এক কর্মকর্তার জন্য সরব উপজেলার সব শিক্ষক
Published: 6th, March 2025 GMT
একজন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার জন্য সরব হয়ে উঠেছেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সব শিক্ষক। তারা বলছেন সৎ, দক্ষ ও কর্মঠ এই শিক্ষা কর্মকর্তার সময় এখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি কমে গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলেমান মিয়ার বদলি ঠেকাতে উপজেলার প্রায় সব শিক্ষক এরই মধ্যে আবেদন করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে। ওই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বদলি রহিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে সোমবার আবেদন করেছেন তারা।
শিক্ষকদের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে দিরাই উপজেলায় বদলি করা হয়েছে সোলায়মান মিয়াকে। এখানে যোগদানের একের পর এক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এক বছর তিন মাসের মাথায় তাঁর বদলিতে শিক্ষকরা ব্যথিত। তারা বলছেন, অবহেলিত হাওরের উপজেলা দিরাইয়ের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য তাঁর বদলি রহিত করা জরুরি।
দিরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিবাকর দাস জানান, ২৬ বছর হয় শিক্ষকতা করছেন। এতো সৎ, দক্ষ ও কর্মঠ কর্মকর্তা এর আগে পাননি। শিক্ষকদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করেও যে কাজ আদায় করা যায়, সেটি তাঁর সময়কালে দিরাইয়ের প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার দেখতে পেয়েছে। শিক্ষাবান্ধব এই মানুষটি অন্যায় তদবির শোনেন না বলেই হয়তো কেউ ক্ষমতা দেখিয়ে তাঁকে সরিয়ে দিতে চাইছে। উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকার পরেও তাঁকে নেত্রকোনার খালিয়াজুড়িতে বদলি করা হয়েছে।
উপজেলার আরেক শিক্ষক নেতা জসিম উদ্দিন জানান, শিক্ষকদের মধ্যে মতভিন্নতা আছে। শিক্ষা কর্মকর্তা সোলেমান মিয়ার কারণে একদিনে ৪৮৩ জন শিক্ষক একসঙ্গে জড়ো হয়ে তাঁর বদলি ঠেকাতে আবেদন করেছেন। এর অর্থ তিনি সবাইকে এক পর্যায়ে নিয়ে এসেছিলেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস জানান, সৎ কর্মকর্তা অনেকেই আছেন। তবে সোলেমান মিয়ার মতো চৌকস ও বিনয়ী কর্মকর্তা কম। তিনি যেখানেই কাজ করেছেন সুনামের সঙ্গে করেছেন। বদলির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন সোলেমান। সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত জানা যাবে শিগগিরই।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ কর মকর ত র ই উপজ ল উপজ ল র র বদল
এছাড়াও পড়ুন:
যুবকের বুকে পরীমণি, এক ঘড়ির কারণে খেয়ে গেলেন ধরা!
ঢালিউড নায়িকা পরীমণি আবারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খবরের শিরোনাম হলেন। স্যোশাল মিডিয়ায় নতুন প্রেমের ইঙ্গিত দিয়ে এক যুবকের বুকে মাথা রেখে ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। আর ছবিটি প্রকাশ করার পর থেকেই চলছে নানা চর্চা। যদিও সেই যুবকের চেহারা স্পষ্ট করেননি পরী। পরীমণি লুকাতে চাইলেও নেটিজেনরা সেই ছবির মিল খুঁজে পেয়েছেন গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে নিজেই ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেছেন পরীমণি। যার ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, প্রেম ফিরে ফিরে আসুক ভালোবাসা হয়ে।
পরীমণি লিখেছেন, ‘জীবন ভালোবাসার, এ জীবন প্রেমের। এ জীবন প্রেমের মায়ায় জড়িয়ে থাকুক। শুধু অবসানের জন্য জীবন প্রেমের থেকে বিচ্ছিন্ন না হোক। প্রেম ফিরে আসুক ভালোবাসা হয়ে....আবার চলে যাক শরতের সাদা শুভ্র মেঘের মতন। শুধু ওই মেঘ গর্জন না হোক। জীবন চলুক জীবনের মতন...।’
তবে সেই যুবককে এখনও প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী। কেবল তার হাতটাই দেখা গেছে। যে হাতে আবার ভালোবাসার দাগও যেন স্পষ্ট। এদিকে অনেকেই পরীর পাশে থাকা মানুষকে সংগীতশিল্পী শেখ সাদী বলে দাবি করছেন। কারণ, হিসেবে এই গায়কের ব্যবহৃত হাতঘড়ির সঙ্গে পরীমণির পাশে থাকা পুরুষের হাতঘড়ির মিল খুঁজে পাচ্ছেন।
এছাড়াও সম্প্রতি সময়ে শেখ সাদীর সঙ্গেই পরীমণির প্রেমের গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে বিনোদন জগতে। যে কারণে ভক্তরাও দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বুধবার রাত থেকেই ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ, পেইজে নেটিজেনরা শেখ সাদী ও পরীমণির ‘ভাইরাল’ সেই ছবি নিয়ে একের পর এক স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
কেউ কেউ লিখেছেন, শেখ সাদীকে আর আড়ালে রাখতে পারলেন না পরীমণি। কেউ আবার, পরীমণি-সাদীর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়গুলো পরী নিজেও হয়তো খেয়াল করেছেন। যে কারণে বৃহস্পতিবার সকালের আলো ফোটার আগেই সেই ছবি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
উল্টো নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে একটি গাঁদা ফুলের ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে পরী লিখেছেন, গাঁদা ফুল ভুলে গাধা হয়ে গেছিলো ভাইইই....!
তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে পরীমণির প্রেমের গুঞ্জনে ঘি ঢালছে প্রতিনিয়ত একে অন্যকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট। একজন অপরজনের পোস্ট শেয়ার করছেন।