এবি পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু রাইয়ান আশয়ারী
Published: 5th, March 2025 GMT
আমার বাংলাদেশ পার্টিতে (এবি পার্টি) যোগ দিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু রাইয়ান আশয়ারী। আনুষ্ঠানিকভাবে বুধবার তিনি এই পার্টিতে যোগ দেন। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবি পার্টি এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, আবু রাইয়ান আশয়ারী রাইয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি এবং রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি।
এবি পার্টিতে যোগদানের পর আবু রাইয়ান আশয়ারী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে আমার বাবার রাজনৈতিক মত, পথ এবং কাজকে যাঁরা ভালোবেসে পাশে ছিলেন, সেই জনগণ এখনো আমার বাবার সেই ভালোবাসার শূন্যতা অনুভব করেন। আমি সেই শূন্যতা পূরণ করতে না পারলেও বাবার মতোই জনগণের পাশে থাকার জন্য রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি।’
আবু রাইয়ান আশয়ারীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, এ বি এম খালিদ হাসান, জলবায়ু ও সমুদ্রসম্পদবিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার আলম (সরওয়ার সাঈদ), মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির এবং সহকারী দপ্তর সম্পাদক মশিউর রহমান মিলু।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যেকোনো উপায়ে গ্রিনল্যান্ড ‘দখল’ করবে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো উপায়ে ডেনমার্কের অধীনে থাকা গ্রিনল্যান্ড দখল করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মার্কিন কংগ্রেসের একটি যৌথ অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কংগ্রেসে যৌথ অধিবেশনের প্রথম ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা, এমনকি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের গ্রিনল্যান্ড প্রয়োজন। তাই আমরা এটি পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কাজ করছি। আমি মনে করি, আমরা এটি অর্জন করবো, যেকোনো উপায়ে আমরা এটি অর্জন করবো।”
আরো পড়ুন:
দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কংগ্রেসে প্রথম ভাষণ ট্রাম্পের
কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যে শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা ট্রাম্পের
ভাষণে ট্রাম্প আরো বলেন, “গ্রিনল্যান্ডের জনগণের জন্য আমার একটি বার্তা রয়েছে। সেটি হলো-আমরা আপনার ভবিষ্যত নির্ধারণের অধিকারকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। আপনারা যদি চান, আমরা আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানাই।”
গ্রিনল্যান্ডের জনগণের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প আরো বলেন, “আমরা আপনাদের নিরাপদ রাখব, আমরা আপনাদের ধনী করব এবং একসঙ্গে, আমরা গ্রিনল্যান্ডকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যাব, যা আপনারা আগে কখনো কল্পনাও করেননি।”
বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড। এটি ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ডেনমার্কের একটি উপনিবেশ ছিল। ১৯৭৯ সালে এর পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন লাভ করে দ্বীপটি। এটি খনিজ সমৃদ্ধ এবং কৌশলগতভাবে আর্কটিকের মধ্যে অবস্থিত। বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অবস্থানের কারণে এই দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রকে আকৃষ্ট করেছে।
ট্রাম্প বলেন, “এটির জনসংখ্যা খুবই কম কিন্তু বিশাল একটি অঞ্চল। সামরিক নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গ্রিনল্যান্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করার আগে থেকেই ট্রাম্প বলে আসছিলেন যে, তিনি গ্রিনল্যান্ডকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করতে চান। যদিও ন্যাটো মিত্র ডেনমার্ক বলছে যে, দ্বীপটি বিক্রির জন্য নয়।
জানুয়ারিতে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, গ্রিনল্যান্ডের বেশিরভাগ জনগণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিরোধিতা করে। কিন্তু তারা ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা লাভের পক্ষে।
গ্রিনল্যান্ডের প্রতি ট্রাম্পের আগ্রহ দেশটির স্বাধীনতা আন্দোলনকে আরো উজ্জীবিত করেছে। তবে, গ্রিনল্যান্ডের ক্ষমতাসীন ইনুইট আতাকাতিগিট পার্টি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ও কল্যাণমূলক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক জানিয়েছে, আগামী ১১ মার্চ সাধারণ নির্বাচনের পর স্বাধীনতা প্রাপ্তির বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা হবে না।
ডেনমার্কের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিনা মার্কাস ল্যাসেন সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ আসলে গ্রিনল্যান্ডের জনগণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়। স্বাধীনতা সম্ভব এবং তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে।”
লাসেন বলেন, “ডেনমার্ক ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত যে, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশে আর্কটিকের চারপাশে নিরাপত্তা আরো জোরদার করার প্রয়োজন রয়েছে এবং এটি এমন একটি বিষয় যা আমরা কিছুদিন ধরে ন্যাটো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসাথে কাজ করে আসছি।”
ঢাকা/ফিরোজ