ইবির সব স্থাপনা থেকে সরলো শেখ পরিবারের নাম
Published: 5th, March 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা বিভিন্ন হল, একাডেমিক ভবন ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৭তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল বুধবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সই করা প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শাহ আজিজুর রহমান’ হল, শেখ রাসেল হলের পরিবর্তে ‘শহীদ আনাছ’ হল, ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ হলের নাম পরিবর্তন করে ‘উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দিকা’ হল, শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-৩৬’ হল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের নাম ‘ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবন’ করা হয়েছে।
এদিকে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ হলের পরিবর্তিত নাম নিয়ে বিভিন্ন মহলে আপত্তি উঠেছে। ‘স্বাধীনতাবিরোধী’র নামে হলটির নামকরণ করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ। সংগঠনটি দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মাওলানা ভাসানীর নামে হলটির নামকরণে প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নূর আলম বলেন, শাহ আজিজুর রহমানের মতো একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর নামে আবাসিক হলের নামকরণ জাতির জন্য এক কলঙ্কজনক সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থি। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী শাহ আজিজুর রহমানের নামে আবাসিক হলের নামকরণের মধ্য দিয়ে ইবি প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বলে আমরা মনে করি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ন মকরণ হল র ন ম র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘দ্রুতই শেখ হাসিনার দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায় এনসিপি’
জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা হত্যার দায় হিসেবে খুব দ্রুতই শেখ হাসিনার দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে রায়েরবাজারে শহীদদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে সংগঠিত গণহত্যা, শেখ হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়ন নেমেছিল ছাত্র-জনতার ওপর, পুরো পৃথিবী তার সাক্ষী। আমরা অবিলম্বে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার (শেখ হাসিনা) বিচার কার্যক্রম দেখতে চাই, দৃশ্যমান বিচার চাই। এই বিচারের মধ্যদিয়ে যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, আত্মত্যাগ করেছেন, অঙ্গহানি হয়েছেন, তাদের ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব। তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব বিচারের মধ্যদিয়ে।
তিনি বলেন, যেই ফ্যাসিজম সংগঠিত হয়েছিল, স্বৈরাচার সংগঠিত হয়েছিল, এই বিচারের মধ্যদিয়ে নিশ্চিত করতে হবে সেটি যেন বাংলাদেশে ফিরতে না পারে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, পুরো পৃথিবীতে যেন সংগঠিত হতে না পারে, এই বিচার পুরো পৃথিবীর ইতিহাসে নিদর্শন হিসেবে থাকা উচিত। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন বিচার দৃশ্যমান হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই আন্দোলনে শহীদদের কবর জিয়ারত করেছি, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছি। আমরা সবাই জানি, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছিল। সেখানে জীবন দিয়েছেন শত শত ছাত্র, তরুণ, শ্রমিকসহ নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ। যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, যেই আকাঙ্ক্ষা থেকে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিলাম, সেই আকাঙ্ক্ষা যেন আমরা সঠিকভাবে ধারণ করতে পারি, সেই জায়গা থেকে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করছি।
এ সময় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এনজে