শখের বসে ক্রেতার মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে প্রাণ গেল চা-দোকানির
Published: 5th, March 2025 GMT
কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় শখের বশে দোকানে আসা ক্রেতার মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে মো. জহির (২৫) নামে এক চা–দোকানি সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে উপজেলার পেরুল এলাকায় ইউটার্নে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জহির উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব পেরুল গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে। তিনি স্থানীয় ফয়েজগঞ্জ বাজারে চা–বিক্রেতা।
নিহতের পরিবার ও ফয়েজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে জহিরের দোকানে চা পান করতে আসেন। ওই সময় জহির মোটরসাইকেল আরোহীকে চা দিয়ে শখের বশে তাঁর মোটরসাইকেল চালিয়ে হরিশ্চর বাজারের দিকে রওনা দেন। মহাসড়কের পেরুল এলাকার চৌকিদার বাড়িসংলগ্ন ইউটার্নে পৌঁছালে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে তিনি পড়ে যান। মাথায় রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
লাকসাম ক্রসিং (লালমাই) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে হরিশ্চর চৌরাস্তার দক্ষিণে পেরুল ইউটার্নে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় একজন মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিবার সূত্রে জেনেছেন, নিহত ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধাক্কা দেওয়া অজ্ঞাত গাড়িটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক এমপি এমএ মালেক গ্রেপ্তার
ঢাকার ধামরাইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ মালেককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার চারটি মামলা রয়েছে। বুধবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনূর কবির। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলার ঘটনায় আহত ও নিহতদের স্বজনরা ধামরাই ও আশুলিয়া থানায় একাধিক মামলা করেছেন। এমন চারটি মামলার আসামি এমএ মালেক। আজ বৃহস্পতিবার রিমান্ড চেয়ে তাকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হবে।
এমএ মালেক ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
উল্লেখ্য, এমএ মালেক ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়ন পরিষদের পরপর তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেনজীর আহমদের কাছে পরাজিত হন তিনি।