কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ট্রেন থেকে সোয়া ৬ কোটি টাকার এলএসডি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৭ ব্যাটালিয়ন। গতকাল বুধবার দুপুরে ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনে থেমে থাকা চিত্রা এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি এ সময় সিটি গোল্ডের অলঙ্কারও জব্দ করেছেন বিজিবি সদস্যরা।

৪৭ বিজিবি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের একটি বিশেষ টহল দল ভেড়ামারা রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। তারা খুলনা থেকে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালায়। এ সময় ১২ বোতল ভারতীয় এলএসডি ও সিটিগোল্ডে তৈরি ১২১০টি নানা ধরনের অলঙ্কার উদ্ধার করেন বিজিবি সদস্যরা।

৪৭ বিজিবি, কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

মাহবুব মুর্শেদ রহমান জানান, উদ্ধার এলএসডি ও সিটিগোল্ডের গয়নার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬ কোটি ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা। এ বিষয়ে বিধি অনুযায়ী পোড়াদহ রেলওয়ে স্টেশন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এলএসড

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে স্কুল ঢুকে প্রধান শিক্ষককে ‌‘জুতাপেটা’

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে টাঙ্গাইলের মধুপুরে একদল নারী অভিভাবক আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষককে ‘জুতাপেটা’ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মধুপুরের আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঢুকে তারা ওই শিক্ষকের ওপর হামলা করেন। ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বার ওই বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক।

অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার স্কুলে ক্লাস করানোর সময় তাদের মেয়েদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেছেন।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ৩০ স্কুলে চালু হলো ‌‘মিড ডে মিল’

এবার সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

অ‌ভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, “আমার মেয়েকে স্থানীয় এক যুবক উত্ত্যক্ত করতো। তাকে বিভিন্ন সময়ে বুঝানো হয়েছে। কথা না শুনায় তাকে শাসন করা হয়েছিল। সেই ছেলে ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।”

তিনি আরো বলেন, “আমি শিক্ষার্থীদেরকে সন্তানের মতো দেখি। সেভাবেই আদর-শাসন করি। তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি বের করার জন্য ঊর্ধ্বতনদের আহ্বন জানাচ্ছি।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান শিক্ষক হিসেবে আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত বছর এপ্রিল মাসে যোগ দেন আব্দুল জব্বার। বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই একদল নারী স্কুলে প্রবেশ করে তার কক্ষে যান। তারা আব্দুল জব্বারকে আক্রমণ করেন। এসময় সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগমসহ কয়েকজন প্রধান শিক্ষককে রক্ষার চেষ্টা করেন। ফলে শিক্ষকদের ওপর ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। 

প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া ঝুমা বেগম নামে এক অভিভাবক বলেন, “বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার ক্লাস নেওয়ার সময় আমাদের মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছেন।” একই দাবি করেছেন সুমি বেগম নামে অপর এক নারী।

আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম বলেন, “আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা অফিসে প্রবেশ করে হামলা করেন। একপর্যায়ে তারা জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন। আমরা অনেক কষ্টে প্রধান শিক্ষককে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করি।”

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেন।

মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ