বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ
Published: 5th, March 2025 GMT
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ৩ ধাপ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা এবং এ–সংক্রান্ত হতাহতের ঘটনা আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে কমেছে।
সিডনিভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের (আইইপি) বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক বা জিটিআই ২০২৫-এ এমন চিত্র উঠে এসেছে। বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এ বছরের সূচক প্রকাশ করেছে আইইপি।
এবারের জিটিআই তৈরি করতে ১৬৩টি দেশের তথ্য খতিয়ে দেখেছে আইইপি। জিটিআই ২০২৫-এর প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম। স্কোর ৩.
জিটিআইর মোট স্কোর ১০। শূন্য স্কোর মানে সন্ত্রাসবাদের কোনো প্রভাব নেই। স্কোর ২–এর মধ্যে হওয়ার অর্থ সংশ্লিষ্ট দেশটিতে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব ‘বেশ কম’। স্কোর ২ থেকে ৪–এর মধ্যে হলে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব ‘কম’ বলে ধরা হয়। স্কোর ৪ থেকে ৬–এর মধ্যে হলে ‘মধ্যম’, ৬ থেকে ৮–এর মধ্যে হলে ‘বেশি’ এবং ৮ থেকে ১০–এর মধ্যে ‘খুব বেশি’ সন্ত্রাসবাদের প্রভাবভুক্ত দেশ ধরা হয়। এবার ৩.০৩ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ‘কম’ শ্রেণিভুক্ত দেশে রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এ অঞ্চলে এবারও সবচেয়ে খারাপ অবস্থান পাকিস্তানের। ৮ দশমিক ৩৭৪ স্কোর নিয়ে বৈশ্বিক সন্ত্রাস সূচকে ২০২৫ সালে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় খারাপ স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। ৭ দশমিক ২৬২ স্কোর নিয়ে বিশ্বে দেশটির অবস্থান নবম। এই অঞ্চলে তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতের স্কোর ৬ দশমিক ৪১১। বিশ্বে দেশটির অবস্থান ১৪তম। দক্ষিণ এশিয়ায় পঞ্চম স্থানে থাকা নেপালের স্কোর ১ দশমিক ১১৩। বিশ্বে দেশটির অবস্থান ৬৮তম।
২০২৪ সালে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা আগের বছরের তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৯৯টি। ২০২৩ সালে তা ছিল ৭২৬টি। ২০২৩ সালে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৯৬১। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০৩ জন।
জিটিআই ২০২৫-এ শীর্ষ ১০টির দেশের দুটি দক্ষিণ এশিয়ার। দেশ দুটি হলো পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের এবার জিটিআই স্কোর শূন্য।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে শ্রীলঙ্কা। ২০১৯ সালের পর দেশটিতে কোনো সন্ত্রাসী হামলা বা এ ধরনের হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সন্ত্রাসী হামলায় উন্নতি হওয়ার দিক থেকে এ অঞ্চলে শ্রীলঙ্কার পরে রয়েছে নেপাল। দেশটিতে এ নিয়ে টানা দুই বছর কোনো সন্ত্রাসী হামলা বা মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
২০২৪ সালে বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়া দেশের সংখ্যা ৫৮ থেকে বেড়ে ৬৬–তে পৌঁছেছে। এসব দেশে অন্তত একটি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ২০১৮ সালের পর কোনো এক বছরে এত বেশি দেশে আর সন্ত্রাসী হামলা হয়নি। ২০২৪ সালে ৪৫টি দেশের পরিস্থিতি আগের বছরের তুলনায় অবনতি হয়েছে। উন্নতি হয়েছে ৩৪টি দেশের অবস্থা।
বিশ্বে ২০২৪ সালে চারটি সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার জন্য চারটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়েছে। গোষ্ঠীগুলো হলো ইসলামিক স্টেট (আইএস), জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম), তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও আল-শাবাব। ২০২৪ সালে এসব গোষ্ঠীর সহিংসতায় মৃত্যুর ঘটনায় আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর তাদের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে ৪ হাজার ২০৪ জন। ২০২৩ সালে গোষ্ঠীগুলো বিশ্বের ২৯টি দেশে সক্রিয় ছিল। গত বছর তারা সক্রিয় ছিল ৩০টি দেশে।
আরও পড়ুনবৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে দ.এশিয়ায় বাংলাদেশের অগ্রগতি সবচেয়ে বেশি২৯ নভেম্বর ২০১৯জিটিআই ২০২৫ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৩ সালের মতো গত বছরও আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদজনিত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সালে বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলায় যত মানুষ মারা গেছে, তার অর্ধেকের বেশি মারা গেছে এ অঞ্চলে। গত বছর বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ১৯ শতাংশই হয়েছে অঞ্চলটিতে। একই সঙ্গে ২০২৪ সালে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদজনিত সহিংসতার শিকার শীর্ষ ১০ দেশের পাঁচটি সাহেল অঞ্চলের।
সাহেল অঞ্চলের বুরকিনা ফাসো ২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদের শিকার দেশের তকমা পেয়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যু ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা যথাক্রমে ২১ ও ৫৭ শতাংশ কমেছে। তা সত্ত্বেও ২০২৪ সালে বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলায় যত মানুষ মারা গেছে তার প্রায় এক-পঞ্চমাংশই মারা গেছে দেশটিতে।
আরও পড়ুনগণতন্ত্র সূচকে এবার সবচেয়ে খারাপ করেছে বাংলাদেশ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ শ র অবস থ ২০২৪ স ল ২০২৩ স ল গত বছর দশম ক র ঘটন সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
কোহলি–আনুশকা থেকে পন্ত–ইশা: ভারতীয় ক্রিকেটারদের ‘লাভ স্টোরি’
মাঠে তাঁরা ভারতের লাখো কোটি সমর্থকের নায়ক। কিন্তু মাঠের বাইরে সেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের ‘লাভ লাইফ’টা কেমন? চলুন জানা যাক তাঁদের প্রেম-সংসার আর বিচ্ছেদের গল্প—রোহিত শর্মা–রিতিকা সাজদেহ
ভারতের ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়কের স্ত্রী রিতিকা সাজদেহ। মুম্বাইয়ের মেয়ে রিতিকা একসময় একটি ক্রীড়া ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ছিলেন। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং ২০০৮ সালে রোহিতের সঙ্গে রিতিকার পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর থেকে রোহিতের সব খেলা দেখতে মাঠে যেতে থাকেন রিতিকা। এভাবেই একে–অপরের প্রেমে পড়েন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে রোহিত–রিতিকা বিয়ে করেন। বর্তমানে এই দম্পতির ঘরে দুই সন্তান—মেয়ে সামাইরা (বয়স ৬ বছর ৫ মাস) ও ছেলে আহান (বয়স ৫ মাস)।
বিরাট কোহলি–আনুশকা শর্মাক্রিকেটের সঙ্গে বলিউডের যে দীর্ঘদিনের মেলবন্ধন, সেটারই আরেক উদাহরণ বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। ভারতের ‘পাওয়ার কাপল’ হিসেবে পরিচিত তাঁরা। এই দম্পতিকে ‘বিরুশকা’ নামেও ডাকা হয়। ২০১৩ সালে একটি শ্যাম্পুর ব্র্যান্ডের মডেল হয়েছিলেন কোহলি ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা। শুটিং সেটেই তাঁদের পরিচয়। ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইতালির ফ্লোরেন্সের তুসকানিতে তাঁরা বিয়ে করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তাঁদের ঘর আলো করে আসে কন্যাসন্তান ভামিকা, পুত্রসন্তান আকাইয়ের জন্ম গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এমন হাই প্রোফাইল দম্পতি হওয়া সত্ত্বেও কোহলি–আনুশকা কখনো সন্তানদের মিডিয়ার সামনে আনেননি। পারিবারিক বিষয়গুলো তাঁরা গোপন রাখতেই পছন্দ করেন।
যশপ্রীত বুমরা–সঞ্জনা গণেশনপুনের মেয়ে সঞ্জনা গণেশন পেশায় ক্রীড়া সাংবাদিক ও টিভি উপস্থাপিকা। সঞ্জনা একসময় মডেলিং করতেন। সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইন্ডিয়া’র ফাইনালেও উঠেছিলেন। ভারতের তারকা ফাস্ট বোলার যশপ্রীত বুমরার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ২০১৩ আইপিএলে। সঞ্জনাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বন্ধুত্ব হয় বুমরার। ধীরে ধীরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০২১ সালের মার্চে তাঁরা বিয়ে করেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। নাম অঙ্গদ।
হার্দিক পান্ডিয়া–জেসমিন ওয়ালিয়া২০২০ সালের প্রথম দিনেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুসংবাদ দেন হার্দিক পান্ডিয়া। এই তারকা অলরাউন্ডার জানান, সার্বিয়ান মডেল ও নৃত্যশিল্পী নাতাশা স্তানকোভিচের সঙ্গে তিনি বাগ্দান সেরেছেন। সেই বছরের মে মাসে বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় তাঁরা আদালতে গিয়ে খুব সাদামাটা আয়োজনে বিয়ে করেন। মাস দুয়েক পরেই তাঁদের পুত্রসন্তান অগস্ত্যর জন্ম হয়। পান্ডিয়া–নাতাশার সংসার ভালোই চলছিল। ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে রাজস্থানের উদয়পুরে দুজন ঘটা করে আবারও বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ কী যে হলো! গত বছরের জুলাইয়ে দুজন পারস্পরিক সম্মতিতে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন।
নাতাশার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর ব্রিটিশ গায়িকা ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব জেসমিন ওয়ালিয়ার সঙ্গে পান্ডিয়া প্রেম করছেন বলে গুঞ্জন। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের একাধিক ম্যাচ দুবাই স্টেডিয়ামের ভিআইপি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেছেন জেসমিন। উইকেট পাওয়ার পর পান্ডিয়াকে উদ্দেশ করে জেসমিনকে উড়ন্ত চুম্বন দিতেও দেখা গেছে। গুঞ্জনের শুরুটা তখন থেকেই।
এবারের আইপিএলেও পান্ডিয়ার দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগ করছেন জেসমিন। শুধু কি তাই? গত ৩১ মার্চ কলকাতার নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মুম্বাইয়ের জয়ের পর জেসমিনকে পান্ডিয়াদের টিম বাসে উঠতেও দেখা গেছে।
শুবমান গিল–সারা টেন্ডুলকারএই মুহূর্তে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান শুবমান গিল। তাঁর নেতৃত্বে গুজরাট টাইটানসও আইপিএল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকারের সঙ্গে গিলের সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা দীর্ঘদিনের। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায়ও দুজন একসঙ্গে ধরা পড়েছিলেন। ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এটাও দাবি করেছিল, দুজন চুটিয়ে প্রেম করছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে শোনা যায়, গিল–সারার সম্পর্ক নাকি ভেঙে গেছে। ইনস্টাগ্রামে নাকি একে অন্যকে ‘আনফলো’ করে দিয়েছেন।
মোহাম্মদ শামি–হাসিন জাহান২০১২ আইপিএলের সময় মডেল হাসিন জাহানের সঙ্গে পরিচয় মোহাম্মদ শামির। শুরুতে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। হাসিন শামির চেয়ে ১০ বছরের বড় হলেও এই মাপকাঠি তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ২০১৪ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। পরের বছর জুলাইয়ে তাঁদের কন্যাসন্তান আইরার জন্ম হয়। প্রথম দিকে সংসার নির্ঝঞ্ঝাট চললেও চার বছরের মাথায় তিক্ততা শুরু হয়। শামির বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ আনেন হাসিন। দুজনই বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলা এখনো ঝুলে আছে। মেয়ে আইরাকে নিয়ে ৭ বছর ধরে আলাদা থাকছেন হাসিন। তবে আদালত শামিকে স্ত্রী–কন্যার ভরণপোষণের খরচ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ মেনে হাসিন ও আইরাকে মাসে ১ লাখ ৩০ হাজার রুপি খরচ দেন ভারতের এই তারকা পেসার।
লোকেশ রাহুল–আতিয়া শেঠিলোকেশ রাহুল ও আতিয়া শেঠির সম্পর্কের শুরু ২০১৯ সালে। আতিয়া বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা সুনীল শেঠির মেয়ে এবং নিজেও একজন অভিনেত্রী। কয়েক বছর প্রেমের পর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে খান্ডালায় সুনীল শেঠির ফার্ম হাউসে ঘরোয়া এক আয়োজনে বিয়ে করেন তাঁরা। গত ২৪ মার্চ প্রথমবারের মতো বাবা–মা হয়েছেন রাহুল ও আতিয়া। কন্যাসন্তানের নাম রেখেছেন ইভারাহ।
ঋষভ পন্ত–ইশা নেগি২০২২ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যুকে খুব কাছ দেখেছেন ঋষভ পন্ত। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান পুরোপুরি সেরে ওঠার পর গত বছর আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন। ২৭ কোটি রুপির পন্তই এখন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়। ইশা নেগি নামে এক তরুণীর সঙ্গে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে পন্ত প্রেম করছেন। ইশা পেশায় একজন উদ্যোক্তা ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। মাঝে গুঞ্জন ওঠে, বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলার সঙ্গে প্রেম করছেন পন্ত। তবে সেই গুঞ্জন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। সংবাদমাধ্যমগুলোও এর কোনো সত্যতা পায়নি।