ডিজেএডির সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন চিস্তি
Published: 5th, March 2025 GMT
ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত দিনাজপুর জেলার সাংবাদিকদের সংগঠন দিনাজপুর সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার (ডিজেএডি) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০২৫-২৭ মেয়াদের কমিটিতে সভাপতি মিজানুর রহমান (অবজারভার) এবং হুমায়ুন চিস্তি (এটিএন বাংলা) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
গাজীপুরের পূর্বাচলের হানসা হিজল-তমাল রিসোর্টে শুক্রবার সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাদের এ পদে মনোনীত করা হয়। একই দিন সেখানে সংগঠনের ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বুধবার (৫ মার্চ) বাংলামোটরে ৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। ডিজেএডির সিনিয়র সদস্য আযম মীর শাহীদুল আহসান পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। এ সময় সংগঠনের সিনিয়র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে জাকারিয়া মণ্ডল (ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক আমাদের বার্তা), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মমতাজী (বাংলাদেশ প্রতিদিন), সাংগঠনিক সম্পাদক আসমাউল মুত্তাকিন (নিউজ ২৪), অর্থ সম্পাদক তারিক ইমন (ইনকিলাব), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক এ কে এম কামরুজ্জামান পারভেজ (খবরের কাগজ) মনোনীত হয়েছেন।
এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে খুররম জামান (বার্তা ২৪) ও এম এ রাজ্জাক (আমার দেশ) মনোনীত হয়েছেন। পদাধিকার বলে আগের কমিটির সভাপতি মর্তুজা হায়দার লিটন (বিডিনিউজ) এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ওবায়দুর রহমান কার্যনির্বাহী সদস্য পদে থাকবেন।
এর আগে শুক্রবার ডিজেএডির সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত দিনাজপুর জেলার সাংবাদিকদের সংগঠন- ডিজেএডির আত্মপ্রকাশ ২০১৭ সালে। শুরুতে ১৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে মর্তুজা হায়দার লিটন আহ্বায়ক এবং মিজানুর রহমান সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংগঠনের প্রথম দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় ১৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। ডিজেএডির মোট সদস্য সংখ্যা ৭৬ জন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র সদস য র রহম ন স গঠন র র স গঠন গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন অস্ত্রসহায়তা স্থগিত, বিপদে ইউক্রেন
হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বিতণ্ডার পর ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত হতে পারে—এমন আশঙ্কা ছিল। অবশেষে তা সত্যি হলো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেনে আপাতত কোনো সামরিক সহায়তা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পরিকল্পনা করছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পর গতকাল মঙ্গলবার জেলেনস্কি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ইউক্রেনে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে তিনি ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে কাজ করতে চান। ওয়াশিংটনের সঙ্গে খনিজ চুক্তি করতেও প্রস্তুত আছেন।
তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সহায়তা দিয়েছিলেন। গত ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়ার আগে কিয়েভের জন্য আরও ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র, সামরিক যান ও অন্যান্য সরঞ্জাম অনুমোদন দেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মূলত সেই অস্ত্র ও সরঞ্জামগুলোর চালান স্থগিত করেছে। প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে বলেছেন, অস্ত্রগুলোর চালান পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি, সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
আর ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, পুরোনো চালানের যেসব অস্ত্র ইউক্রেনে যাচ্ছিল, তার সবই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হবে। যেসব অস্ত্র এরই মধ্যে সরবরাহের জন্য উড়োজাহাজে তোলা হয়েছে এবং পোল্যান্ডের ট্রানজিট এলাকায় জাহাজে মজুত রয়েছে, সেগুলোও ফেরত আনা হবে।
অস্ত্রের এই চালান স্থগিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। ওই নির্দেশের পর হেগসেথের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। এরপর ইউক্রেনে অস্ত্রসহায়তা স্থগিত করার পাকা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। আলোচনার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এরপর জেলেনস্কি ও তাঁর দলকে ওভাল অফিস ছেড়ে যেতে বলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। সেদিন দুই দেশের মধ্যে খনিজ সম্পদবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
আরও পড়ুনট্রাম্প সামরিক সহায়তা স্থগিতের আগে ইউক্রেনকে যেসব অস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৫২ মিনিট আগেট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে চান জেলেনস্কিট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে জেলেনস্কি গতকাল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ইউক্রেনে টেকসই শান্তির জন্য তিনি ও তাঁর দল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক যেভাবে এগোনোর কথা, সেভাবে এগোয়নি। এটা ঠিক করার এখনই সময়।
জেলেনস্কি আরও লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তি করতে প্রস্তুত কিয়েভ। যেকোনো সময় ও যেকোনো উপযুক্ত কাঠামোয় সেই চুক্তি করতে রাজি ইউক্রেন।
আরও পড়ুন‘অনুতাপ’ জানিয়ে জেলেনস্কি বললেন, ট্রাম্পের ‘বলিষ্ঠ নেতৃত্বের’ অধীনে কাজ করতে প্রস্তুত আছেন২ ঘণ্টা আগে‘ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন ট্রাম্প’এর আগে মার্কিন সামরিক সহায়তা স্থগিতের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ইউক্রেন। জেলেনস্কির এক্স বার্তার আগে ইউক্রেনের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রি জাগোরোদনিয়ুক বলেন, মস্কোর পাশবিক শর্তের ভিত্তিতে তৈরি একটি খারাপ শান্তিচুক্তি মেনে নিতে ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর জোর খাটাচ্ছে হোয়াইট হাউস। কিয়েভ যদি এই চুক্তিতে রাজি না হয়, তাহলে মার্কিন সামরিক সহায়তা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ট্রাম্প ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলে মনে করেন ইউক্রেনের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রধান ওলেকসান্দ্র মেরেঝকো। তিনি বলেন, এখন অস্ত্রসহায়তা বন্ধের অর্থ হলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সহায়তা করা। ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার দাবিগুলো মেনে নেওয়ার চাপ দিচ্ছেন।
পরিখায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় কফি বানাচ্ছেন ইউক্রেনের ২৪তম সাঁজায়ো ব্রিগেডের এক সদস্য। দোনেৎস্ক অঞ্চলের চাসিভ ইয়ার এলাকায়; ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫