ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, আদালত বর্জন আইনজীবীদের
Published: 6th, March 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণ দাবিতে আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা। বুধবার দুপুরে আইনজীবীদের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি ও কলাপাড়া চৌকি আদালত আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান চুন্নু জানান, আইনজীবীদের জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের অপসারণ দাবিতে আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজকের (বুধবার) মধ্যেই সভার রেজুলেশন জেলা জজ আদালতের প্রধান বিচারকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পৌঁছে দেওয়া হবে। অবিলম্বে তাঁকে অপসারণ করা না হলে আইনজীবীরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
এর আগে চৌকি আদালত আইনজীবী ভবনে মজিবুর রহমান চুন্নুর সভাপতিত্বে আইনজীবীদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, অ্যাডভোকেট নাথুরাম ভৌমিক, অ্যাডভোকেট আব্দুস সত্তার, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট গোফরান বিশ্বাস পলাশ, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট খন্দকার শাহাবুদ্দিন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট কাওসার, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র রহম ন চ ন ন আইনজ ব দ র
এছাড়াও পড়ুন:
আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) এমসিকিউ (প্রথম ধাপ) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে মোট ১৩ হাজার ২৫৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ফল প্রকাশ করা হয়। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। লিখিত পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে তিন ধাপে (এমসিকিউ, লিখিত এবং ভাইভা) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আইনের ওপর স্নাতক উত্তীর্ণের পরপরই আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়। ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন। সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা বার-এ যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করতে পারেন।
উল্লেখ্য, আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। শুক্রবার বিকেলে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় মোট ৪০ হাজার ৬২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।