পিএসজি ০ : ১ লিভারপুল

ফুটবলে ম্যাচের ফল সব সময় সঠিক কথাটি বলে না। অনেক সময় ফলের নিচে চাপা পড়ে যায় দুর্দান্ত অনেক কিছু। যেমন আজ বুধবার রাতে লিভারপুলের জয়ের নিচে চাপা পড়ে গেছে পিএসজির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের গল্পটা। ম্যাচজুড়ে অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেও শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পিএসজিকে। ঘরের মাঠে এমন হারের পর নিয়তিকে চাইলে দুষতেই পারে পিএসজি তারকারা। একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে তাদের।

পাশাপাশি অবশ্য কিছুটা দোষ দিতে হবে নিজেদের ফিনিশিং দুর্বলতাকেও। নয়তো এত সুযোগ হেলায় হারাবে কেন! আর লিভারপুল চাইলে আজকের ম্যাচের পর আলিসনের নামে আলাদা একটা মূর্তি বানাতেই পারে। এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক একের পর এক গোল না ঠেকালে ম্যাচটা যে প্রথমার্ধে হেরে যেতে লিভারপুল। সঙ্গে বলতে হবে হার্ভে এলিয়টের কথাও। নিষ্প্রভ সালাহর বদলি নেমে মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে গোল করে হয়ে গেছেন জয়ের নায়ক।  

প্যারিসে শুরুতে লং পাসের ওপর নির্ভর করে খেলার চেষ্টা করে লিভারপুল। যদিও তাতে কোনো সাফল্য আসেনি। এরপর দুই দলই আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে দ্রুতই লিভারপুলের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে পিএসজি। অল্প সময়ের মধ্যে একাধিক সুযোগও আদায় করে তারা। ম্যাচের ২০ মিনিটে তেমনই এক সুযোগকে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোলে পরিণত করেন শীতকালীন দলবদলে নাপোলি থেকে আসা খিচা কাভারাস্কেইয়া।

কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয়ে যায় গোলটি। গোল না পেলেও লিভারপুলকে এ সময় বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরে পিএসজি। একের পর আক্রমণে ইংলিশ ক্লাবটির নাভিশ্বাস তুলে ছাড়ে প্যারিস জায়ান্টরা। উসমান দেম্বেলে, ব্র্যাডলি বারকোলা এবং কাভারেস্কাইয়াদের পাসিং-প্রেসিং-ড্রিবলিংয়ে লিভারপুল রীতিমতো নাকাল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বলতে হয় কাভারাস্কেইয়ার কথা। ‘নতুন ম্যারাডোনা’ খ্যাত নাপোলির ৩৩ বছর পর লিগ জেতার অন্যতম এই নায়ক শুরু থেকেই নিজের পায়ের জাদুতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। জর্জিয়ান এই ফুটবলারের কাছেই মূলত হুমকির ওপর থাকতে হয়েছে লিভারপুলকে।

৩১ মিনিটে আলিসন ও লিভারপুল রক্ষণ দেয়াল তুলে না দাঁড়ালে তখনই পিছিয়ে যেতে পারত পিএসজি। সব দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতা এবং লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসনের দৃঢ়তায় অবিশ্বাস্যভাবে গোল বঞ্চিত থেকে যায় পিএসজি। বিশেষত আলিসনকে লিভারপুল চাইলে আলাদা করে ধন্যবাদ দিতেই পারে। স্বাগতিকদের তোপের ‍মুখে প্রতি-আক্রমণের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছিল লিভারপুলকে। যদিও সেই সুযোগও খুব একটা মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত কোনো রকমে গোল খাওয়া ঠেকিয়ে বিরতিতে যায় আর্নে স্লটের দল।

বিরতির পরও লিভারপুলকে চাপের মুখে রাখে পিএসজি। শুরু থেকে বারবার আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে তারা। ৫৪ মিনিটে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ফ্রি-কিক থেকে কাভারাস্কেইয়ার শট ঠেকিয়ে দেন আলিসন। এই অর্ধেও পিএসজির একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে কোনো রকমে গোল খাওয়া থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে যাচ্ছিল লিভারপুল।

পিএসজির আগ্রাসী ফুটবলের কোনো জবাবই যেন ছিল না অতিথিদের। তবে যেটুকু জবাব লিভারপুলের হাতে ছিল, পুরোটাই ছিল আলিসনের গ্লাভসে। তাঁর চুম্বকে মোড়া হাতটাই বারবার বাঁচিয়েছে লিভারপুলকে। আর আলিসনের কীর্তিকে স্মরণীয় করেছেন এলিয়ট। স্রোতের বিপরীতে লিভারপুলের একমাত্র গোলটি করেছেন তিনিই। এই গোলই এখন শেষ আটের পথে অনেকটা এগিয়ে দিল লিভারপুলকে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অব শ ব স য এক র পর ফ টবল প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

যুবকের বুকে পরীমণি, এক ঘড়ির কারণে খেয়ে গেলেন ধরা!

ঢালিউড নায়িকা পরীমণি আবারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খবরের শিরোনাম হলেন। স্যোশাল মিডিয়ায় নতুন প্রেমের ইঙ্গিত দিয়ে এক যুবকের বুকে মাথা রেখে ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। আর ছবিটি প্রকাশ করার পর থেকেই চলছে নানা চর্চা। যদিও সেই যুবকের চেহারা স্পষ্ট করেননি পরী। পরীমণি লুকাতে চাইলেও  নেটিজেনরা সেই ছবির মিল খুঁজে পেয়েছেন গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে নিজেই ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেছেন পরীমণি। যার ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, প্রেম ফিরে ফিরে আসুক ভালোবাসা হয়ে।

পরীমণি লিখেছেন, ‘জীবন ভালোবাসার, এ জীবন প্রেমের। এ জীবন প্রেমের মায়ায় জড়িয়ে থাকুক। শুধু অবসানের জন্য জীবন প্রেমের থেকে বিচ্ছিন্ন না হোক। প্রেম ফিরে আসুক ভালোবাসা হয়ে....আবার চলে যাক শরতের সাদা শুভ্র মেঘের মতন। শুধু ওই মেঘ গর্জন না হোক। জীবন চলুক জীবনের মতন...।’

তবে সেই যুবককে এখনও প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী। কেবল তার হাতটাই দেখা গেছে। যে হাতে আবার ভালোবাসার দাগও যেন স্পষ্ট। এদিকে অনেকেই পরীর পাশে থাকা মানুষকে সংগীতশিল্পী শেখ সাদী বলে দাবি করছেন। কারণ, হিসেবে এই গায়কের ব্যবহৃত হাতঘড়ির সঙ্গে পরীমণির পাশে থাকা পুরুষের হাতঘড়ির মিল খুঁজে পাচ্ছেন।

এছাড়াও সম্প্রতি সময়ে শেখ সাদীর সঙ্গেই পরীমণির প্রেমের গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে বিনোদন জগতে। যে কারণে ভক্তরাও দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।  বুধবার রাত থেকেই ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ, পেইজে নেটিজেনরা শেখ সাদী ও পরীমণির ‘ভাইরাল’ সেই ছবি নিয়ে একের পর এক স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

কেউ কেউ লিখেছেন, শেখ সাদীকে আর আড়ালে রাখতে পারলেন না পরীমণি। কেউ আবার, পরীমণি-সাদীর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়গুলো পরী নিজেও হয়তো খেয়াল করেছেন। যে কারণে বৃহস্পতিবার সকালের আলো ফোটার আগেই সেই ছবি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।

উল্টো নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে একটি গাঁদা ফুলের ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে পরী লিখেছেন, গাঁদা ফুল ভুলে গাধা হয়ে গেছিলো ভাইইই....!
 
তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে পরীমণির প্রেমের গুঞ্জনে ঘি ঢালছে প্রতিনিয়ত একে অন্যকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট। একজন অপরজনের পোস্ট শেয়ার করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ