সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) অস্থায়ী ক্যাম্পাস সুনামগঞ্জ জেলা সদরে স্থাপনের দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। জেলা আইনজীবী সমিতির ভবন প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার এই মানববন্ধন হয়।

দুপুর ২টায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয় (সুবিপ্রবি) স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন এবং সুনামগঞ্জের আয়োজনে এই মানববন্ধন হয়।

সুবিপ্রবির স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব মুনাজ্জির হোসেন সুজনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি রবিউল লেইস রোকেস ও অধ্যাপক সৈয়দ মহিবুল ইসলাম। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মল্লিক মইন উদ্দিন সোহেল পিপি, সাবেক সিভিল সার্জন সৈয়দ মনোয়ার আলী, জেলা জামায়েতের নায়েবে আমির শামসুদ্দিন আহমদ, জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, শিক্ষাবিদ যোগ্বেশ্বর দাস, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাড.

মাসুক আলম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাসদ নেতা রুহুল তুহিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেরেনুর আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সাকিব প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে শান্তিগঞ্জের চারটি স্থানে করা হয়েছে। টেক্সটাইল ইনস্টিউট, একটি কলেজ ও একটি মাদ্রাসায় করা এই প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সুনামগঞ্জ শহর থেকে ওখানে যাতায়াত করেন। কয়েকজন ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর বাড়িতে। শহর থেকে সেখানে যাতায়াত করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি অনিরাপদ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ স ন মগঞ জ স ব প রব আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা, জরুরি ভিত্তিতে শুনতে অস্বীকার

ওয়াক্‌ফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একের পর এক মামলা হলেও সুপ্রিম কোর্ট জরুরি ভিত্তিতে তা শুনতে অস্বীকার করলেন।

আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে মামলার দ্রুত শুনানির অনুরোধ জানান আইনজীবী কপিল সিবাল। জামায়াত উলামা–ই–হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানির করা মামলার আইনজীবী সিবাল প্রধান বিচারপতিকে বলেন, এই আইনের বিরোধিতা করে বহু মামলা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্রুত তা লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দিতে এবং সওয়াল শুনানি করতে তিনি প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানান।

প্রধান বিচারপতি অনুরোধের জবাবে বলেন, আদালতের একটা ব্যবস্থা আছে। সেই ব্যবস্থা অনুযায়ী আদালত চলবে। সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দুপুরে তাঁর কাছে পেশ করা হবে। তারপর প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ওয়াক্‌ফ আইন চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। জামায়াত উলামা-ই-হিন্দ ছাড়াও মামলা করেছেন এআইএমআইএম নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, কংগ্রেসের নেতা ও সংসদ সদস্য মহম্মদ জাভেদ, আম আদমি পার্টির নেতা আমানুল্লা খান। বিহারের বিরোধী দল আরজেডির পক্ষেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে চলেছেন সংসদ সদস্য মনোজ ঝা ও সংগঠনের নেতা ফয়াজ আহমেদ।

ওয়াক্‌ফ আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সোমবার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় শাসক জোটের সদস্যরা তুমুল বিক্ষোভ দেখান। ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) পক্ষ থেকে আইনের বিরোধিতা করে প্রস্তাব গ্রহণ করার কথা জানানো হলে স্পিকার আবদুল রহিম রাথের বলেন, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। তাই এ নিয়ে এখন মুলতবি প্রস্তাব গ্রহণ করা সম্ভব নয়।

স্পিকারের এই রুলিংয়ের পর বিধানসভায় স্লোগান শুরু হয়। বিরোধী নেতা বিজেপির সুনীল শর্মা বলেন, পার্লামেন্ট বিল পাস করেছে। রাষ্ট্রপতি বিলে সই করার পর তা আইন হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। এ অবস্থায় বিধানসভার কোনো এখতিয়ারই নেই ওই আইন নিয়ে আলোচনা করার। প্রস্তাব গ্রহণের।

শাসক দলের ভূমিকায় অখুশি পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত তামিলনাড়ু সরকারের কাছে থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওয়াক্‌ফ আইনের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু সরকার যে দৃঢ় মনোভাব গ্রহণ করেছে, তেমনই মনোভাব নেওয়া উচিত রাজ্য সরকারের। মনে রাখতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর দেশের একমাত্র মুসলমান–গরিষ্ঠ রাজ্য।

পিডিপির পক্ষে বলা হয়, ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও সিএএ মামলা সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় বিধানসভায় প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। অথচ এবার স্পিকার তা হতে দিলেন না।

ওয়াক্‌ফ বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে উত্তর প্রদেশের মুজফফরনগরে গত শুক্রবার মুসল্লিরা হাতে কালো কাপড়ের টুকরা বেঁধে নামাজে অংশ নিয়েছিলেন। সেটা ছিল তাঁদের নীরব প্রতিবাদ। জেলা পুলিশ সিসিটিভি দেখে সেই প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ৩০০ জনকে শনাক্ত করে তাঁদের থানায় হাজির হওয়ার নোটিশ পাঠিয়েছে।

জেলা পুলিশের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে শহরের ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কশ্যপ ওই ব্যক্তিদের ১৬ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে ২ লাখ রুপির বন্ড জমা দিতে বলা হয়েছে। ওয়াক্‌ফ নিয়ে তাঁরা এমন কিছু করবেন না, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়, এই মর্মে তাঁদের মুচলেকা দিতে বলা হচ্ছে।

আইন নিয়ে পাল্টা প্রচার শুরু করেছে বিজেপিও। প্রথমত, তারা বলছে, এই আইন মুসলমানদের ধর্মাচরণে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি পরিচালনার ক্ষেত্রে যে অনিয়ম, বৈষম্য ও দুর্নীতি চলছে, এ আইন তা দূর করবে। বিজেপির দ্বিতীয় যুক্তি, ওয়াক্‌ফের নামে মুসলমানরা দেশে ‘ভূমি জিহাদ’ চালাচ্ছে। ওয়াক্‌ফ বোর্ড লাগিয়ে যেকোনো জমি জবরদখল করা হচ্ছে। নতুন আইন এ প্রবণতা রুখবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপগঞ্জে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক গ্রীণ ইউনিভার্সিটির
  • সাবেক এমপি সুমনের জামিন নামঞ্জুর
  • সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের আহ্বায়ক বদরুদ্দোজা বাদল, সদস্যসচিব গাজী তৌহিদুল
  • চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা, জরুরি ভিত্তিতে শুনতে অস্বীকার
  • তিন নদীতে দেদার বালু উত্তোলন ভাঙনের ঝুঁকিতে বাড়িঘর
  • গবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ, প্রত্যাহার দাবি
  • ভারতে ওয়াক্‌ফ বিল পাসের নিন্দা জানাল ছাত্রশিবির
  • রংপুরে ফরম পূরণ করেও প্রবেশপত্র পায়নি ৭৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী, মানববন্ধন
  • ভোলায় ‘নিরপরাধ’ ব্যক্তিদের আটকের অভিযোগ তুলে কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে বিএনপির মানববন্ধন
  • রংপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ২০