ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
Published: 5th, March 2025 GMT
রাজধানীর শাহবাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফকে আজ বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। হেনস্তার শিকার নারী এ বিষয়ে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন এবং পরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তি ছাত্রীটিকে তাঁর পোশাক নিয়ে রাস্তায় হেনস্তা করেন। ছাত্রীটি এ নিয়ে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন এবং পরে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন। পরে বিকেলে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তকে শনাক্ত করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। এ সময় ওই ব্যক্তি ছাত্রীটিকে হেনস্তার করার কথা স্বীকার করে। পরে তাঁকে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয় এবং গ্রন্থাগারকে এ বিষয়ে জানানো হয়।
হেনস্তার শিকার ছাত্রীটি ঘটনার বিবরণ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। সেখানে অভিযুক্ত লোকটির ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, ‘এই লোকটা আজকে আমাকে শাহবাগ থেকে আসার পথে হ্যারাস করেছে। সে আমাকে হুট করে রাস্তায় দাঁড় করায় দিয়ে বলতেসে আমার ড্রেস ঠিক নাই, আমি পর্দা করি নাই ইত্যাদি ইত্যাদি এবং তার আচরণ খুবই অ্যাগ্রেসিভ ছিল। পরবর্তীতে তাঁকে আমি জিজ্ঞাসা করি আপনি কোন হলে থাকেন, কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন। সে বলে সে এই ক্যাম্পাসের কেউ না।’
ওই ছাত্রী আরও লেখেন, তিনি সালোয়ার, কামিজ ও ওড়না পরে ছিলেন। তার পরও তাঁকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলে। এরপর তিনি প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে ওই ব্যক্তি দৌড়ে চলে যাযন।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্তু কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
হামাসের সঙ্গে গোপন বৈঠক ট্রাম্প প্রশাসনের
গাজা উপত্যকায় আটক মার্কিন জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি বৃহত্তর চুক্তির লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জিম্মি বিষয়ক দূত অ্যাডাম বোহেলার সাম্প্রতিক সময়ে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। বুধবার (৫ মার্চ) দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ আলোচনা ‘অভূতপূর্ব’ ঘটনা। কারণ দেশটি এর আগে কখনো সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেনি। ১৯৯৭ সালে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী দলটিকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায়’ রেখেছে মার্কিন সরকার।
আরো পড়ুন:
ভারতীয় পণ্যেও শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো উপায়ে গ্রিনল্যান্ড ‘দখল’ করবে: ট্রাম্প
প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন প্রশাসন যে হামাসের সঙ্গে আলোচনার পথে হাঁটতে পারে এমনটা ইসরায়েলকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু দুপক্ষে আলোচনা হয়ে গেছে, সেটি অন্য একটি চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েল জেনেছে।
এই আলোচনার লক্ষ্য হলো হামাসের কাছে বন্দি থাকা মার্কিন জিম্মিকে মুক্ত করা। এছাড়া সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধবিরতি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এক্সিওস। যেটির লক্ষ্য হলো সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র এক্সিউসকে জানিয়েছে, আলোচনা চললেও হামাস ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো ধরনের চুক্তি এখনো হয়নি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকোফের মঙ্গলবার কাতারে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হতো। কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি তার সফরটি বাতিল করেছেন।
এক্সিওস জানিয়েছে, গাজা ইস্যুতে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ ট্রাম্প বারবার হুমকি দিয়ে আসছেন যে, হামাসের জন্য ‘নরকের দরজা খুলে’ দেবেন এবং গাজা দখল করবেন। এছাড়া ইসরায়েলকে না জানিয়ে হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা ট্রাম্প প্রশাসনের আরেকটি ভিন্ন পদক্ষেপ, যা পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসনগুলোতে কখনো ঘটেনি।
হামাসের কাছে এখনো ৫৯ জিম্মি রয়েছে। যার মধ্যে ৩৫ জনই মারা গেছে বলে ধারণা দখলদার ইসরাইলের। এই ৫৯ জিম্মির মধ্যে একমাত্র মার্কিন জীবিত জিম্মি হলেন ২১ বছর বয়সী ইডান-আলেক্সান্ডার। তাকে মুক্ত করতেই মূলত আলোচনা চালাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করারও চেষ্টা চলছে।
এদিকে গত শনিবার হামাস ও ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ৪২ দিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। যদিও দখলদার ইসরাইল গাজায় এখনো হামলা চালানো শুরু করেনি। তবে ওইদিন থেকেই উপত্যকাটিতে সব ধরনের খাদ্য পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বুধবার বিকেলে নিশ্চিত করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করছে। তিনি আরো বলেছেন, বিষয়টি ইসরায়েলকে আগেই জানানো হয়েছিল।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ট্রাম্প বিশ্বাস করেন এটি মার্কিন জনগণের জন্য সঠিক পদক্ষেপ। কারণ আমেরিকানদের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ