জুয়ার টাকা জোগাড় সহকর্মীকে হত্যা, ছিনিয়ে নেওয়া বাইসাইকেল বিক্রি ৯শ টাকায়
Published: 6th, March 2025 GMT
বন্ধুর ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে খুন করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে লাশ। জুয়ার টাকার জন্য দুই বন্ধু মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে জানিয়েছে নরসিংদীর পিবিআই।
গতকাল বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ সময় পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, ঘটনার দুই মাস আগে চাকরি হারায় হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বিল্লাল মিয়া রনি। দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে জুয়া খেলার ছলে ঋণগ্রস্ত হওয়ায় তার বন্ধু ফরহাদকে নিয়ে পরিকল্পনা করে টাকা সংগ্রহের। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদেরই সহকর্মী এরশাদকে টার্গেট করে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে পরিকল্পিতভাবে দুই বন্ধু মিলে গত ১১ ফেব্রুয়ারি এরশাদকে হত্যা করে। সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এরশাদ মিয়া নিজ বাড়ি শান্তিরভাওলা থেকে শহরের কর্মস্থল সাইজিং মিলে যাওয়ার পথে নাগরিয়াকান্দি এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা রনি ও ফরহাদ তাকে পাশের বালুর মাঠে নিয়ে সাইকেল ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে পৌর শহরের নাগরিয়াকান্দি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় সাইজিং মিল শ্রমিক এরশাদের লাশ।
এ ঘটনায় সদর থানায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই মামলা করলে কাজ শুরু করে পিবিআই। পরদিনই ফরহাদকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে বিল্লাল মিয়া ওরফে রনি। দীর্ঘদিন তৎপরতা চালিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভুক্তভোগীর বাইসাইকেল মাত্র ৯০০ এবং মোবাইল ফোন ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে অভিযুক্তরা। তাছাড়া আগে থেকেই ভুক্তভোগী এরশাদের বিকাশের পাসওয়ার্ড জানতে পারায় তার বিকাশে থাকা ছয় হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করে নেয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দু’জনই অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি নিয়ে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন আরডিএর কর্মকর্তা, কিন্তু পৌঁছাতে পারলেন না
কর্মস্থল থেকে মোটরসাইকেলে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন জয়ন্ত কুমার রায় (৩৫)। পথে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় তিনি নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার ব্র্যাক মোড় এলাকার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জয়ন্ত কুমার রায় বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ছিলেন। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জয়ন্ত কুমার রায়ের সহকর্মী ও স্বজনেরা জানান, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন জয়ন্ত। সেখানে আগেই তাঁর স্ত্রী-সন্তান গিয়েছিলেন। গতকাল আরডিএতে দাপ্তরিক কাজ শেষে জয়ন্ত বিকেল চারটার দিকে মোটরসাইকেলে রওনা হন। সন্ধ্যার দিকে পলাশবাড়ি উপজেলার ব্র্যাক মোড় এলাকায় দ্রুতগতির একটি কাভার্ড ভ্যান মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে জয়ন্ত সড়কে ছিটকে পড়েন এবং কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে পলাশবাড়ী থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আরডিএ বগুড়ার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল মজিদ বলেন, জয়ন্ত কুমার পরিবার নিয়ে আরডিএর আবাসিক কোয়ার্টারে থাকতেন। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা আগেই লালমনিরহাট গিয়েছিলেন। জয়ন্ত এক দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথে সড়ক দুর্ঘটনা তিনি নিহত হয়েছেন। এমন মৃত্যুতে আরডিএর সহকর্মীরা শোকাহত।