টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আনন্দ সরকার নামে এক যুবক দা দিয়ে কুপিয়ে প্রতিবেশী গৃহবধূ মিতু সরকারকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেলে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ইচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দায়ের কোপে আহত হয়েছেন নারীসহ আরও ৬ জন। আহত দু’জনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত মিতু সরকার (৩৬) ইচাইল গ্রামের রণজিত সরকারের স্ত্রী। অভিযুক্ত আনন্দ সরকার (২৮) একই গ্রামের নিমাই সরকারের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে এবং আনন্দ সরকারকে আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেল গ্যারেজ শ্রমিক আনন্দ সরকার কয়েক দিন ধরে চুপচাপ ছিলেন। বাড়ির কারও সঙ্গে কথাবার্তা বলেননি। বুধবার বিকেলে বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে দা চান। দা হাতে পেয়ে মাকে কোপাতে যান। মায়ের চিৎকার শুনে যিনি এগিয়ে আসেন, তাকেই এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। দায়ের কোপে প্রতিবেশী দুই সন্তানের জননী মিতু সরকার নিহত হন। এ সময় এলোপাতাড়ি কোপে তাঁর বাবা নিমাই সরকার, মা মিষ্ট রানি সরকার, প্রতিবেশী দুলাল সরকার, দিগেন সরকার, দিপা সরকার এবং সুমা সরকার আহত হন। তাদের মধ্যে দুলাল ও দিগেন সরকারকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।’ 

মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, হত্যার কারণ জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আনন দ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানানো হয়।

আইজিপি নির্দেশনায় বলেছেন, ‘আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আছে। তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশ এখন এটা নিয়ে কাজ করছে।’

সরকার কোনো ন্যায়সংগত বিক্ষোভে বাধা দেয় না উল্লেখ করে আইজিপি নির্দেশনায় আরও বলেছেন, ‘তবে প্রতিবাদ কর্মসূচির আড়ালে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।’

এদিকে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুরুর দিনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ‘ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন’ করেছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘যখন আমরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছি, তখন এ ধরনের ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনেকেই স্থানীয় বিনিয়োগকারী, কিছু বিদেশি বিনিয়োগকারী আছেন, যাঁরা বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখতেন। তাঁরা সবাই আমাদের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছিলেন।’

আশিক চৌধুরী বলেছেন, ‘যারা এই জঘন্য ভাঙচুর চালিয়েছে, তারা দেশের কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার বিরোধী।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ