিবর্তন আসবে না। গতকাল বুধবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে করনীতি কাঠামো নিয়ে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ আয়োজিত আলােচনায় এ কথা বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান। এনবিআর চেয়ারম্যানের বক্তব্যের আগে কর, ভ্যাট, শুল্ক নিয়ে নানা সুপারিশ তুলে ধরেন ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব খাতে নানা সমস্যা আছে। বেশির ভাগই পরিচালন-সংক্রান্ত। রাজস্ব বাড়ানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঋণের চাপ বেড়ে গেছে এবং কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব সংগ্রহ না করতে পারলে পরিস্থিতি টেকসই থাকবে না। অনেক ক্ষেত্রে করদাতাদের সঙ্গে ন্যায়বিচার হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, কাস্টমস হাউসগুলোকে টার্গেট দিয়ে বিচার করা উচিত নয়। অটোমেশন হলে কর্মকর্তাদের জবাবদিহি বাড়বে। অনেক জায়গা থেকে কর না আসায় কোথাও কোথাও বাড়তি চাপ তৈরি হয়। টিনধারীদের ৬০ শতাংশই কর দেন না। কিছু ব্যাংক খারাপ পরিস্থিতির কারণে কর দিচ্ছে না।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড.
প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, এনবিআরেরও চ্যালেঞ্জ আছে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরাও সহায়তা করতে পারেন। ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ কর দিতে চান। তবে অটোমেশন দরকার। এমসিসিআইর সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, উন্নয়নের জন্য সংস্কার দরকার। তবে বাংলাদেশে কর ব্যবস্থাপনা ঠিক নেই। করপোরেট কর অনেক বেশি। প্রতিবেশী দেগুলোর তুলনায় ভ্যাট হারও বেশি। ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিশা আব্রাহাম বলেন, অংশীজনের সঙ্গে এনবিআরের সংলাপ খুব জরুরি। রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংস্কার কেমন হবে– আলোচনা দরকার।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন লাফার্জ হোলসিমের ইকবাল চৌধুরী, নেসলে বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী, জেটিআইর এমডি পল হলওয়ে, আইসিএমএবির সভাপতি মাহতাব প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’
ক্যাম্পাসে মানবাধিকার সুরক্ষা ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’। রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রার কথা জানানো হয়।
‘রাইজ ফর রাইটস (অধিকারের জন্য জাগো)’ স্লোগানকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার সংগঠনটির ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। রোববার সংবাদ সম্মেলনে ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন এই সংগঠনের আহ্বায়ক হয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ সাকিব। সদস্যসচিব করা হয়েছে ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের শিক্ষার্থী পত্র নন্দিতাকে। এ ছাড়া ইসমাঈল নাহিদ যুগ্ম আহ্বায়ক আর রুকাইয়া রচনা যুগ্ম সদস্যসচিব হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে গণরুম, গেস্টরুম সংস্কৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আর কখনো এই সংস্কৃতি যেন ফেরত না আসে, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে সংগঠনটি।
সংগঠনের আহ্বায়ক তাহমিদ সাকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, সংখ্যালঘু অধিকারও জাতিগত সম্প্রীতি রক্ষা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও প্রয়োজনে আইনি পরামর্শ প্রদানসহ ক্যাম্পাসে মানবাধিকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটলে সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
তাহমিদ সাকিব বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী নিপীড়নের ঘটনাগুলো আমরা দেখেছি। বিভিন্ন সময় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেগুলোর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা আমরা দেখিনি। নারী শিক্ষার্থীরা এখনো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। অসংখ্য নারী নিপীড়নের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের ঘটনা আমরা দেখি না। এই সংগঠনটি এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্যসচিব পত্র নন্দিতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কম নয়, বরং অহরহ ঘটে। বিশেষ করে রাজনৈতিক পরিসরে। এর বাইরে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতেও এটা বিদ্যমান। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, ডকুমেন্টেশন এবং অধিকার আদায়ে কাজ করবে তাঁদের এই সংগঠন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে আরও আছেন তাপসী রাবেয়া, হুরে জান্নাত, তাজফিহা উখরোজ, সামিয়া মাসুদ, সুরমি চাকমা, নাফিসা নুজহাত, ইসরাত জাহান, আবদুল্লাহ আজিমসহ আরও অনেকে।