পরিবহন প্রশাসক পদ থেকে ইবি উপ-উপচার্যের পদত্যাগ
Published: 5th, March 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবহন প্রশাসক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী। তবে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর একটি পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
পদত্যাগপত্রে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই আমি এ দায়িত্বটি নিয়েছিলাম। আমি উপাচার্যকে মৌখিকভাবেও বহুবার জানিয়েছি যে, আমি এ দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী নই। এ দায়িত্বে থেকে আমার ইমেজ সংকট তীব্রতর হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে তাকে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এখানে আমার কোন স্বার্থ নেই।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় ঘুমন্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যা, মা আটক
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ঘুমন্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম খাদিজা খাতুন (দেড় বছর)। সে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের মেয়ে। গ্রেপ্তার নারীর নাম আসমা খাতুন (২৪)।
আটক আসমার বোন রেশমা খাতুন জানান, ২০২১ সালের জুন মাসে তাঁর বোন আসমার সঙ্গে একই উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের বিয়ে হয়। পরে তাঁর বোনের তানভির হোসেন ও খাদিজা খাতুন নামের দুটি সন্তান হয়। সম্প্রতি আসমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এ কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার আসমাকে চিকিৎসার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আনা হয়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসমা তাঁর শিশুমেয়ে খাদিজাকে ঘরের বারান্দায় রেখে ঘুম পাড়াচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর আসমা রান্নাঘর থেকে ধারালো বঁটি নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় খাদিজাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
পরে প্রতিবেশীরা আসমাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোজাব্বর হোসেন জানান, শিশুসন্তানকে হত্যার পর আসমা সেখানেই বসে ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারানোর কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, আসমা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শিশু খাদিজার লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।