নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ শক্তিশালী। ফর্মেও আছেন তারা। সঙ্গে লাহোর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেট। দুই মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রান উৎসবের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। ওই মঞ্চে ব্ল্যাক ক্যাপসরা উৎসব করেছে ঠিকই। পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫০ রানের হারে বিদায় নিয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ড উঠে গেছে ফাইনালে।
বুধবার টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির রেকর্ড ৩৬২ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে প্রোটিয়াদের শুরু খুব খারাপ হয়নি। তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ৯ উইকেটে ৩১২ রানে থেমেছে তারা। আগামী ৯ মার্চ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সেরা সিনেমা ‘আনোরা’
প্রেম, নারীর সামাজিক অবস্থান ও সাংস্কৃতিক সংঘাতের প্রতিচ্ছবির চলচিত্র ‘আনোরা’ জিতেছে ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের সেরা সিনোমার পুরস্কার। আজ সোমবার ভোরে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে বসে অস্কারের এবারের আসর, সেখানে সিনেমাটিকে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
সিনেমাটি সেরা ছবি, অভিনেত্রী, পরিচালক, সম্পাদনা ও সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের পুরস্কার লাভ করে।
‘আনোরা’ সিনেমাটি পরিচালনার জন্য নির্মাতা শন বেকার পেয়েছেন সেরা পরিচালকের পুরস্কার; সিনেমাটিতে অভিনয় করে অস্কারে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন মাত্র ২৫ বছর বয়সী মাইকি ম্যাডিসন।
কুখ্যাত রাশিয়ান গ্যাংস্টারের ছেলে এক যৌনকর্মীর প্রেমে পড়েন। দুজন বিয়ে করেন; কিন্তু সেই গ্যাংস্টার বিয়ে মেনে নেন না। এমন গল্প নিয়ে শন বেকারের সিনেমা ‘আনোরা’। গত বছর কান উৎসবে স্বর্ণপাম জেতা সিনেমাটি আদতে নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনের বাস্তবতা আর তাদের স্বপ্নের টানাপোড়েনের গল্প।
গত বছর কান চলচিত্র উৎসবে সিনেমাটি স্বর্ণপাম জেতে। ওই সময় অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। কারণ, সেবারের উৎসবে হেভিওয়েট নির্মাতাদের হারিয়ে সেরার পুরস্কার জেতে আনোরা। কান ঘুরে এখন অস্কারেও সেরা সিনেমা এটি।
শন বেকারের সঙ্গে ‘আনোরা’ প্রযোজনা করেছেন নির্মাতার স্ত্রী সামান্থা কোয়ান। ২০২৩ সালে নিউইয়র্কে শুটিং হয় সিনেমাটির। ২০২৪ সালের ২১ মে কান উৎসবে প্রিমিয়ার হয় সিনেমাটির। প্রদর্শনীর পর ১০ মিনিট ধরে দর্শকের স্ট্যান্ডিং ওভেশন পায়।
এবারের অস্কারে পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন কিইরিন কালকেইন এবং পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন জোয়ি সালডানা।
এবার সেরা অ্যানিমেশন ছবি (স্বল্পদৈর্ঘ্য) হিসেবে ‘ইন দ্য শ্যাডো অব সাইপ্রেস’, ফিচার অ্যানিমেশন হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে ‘ফ্লো’। সেরা মেকআপ এবং হেয়ারস্টাইল বিভাগে পুরস্কার জিতেছে গেল বছরের অন্যতম আলোচিত ছবি ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’।